ভাবনার বনসাই: এক-শো পনেরো

১. ঘন কুয়াশা।
রিকশাওয়ালা বেলটা
আরও জোরে বাজায়...
মনের ভয় তাড়াতে।


২. ঘরের ভেতরে
কী দারুণ হাওয়া!
গিটারের তারগুলি
ক্রমেই ধুলো তাড়ায়...


৩. দীর্ঘ গোধূলি...
কাকের দল
আবর্জনা থেকে
আবর্জনা পৃথক করে।


৪. আমাদের উচ্ছিষ্ট...
ওদের খাদ্য।


৫. যে গর্তে
গাছটা একদিন আশ্রয় নিয়েছিল,
আজ সেই গর্তকেই
গাছটা আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে...


৬. শরতের বৃষ্টিতে
ধুয়ে ধুয়ে যায়...
কাশফুলের যত অশ্রু।


৭. একাকী শীতে...
পুরনো প্রেমের
ঘ্রাণ খুঁজে বেড়াই
প্রিয় কারও বুকে।


৮. জীবনের প্রথম ঝড়!
সঙ্গে বৃষ্টি যদিও ছিল,
তবু জলের বদলে
ধুলোই কেবল উড়ল!


৯. অন্ধ ছেলেটি আজও ভাবে,
সারসের দল
কেবল উত্তর আকাশেই ওড়ে...


কেন অমন মিথ্যে বললে ওকে?


১০. বৃষ্টি নামলে...
বেড়ালটা কেমন করে জানি
আমার পায়ে পায়ে
গা ঘষে!


১১. মেয়েটি একদিন
ভালোবাসা অনুভব করতে শিখে গেল।
তার পরের গল্পটা...
একাকিত্বের।


১২. প্রতিটি মানুষই,
কোথাও-না-কোথাও,
একদিন-না-একদিন...
ভালোবাসার দেখা পায়।


১৩. শিশুটি
চেটেপুটে খায়
নাকের সর্দি।


ওহ্‌! শীত এল বুঝি...!


১৪. দীর্ঘসময় ধরে
বৃষ্টি ঝরে আর ঝরে...
ঠাকুরদা শেখাতে থাকেন
হারমোনিকা বাজায় কী করে...


১৫. পাবো না জেনেও
ভালোবাসি যাকে,
ভালোবাসার মানে যে কী,
শেখায় তো সে-ই!


১৬. রৌদ্রে ঝড়ে
মাঠে প্রান্তরে
কৃষকে লাঙলে
লড়াইয়ে তৃপ্তিতে...


১৭. প্রখর রোদের
একেকটা তীরে
ঘরের ছাদে
আগুনের স্রোত!


১৮. যে সেতুটা
একদিন গড়েছিল ঝড়ে,
তা-ই আজ ভাঙল কিনা
ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে!


১৯. টানা বর্ষণে
সেতুটি ভেঙে
খাল পারাপারের
কাঠ জোগায়।


২০. তীব্র বৃষ্টিতে,
ঘন কুয়াশায়,
কাছে কি দূরে...
দূরত্ব তো একই!