উপন্যাস হিসেবে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’

 
(একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় নিচের নোটটা করেছিলাম। এই প্রশ্নটি ছিল আমাদের জন্য খুবই ‘ইম্পরট্যান্ট’। এখনও মনে আছে, চট্টগ্রাম পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করে অন্তত ২০-২৫টা রেফারেন্স বই ঘেঁটে অসীম ধৈর্য আর পরিশ্রমের বিনিময়ে একেকটা প্রশ্ন নোট করতাম। সে সময় শুধু চট্টগ্রাম কলেজের বাংলার ‘কপিলা ম্যাডাম’কে ইমপ্রেস করার জন্য কপিলার চরিত্রটিও নোট করেছিলাম। প্রশ্নটি পরীক্ষায় আসে না; তবুও! সেটি আজ সংগ্রহে নেই। নিচেরটি আছে, কারণ এটি স্টুডেন্ট পড়ানোর সময়ে স্টুডেন্টদেরকে বাংলা ক্লাসে মুখস্থ করাতাম। এখনও উপন্যাসটি পড়ানো হয় কি না, জানি না।)
‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসটির শিল্পমূল্য/সার্থকতা/যথার্থতা নিরূপণ কর।
অথবা, উপন্যাস হিসেবে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ কতটুকু সার্থক?
উত্তর:
‘অখ্যাতজনের নির্বাকমনের কবি’ সাহিত্যশিল্পী মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসের প্রসাদগুণের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিদগ্ধ সাহিত্য সমালোচক শ্রী সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘বঙ্গসাহিত্যে উপন্যাসের ধারা’ শীর্ষক গ্রন্থের এক জায়গায় বলেছেন, “ছোটগল্পে ও উপন্যাসে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় যে নানামুখী বৈচিত্র্য ও আশ্চর্য মৌলিকতা দেখাইয়াছেন তাহাই তাঁহার উদ্ভট অবাস্তবতা ও যৌন বিষয়ের প্রতি অতিপক্ষপাত সত্ত্বেও তাঁহাকে আধুনিক ঔপন্যাসিকদের মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ আসনের অধিকারী করিয়াছে।” মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জীবনচেতনাকে সামাজিক রূপায়নের মানবিক মূল্যবোধ দ্বারা আক্রান্ত হতে দেননি; তাঁর জগতে এমন কোন স্তর নেই যেখানে ‘ধনী-নির্ধন’, ‘উচ্চ-নীচ’, ‘সুস্থ-রুগ্ন’ প্রভৃতি সমাজস্বীকৃত বিপরীতগুলো কোন ভাবগত আদর্শের চাপে ভেঙ্গে পড়ে। বৃত্তিকেন্দ্রিক জীবনকাহিনী কিছু দিন আগ হতেই বাংলা উপন্যাসে রচিত হতে আরম্ভ করেছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ও মনোজ বসুর ‘জলজঙ্গল’ ও ‘বন কেটে বসতি’ এই বৃত্তিজীবনেরই ঘটনাবহুল, বিপদসংকুল ইতিহাস। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসে বিশেষত মৎস্যজীবীদের মাছধরার রোমাঞ্চকর, নদীতরঙ্গের আবর্তসংকুল, অতর্কিত মরণের ফাঁদপাতা, ক্রূর শক্তির সাথে প্রতিনিয়ত সংগ্রামশীল অভিযানই ঔপন্যাসিকের কৌতুহলপূর্ণ পর্যবেক্ষণশক্তিকে উদ্রিক্ত করেছে।
