: তোরও কি কখনো কখনো ভীষণ অস্থিরতায় বুকের গভীরে ছন্নছাড়া অনুভূতির তীব্রতা বাড়ে?
: আমার সাথে একসমুদ্র অনুভূতির মায়াজাল পাড়ি দিতে কেমন লাগছে তোর?
: ভীষণ অন্যরকম।
: তোর হাত ধরলেই এ পথ কেন এতটা দীর্ঘ হয়ে যায়?
: শুনছিস, তোকে আমি ইচ্ছের আড়ালে ভীষণ যত্নে রেখেছি।
: তোকে খুঁজে পেয়েছি বলেই এই বিস্তৃত অনুভবের শান্ত ঘরটা আমাদের।
: তোর যদি কখনো কষ্ট বাড়ে এখানে আসবি তো, বল?
: তোর জন্য এক-শো'টা লাল গোলাপ কিনেছি... হাসবি না। মনে হচ্ছিল, এগুলো তোর হাতে পূর্ণতা পাবে। নিয়ে আসব?
: হা হা... আয়, আয়।
: কতদিন পর তোর কাছে এলাম।
: আজও বুঝতে কষ্ট হয়নি, এখনও যে তোর চোখ আমাকেই খুঁজে বেড়ায়।
: আরও কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকবি এভাবে?
: কিছুক্ষণ নয়, অনন্তকাল তাকিয়ে থাকতে পারি।
: যাহ্!
: আচ্ছা, তোর কী হয়েছে? আমাকে কি তুই কিছু বলতে চাইছিস? বল না!
: না রে!
: অনেকটা সময়ের প্রতীক্ষা শেষে আমার দৃষ্টিজুড়ে তোর তীব্র স্পর্শ... আমার বুকের ভেতরটা এলোমেলো করে দিতেই ব্যস্ত। তুই কি অনুমান করতে পারছিস?
: কাঁদছিস কেন?
: এত ভিড়েও আমার সবটা জুড়ে কেবল তুই-ই থেকে গিয়েছিস।
: আজও তোকে খুউব বুকে ধরে রাখতে ইচ্ছে করে।
: শেষ একবার জড়িয়ে ধরে থাকতে পারি না কি আমরা?
: নিশ্চয়ই পারি রে!
: তোর অস্তিত্ব আমার হৃদয়ের খুব কাছে। আমিই তো তুই, তুই-ই তো আমি।
: নিশ্চুপ এ মুহূর্তে আমাদের আবেগ অপ্রকাশিত থেকে যাক আরও একবার।
: তোর নিঃশ্বাসের অস্থিরতায় ছুঁয়ে যাক আমার অগোছালো চুলগুলো। তোর মনের খুব কাছাকাছি থেকে যাক আমাদের ভালোবাসার প্রকাশিত অনুভূতি।