ভাবনার বনসাই: এক-শো চৌদ্দ

১. তুমি নেই বলে
আকাশটা সুন্দর।
তুমি ছিলে বলে
আকাশটা অদৃশ্য।


২. তোমার যে সার্টিফিকেট
আমার কোনও কাজে লাগে না,
গায়ে পড়ে আমায়
সেই সার্টিফিকেট দিতে এসো না।


৩. প্রভু, মানুষ সৃষ্টি করে
এ কেমন শাস্তি পেলে!
যা যায় না করা মানুষ হলে,
মানুষ তা-ও করে তোমারই নামে!


৪. পুরস্কারের খোঁজটা যার
ধ্বংসে আর মৃত্যুতে,
আয়ু কি সৃষ্টি, প্রীতি কি যুক্তি,
তার কাছে তুচ্ছ এ সবই!


৫. একেকটা ঈশ্বর,
একেক জোড়া ভেজা-চোখ।


৬. কিছুই করতে
পারে না যে নিজে,
সে-ই অন্যকে
দেয় উসকে!


৭. সকাল হয় যা দেখে দেখে...
এক ফুল থেকে আরেক ফুলে
প্রজাপতির নাচ।


৮. ঘরে লোডশেডিং।
বাইরে চাঁদের আলো।
উঠোনে-বারান্দায় আড্ডা জমে...


৯. আকাশে আকাশে
আতশবাজি পোড়ে।
একটা বছর
আরেকটাতে ঘোরে।


১০. জন্মদিনের কেক।
এক ফুঁতেই
বয়স লুকোই!


১১. মৃত্যু যার সুন্দর...জন্মের চেয়েও---
আরেকজনের মৃত্যুতে;
তার চাইতে কুৎসিত আয়ু
ফুরোয় কে আর, বলো!?


১২. ঘৃণাই যার ধর্ম,
অন্ধত্ব তার মর্ম,
আঘাত তার কর্ম,
সংখ্যা তার বর্ম।


১৩. আমি আহত হবার সময়
তুমি চুপচাপ তাকিয়ে ছিলে।
তুমি আহত হবার সময়
আমি চুপচাপ তাকিয়ে আছি।


১৪. তোমার হ্যাশট্যাগের
ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও দাম নেই,
যতক্ষণ তোমার কোনও দাম নেই।


১৫. যার আচরণ যেমন,
তার ধর্ম তেমন।
এর চাইতে গভীরে যাবার
সময়ই-বা কার আছে!?


১৬. কেবল পারিবারিক সেলফিতেই
তারা থাকে একসাথে।


১৭. এ দু-ঠোঁটে
হাসি দেখেছ;
ঠোঁট যে ফেটেছে,
দেখেছ কি তা?


১৮. বাবা বড্ড দিলখোলা মানুষ!
তাই তো আমাদের খেতের
কাকতাড়ুয়াটা এই শীতে দাঁড়িয়ে
আমার পুরনো সোয়েটারে।


১৯. পথে কাদা দেখে
দ্রুত পরে নিই
অন্যের জুতো...
পথে নামার আগে।


২০. গ্রীষ্ম এলে
আমাদের আমবাগানটাই
আমাদের রান্নাঘর।