দেবেন্দ্রবিজয় বসু তাঁর ‘নভেলের শিল্প বা কবিত্ব’ শীর্ষক প্রবন্ধে অভিমত ব্যক্ত করেছেন, “যেমন চিত্রকর প্রকৃত ঘটনা অনুকরণ করিয়া তাহার প্রতিচিত্র অংকন করেন, যেমন ভাস্কর একখণ্ড শিলা খোদিত করিয়া তাহাকে জীবিতকল্প মনুষ্যে পরিণত করিতে পারেন, সেইরূপ সাহিত্যজগতে যথার্থ শিল্পী যিনি, তিনি স্বভাব অনুকরণ করিয়া চরিত্রের যথার্থ চিত্র অংকন করিতে পারেন।” প্রকৃতপক্ষে এই স্বভাবের অনুকরণই শিল্পের প্রাণ। সর্বশ্রেষ্ঠ কবিশিল্পী যিনি, তিনি সর্বকালিক, সর্বদেশীয় এবং সর্বজনীন এক নতুন সংসার সৃষ্টি করেন। তাঁর সৃষ্ট এই নূতন জগৎ প্রকৃত জগতসংসারের সম্পূর্ণ অনুকরণে হওয়া আবশ্যক। সৎ অসৎ, ভাল মন্দ, সুনীতি দুর্নীতি -- তিনি কিছুই দেখবেন না, সংসারে যা কিছু পাবেন, তা-ই চিত্রিত করবেন। চিত্রের ভাল-মন্দ কিছুই বিবেচনা করতে পারবেন না। শুধু তা-ই নয়, তিনি বাহ্যজগতের শুধু উপরিভাগ, শুধু আচরণ দেখেই ক্ষান্ত হবেন না। জগতের মূল কারণের মধ্যে- তার মূল সত্য মধ্যে- অন্তর্জগতের গূঢ়তম স্থানে তাঁকে প্রবেশ করতে হবে। সাধারণে যা দেখতে পাওয়া যায়না, যা দৈবশক্তিবলে কেবল কবির জ্ঞানচক্ষে প্রকাশ পায়, তা সাধারণকে দেখাতে হবে। মুহূর্তের বাহ্যিক ভঙ্গীতে আমাদের মনের যে গূঢ়তর লুক্কায়িত ভাবসমূহ প্রকাশ পায়, তা সুনিপুণ চিত্রকর কেমন মোহনীয় ভঙ্গিমায় আামাদেরকে দেখিয়ে দেন! যা কিছু সত্য, তার মধ্যে ভালমন্দ থাকতে পারে, সৎঅসৎ থাকতে পারে-- তার মধ্য হতে অপক্ষপাতের সাথে সত্যপ্রদর্শনের এক সার্থক চিত্রকল্প এই ‘পদ্মা নদীর মাঝি’।
সাহিত্য সমালোচক শ্রী শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে মানিক বন্দোপাধ্যায়ের রচিত উপন্যাসবলীর মধ্যে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অবশ্য এর একটা কারণ, উপন্যাসের অভিনবত্ব-- পদ্মা নদীর মাঝিদের দুঃসাহসিক ও কতকটা অসাধারণ জীবনযাত্রার আকর্ষণী শক্তি। দ্বিতীয় কারণ, পূর্ববঙ্গের সরস ও কৃত্রিমতাবর্জিত কথ্য ভাষার সুষ্ঠু প্রয়োগ। কিন্তু উপন্যাসটির সর্বশ্রেষ্ঠ গুণ হচ্ছে, এর সম্পূর্ণরূপে নিম্নশ্রেণী অধ্যূষিত গ্রাম্যজীবনের চিত্রাঙ্কনে সূক্ষ্ম ও নিখুঁত পরিমিতিবোধ, এর সংকীর্ণ পরিধির মধ্যে সংকীর্ণ মানব প্রবৃত্তিগুলোর ক্ষুদ্র সংঘাত ও মৃদু উচ্ছ্বাসের যথাযথ সীমানির্দেশ। প্রখ্যাত কবি ও সমালোচক নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী তাঁর সমালোচনায় উপন্যাসের এই বিশেষ দিকটি লক্ষ্য করে বলেছেন, “নীচের তলার মানুষকে তিনি দেখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাতেই তিনি অনন্য নন। অনন্য এই কারণে যে, সাহিত্যিকদের মধ্যে একমাত্র তিনিই বোধ হয় নীচের তলায় গিয়ে দেখেছিলেন।” এই ধীবরপল্লীর জীবনযাত্রায় শিক্ষিত আভিজাত্যের মার্জিত রুচি ও উচ্চ আদর্শবাদের ছায়াপাত হয়নি। এই শ্রেণীর একমাত্র প্রতিনিধি মেজবাবুর কথা মাঝে মধ্যে শোনা গেলেও, তিনি কিন্তু বরাবরই যবনিকার অন্তরালে রয়েছেন। এর অধিবাসীদের