তুমি আমাকে বলেছিলে, আমি নাকি নিঃস্বার্থভাবে তোমায় ভালোবেসেছি। কিন্তু আমি কখনোই তোমার শরীরের ঊর্দ্ধে উঠে তোমার আত্মাকে ভালোবাসতে পারিনি।
আমি পারিনি তোমার শরীরে মাতাল হওয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে। আমি পারিনি তোমার রোমশ বুকের ওম থেকে নিজেকে আলাদা করে রাখতে।
তোমার হাত ছুঁতে চেয়েছি, শরীর ছুঁতে চেয়েছি। তোমার পুরো শরীরের আগুনে আমি আমার নিজের শরীরকে স্তব্ধ করিয়ে রাখতে চেয়েছি।
দেখা হবার পর বরাবরই তোমার কপালে নয়, ওষ্ঠযুগলেই চুমু খাবার জন্য আমি অস্থির হয়ে উঠেছি। এমনকী আমি নিজেও আমার দুষ্টুমিষ্টি কামনার্ত চাহনিতে তোমাকে এতটাই ভুলিয়ে রেখেছিলাম যে, তোমার চোখ থেকেও সেদিন রাতে শুধু কামনাই ঠিকরে ঠিকরে বেরিয়েছে।
সেই রাতে আমরা স্নান সেরেছি দু-জন দু-জনের কামনার জলে। ওই একরাতেই কত বছরের সুখ, আহ্লাদ তুমি আমায় দিয়েছ, আমি তোমায় দিয়েছি!
সেই রাতে আমরা স্নান সেরেছি দু-জন দু-জনের কামনার জলে। ওই একরাতেই কত বছরের সুখ, আহ্লাদ তুমি আমায় দিয়েছ, আমি তোমায় দিয়েছি!
তুমি লাল রঙের কামনায় আমার সিঁথিতে সিঁদুর এঁকেছিলে। হাতে পরিয়েছিলে বাসনা নামের শাঁখা, পলা। সাদা রঙের গোলাপ সাক্ষী ছিল আমাদের বাসরের।
কিন্তু জানো, সেদিন আমার আত্মা অসাড় ছিল। আমি সেদিন সারারাত ধরে শুধু তোমার শরীরকেই গ্রহণ করেছি, আদর করেছি।
তাই আজ আমি এটুকু বলতে চাই, তোমার ধারণা ভুল। আমি মোটেও তোমাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসিনি। আমি ভালোবেসেছি তোমার শরীরকে। আমাকে দেওয়া সমস্ত কৃতিত্ব তুমি এক্ষুনি এসে ফিরিয়ে নিয়ে যাও!
শুধুই শরীরকেন্দ্রিক ভালোবাসা একটা পশুকে মানায়, মানুষকে নয়। যদি কখনও আমাদের দু-জনের আত্মাদুটোকে কামনায় ভাসাতে পারি, আমি শুধু সেইদিন ফিরব তোমার কাছে। যদি তা না পারি, তবে আমি ফিরব না। আর কখনোই আমি ফিরব না।