ভাবনার বনসাই: এক-শো ষোলো

১. ঈশ্বর তো আছেন মনের মধ্যে।
বাইরে কোথাও থাকলে
বাঁচতে একটু সুবিধে হতো।


২. মেয়েটির এবং
তার সব বান্ধবীর মধ্যে
একটাই মিল...
ওরা সবাই প্রতারিত হতে ভালোবাসে।


৩. গুলির একটা আওয়াজ!
পাখিরা সবাই গাছের ডাল ছেড়ে
আকাশে গিয়ে বসে।


৪. পাতা ঝরে...
গাছের ছায়ায় ছায়ায়
ক্ষতের সংখ্যা বাড়ে।


৫. অনেক দিন হলো,
বৃষ্টি আর নামে না।
প্রজাপতিটা উড়ে গিয়ে
কাগজের গোলাপে বসে।


৬. পাতাহীন গাছেদের
ডালপালাগুলি যেন
পথচারীদের দিকে
ভিখিরির হাত বাড়ায়...


৭. পাতা ঝরে যায়
একটা একটা করে...
গাছের নগ্নতা দেখতে
বড়ো উৎকট লাগে।


৮. টেবিলের এদিকে-ওদিকে
পাউরুটির আর বিস্কুটের
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরো ছড়ানো।
পিঁপড়েদের তো আজ নবান্ন!


৯. শোষিতদের অধিপতিটি
অতীত শোষণের
ব্যক্তিগত দুঃখ ভুলতে
শোষিতদের শোষণ করেন।


১০. নদীর কলকল ধ্বনি
আমাকে আমার সামনে এনে
দাঁড় করায় আর প্রশ্ন করে।


১১. মগজের অভাবে
পেশির স্বভাবে...
সংখ্যার অভ্যস্ততায়
অস্তিত্বের কদর্যতায়।


১২. সকাল হয়।
একটি মোরগ ডেকে শোনায়;
আরেকটি মোরগ শুনে ডাকে।


১৩. গ্রীষ্মের মেঘ দেখে
পথিকের ছায়া
বিশ্রাম থামিয়ে
আবার পথে নামে...


১৪. রাখালের যত গান
বড়ো চমৎকার সুরে
পাথরে মাথা ঠুকে
রাখালের কাছেই ফেরে।


১৫. ফেইসবুকে হইচই!
লাইফবুকে কই...কই!?
মার খাই, চুপ রই!
পার পাই, তাই সই!


১৬. গ্রীষ্মের খরা,
কৃষকের ঘাম,
মাঠের কান্না,
রক্তের স্বাদ।


১৭. সূর্য ওঠে...
আমাদের দীর্ঘ ছায়ারা
ক্রমেই ছোটো হয়ে আসে।


এইসব ভেবে নিয়ে বাঁচা!


১৮. ঝড় উঠলে
আমার সমস্ত কর্কশ ভর্ৎসনাকে
মোলায়েম গান হিসেবে
অনায়াসে চালিয়ে দিই।


১৯. যার হারায়,
এক তারই হারায়।
বাকিদের ফুরোয় শুধুই...
অনুমান।


২০. আমরা সত্যিই বড্ড গরিব।
সামান্য বাদামটুকুও
কাঠবিড়ালির সঙ্গে
ভাগ করে খাই।