অসূয়া-প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রীতি-সমবেদনা, চক্রান্ত-দলাদলি সমস্তকিছুই বাইরের মধ্যবর্তিতা ছাড়া নিজ-প্রকৃতি-নির্ধারিত, সংকীর্ণ কক্ষপথে আবর্তিত হয়েছে। কুবের মাঝি নিষিদ্ধ ভালোবাসা অস্বস্তি ও দহনজ্বালা অনুভব করেছে; তার মনোভাব ক্ষুব্ধ, নীরব অভিমানী ও ঈষৎ উচ্ছ্বসিত আবেগের মধ্যে সংকোচ-বিস্ফারণে আন্দোলিত হয়েছে। কিন্তু এই হৃদয়বেদনা নিয়ে সে কোথাও কাব্যসুলভ আবেগে অভিনয় করেনি; নিজ নিয়মিত কর্মধারার মধ্যে এই স্পন্দনকে সংহরণ করে নিয়েছে। কপিলার আদিম, অসংস্কৃত মনোবৃত্তির মধ্যে ছলনাময়ী নারীপ্রকৃতির সনাতন রহস্য বাসা বেধেঁছে। সে দীর্ঘকাল কুবেরের সম্মুখে মোহজাল বিস্তৃত করে ও ছদ্ম অভিনয়ের মধ্যে শেষ পর্যন্ত এক দুর্বোধ্য, অনিবার্য আকর্ষণে সেই ফাঁদে নিজেই জড়িয়ে পড়েছে। সংগতিসম্পন্ন স্বামিগৃহের সুখসাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে এক বিপদসংকুল, অনিশ্চিত অভিসারযাত্রায় বের হয়ে পড়েছে। আবার কুবেরের খোঁড়া মেয়ে গোপীকে বিয়ে করার দাবী নিয়ে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে শেষ পর্যন্ত কুবেরের ঘর পুড়েছে---এ যেন ছেলেদের জন্য ট্রয়নগরী ধ্বংসের এক গ্রাম্য সংস্করণ, মহাকাব্যের ঝুমুর গানে পরিণতি। শরৎচন্দ্রের উপন্যাসে মহিমের গৃহদাহের সাথে কুবেরের ঘরপোড়ার তুলনা করলে উভয়ের মধ্যে ভাবস্তরের পার্থক্য অনুভূত হবে। কিন্তু এই অতি সংকীর্ণ, জীবিকার্জনের ক্ষুদ্র মৌলিক প্রয়োজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ, গ্রাম্যজীবনের চারদিকে এক সুদূর অপরিচয়ের রহস্যমণ্ডিত পরিবেষ্টনী প্রসারিত হয়েছে। যে পদ্মানদী এ ধীবর সমাজের প্রাণবায়ু সঞ্চারণের প্রণালী-স্বরূপ, তা-ই এই রহস্যের ঈপ্সিত ইঙ্গিত বহন করে এনেছে। রহস্যময় মানুষ হোসেন মিয়ার আবিষ্কৃত সমুদ্র পরিবেষ্টিত নির্জন ময়নাদ্বীপটি, পার্থিব জীবনের উর্ধ্বে পরলোকের পরিকল্পনার মত, গ্রামবাসীদের কল্পনার সামনে যুগপৎ অপরিচয়ের ভীতি সীমাহীন আশার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। এ যেন ইউটোপীয়ান পর্যায়ের একাধারে মিলিত স্বর্গ-নরকের মতোই গ্রামের সরল অশিক্ষিত লোকগুলিকে অনিবার্যভাবে আকর্ষণ করেছে। অগ্নিশিখার প্রতি ধাবমান পতঙ্গের মত জীবনযুদ্ধে পর্যুদস্ত, নৈরাশ্যক্লিষ্ট নর-নারী এর ভয়াবহ রমণীয়তার হোমানলে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য ব্যগ্রবাহু মেলেছে। আর হোসেন মিয়ার দ্বীপটি গ্রামবাসীদের পক্ষে অস্পষ্টতার ভাবপ্রবণতা বিস্তার করলেও গ্রামের মানুষ তবু অন্ধ-সংস্কারের গণ্ডী ভেঙ্গে নতুনের আকর্ষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। এই প্রাণময়তাই সবচেয়ে বড় কথা। সিসিলি উপকূলস্থ চাষী-মাঝিদের কাহিনী অবলম্বনে বিখ্যাত ইতালীয়ান লেখক জিওভান্নি ভারনার ক্লাসিক উপন্যাস ‘The House by the Medlar Tree’ এবং ’পদ্মা নদীর মাঝি’ সমগোত্রীয় বলে ভবানী মুখোপাধ্যায় মনে করেন (নতুন সাহিত্য, ১৩৬৩বঙ্গাব্দ)।
হোসেন মিয়া লেখকের এক অভিনব সৃষ্টি। তার দুর্বোধ্য ও দুর্ভেদ্য রহস্যাবৃত প্রকৃতি ও গতিবিধি; তার মৃদু, সস্নেহ ব্যবহারের মধ্যে এক অনমনীয় দৃঢ়তা ও তীক্ষ্ণ দূরদৃষ্টির ইঙ্গিত, তার সমস্ত হিসাব-নিকাশ, লাভ-লোকসানের চিন্তার উর্দ্ধে নিশ্চিত, বলিষ্ঠ উদারতার ব্যঞ্জনা---এই সমস্তই তার প্রতিবেশীদের চোখে তাকে প্রায় দেবলোকের মহিমামণ্ডিত করেছে। পদ্মার স্রোতরাশি যেমন সমুদ্রে মিশেছে, সেরূপ গ্রামের প্রায় প্রতিটি লোকের ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র জীবনপ্রবাহ, তাদের স্বতন্ত্র কর্মপ্রচেষ্টা ও আশাকল্পনা শেষ পর্যন্ত হোসেন মিয়ার মনোগহনের অতল গভীরতায় আশ্রয় ও সমাপ্তি লাভ করেছে। উপন্যাসে গ্রাম্যসমাজের যে চিত্র অংকিত হয়েছে---ক্ষুদ্র কর্মশীলতা, ক্ষুদ্র আশা-আকাঙ্ক্ষা, ক্ষুদ্র ঈর্ষা-দ্বন্দ্ব, ক্ষুদ্র অসূয়া-আবেগ -- হোসেন মিয়া আর দ্বীপ যেন তারই উর্ধ্বতম চূড়া, তার শীর্ষদেশে সূর্যালোক ঝলকিত জ্যোতির্বিন্দু। সমস্ত মিলে এক আশ্চর্য সুসংগত ও নিখুঁত সম্পূর্ণতা পাঠককে মুগ্ধ করে।
এ উপন্যাসে নদী তার বাস্তবসত্তার ঊর্ধ্বস্থিত একটি অর্ধরূপক সত্তায় অধিষ্ঠিত হয়েছে-- এর প্রভাব গার্হস্থ্যজীবনের স্থাবরত্ব বিধ্বস্ত করে মানুষকে উন্মনা করেছে ও অনির্দেশ্য যাত্রাপথের ইঙ্গিত দিয়েছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাস পদ্মার উন্মত্ত তরঙ্গোচ্ছ্বাসের সাথে জীবিকান্বেষণরত মানুষের সংগ্রামের দিকটাকে গৌণস্থান দিয়ে তার গতিবিধির ত্বরিত অনিয়মিত ছন্দ ও ঘরোয়া জীবনের ছোট-খাট দ্বন্দ্ব-অতৃপ্তিকেই প্রাধান্য দিয়েছে। বিখ্যাত আমেরিকান ঔপন্যাসিক আরনেস্ট হেমিংওয়ের The Old Man and the Sea সমুদ্রে মৎস্য শিকারের অভিযানের মধ্যে নিয়তি-নির্যাতিত মানবাত্মার অদম্য সংকল্প ও পরাজয়ের মধ্যেও অক্ষুন্ন গৌরবের রূপক পরিস্ফুট করেছে। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসেও পদ্মার উভয় তীরের অধিবাসীদের রক্তধারায় কিছুটা অস্থির যাযাবরত্বের প্রেরণা এনেছে, ঘরের মায়া কাটিয়ে নিরুদ্দেশ যাত্রায় তাদের প্রবৃত্তি যুগিয়েছে। এ উপন্যাসে প্রতিটি আঙ্গিকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে “উপন্যাসের আসর সাজাতে হয়নি অতীতের কোন নিরাপদ অধ্যায়ে, অথবা কৌতুহলোদ্দীপক বৈদেশিক পরিবেশে; বর্তমান, প্রত্যক্ষ ও সমসাময়িকের মধ্যেই তিনি আজীবন শিল্পের উপাদান খুঁজেছেন এবং তার যে অংশটাকে শিল্পরূপ দিয়ে গেছেন, তা সাক্ষর ও বিত্তহীন সর্বসাধারণের সর্বাধিক পরিচিত। এইখানেই তাঁর বৈশিষ্ট্য ও সার্থকতা”। (--বুদ্ধদেব বসু, কবিতা, পৌষ ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ)