কবিতার মতো সত্য: ১১

১৭৬. সবসময়ই যার দুর্ব্যবহারের ভয়ে থাকতে হয়,
তার সঙ্গে ঘর করা কী যে কঠিন,
এক ভুক্তভোগী বাদে আর কেউই তা বুঝবে না।




১৭৭. যে জীবনে নৈঃশব্দ্য নেই,
সে জীবন মৃত্যুর মতন।




১৭৮. ভালোবাসা...
সেই ট্যারা চোখের
সুন্দরীটির মতন;
সবাই ভাবে,
আমার দিকেই
তাকিয়ে হেসেছে!




১৭৯. তিন রকমের মানুষ:




বুঝি না বুঝি,
বলি।




বলি না বলি,
বুঝি।




বুঝিও না,
বলিও না।




১৮০. দেখা যাবে,
আরেকজন যা করে ধরা খায়নি,
আপনি তা-ই করে ধরা খেয়ে বসে আছেন!




হুবহু একই ভুল করেও
সবাই পার পেয়ে যায় না।




ভিন্ন মানুষ,
ভিন্ন জীবন।




কাউকেই অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না,
করার সময় জায়গামতো এডিট করে নেবেন।




১৮১. ভালোবেসে ব্লক খেলাম!




বাধ্য হয়ে ফেইক আইডি দিয়েই তোমার সঙ্গে প্রেমটা চালিয়ে নিচ্ছি।




কী করব বলো! ভালোবাসি যে!!




১৮২. অমরত্ব চাইলে সত্য বলুন।
আয়ু চাইলে মিথ্যা শিখুন।




১৮৩. বলতে দাও।




যার মুখ খালি,
সে আর
কীই-বা করবে!




চকলেট খাও।




১৮৪. তুমি কাঁদলেই যে
ওরা তোমাকে
আর কাঁদাবে না,
তা নয়।




এতে বরং
ওরা জেনে যাবে,
তুমি কীসে কাঁদো!




১৮৫. আপনি সিগারেট খাওয়া পছন্দ করেন না?
ঠিক আছে, খাবেন না।




আমি খেলে আপনার কী?
আপনার টাকায় খাচ্ছি?
না কি আপনার ফুসফুস ধ্বংস করছি?
না কি আপনি আমার ঠোঁটে চুমু খেতে চাইছেন?




পয়সা গেলে আমার যাচ্ছে।
মরলে আমি মরব।
চুমু খেলে আমার প্রেমিকা খাবে।
আপনার অসুবিধে কী?




সবাই বেকার নয়,
কেউ কেউ বেআক্কেল।




১৮৬. পুরুষের
সাহস ও পৌরুষ
দেখানোর জায়গা
আর যেখানেই হোক,
বাইকের সিটটি নয়।




১৮৭. তোমার দুঃখ,
তোমার প্রেমিকার
পোষা বেড়ালটা
গত দু-দিন ধরে
কিছু মুখে নিচ্ছে না!




আমার দুঃখ,
আমার
অসুস্থ মা
গত দু-দিন ধরে
কিছু মুখে নিতে পারছে না।




আর তুমি কিনা শালা
আমাকে দুঃখ শেখাতে আসো!




১৮৮. যে আপনার আশেপাশে থাকলে
আপনার নিজেকে চোর চোর লাগে,
হয় তার আপনাকে ছেড়ে দেওয়া উচিত,
নয় আপনার তাকে ছেড়ে দেওয়া উচিত।




১৮৯. যার মধ্যে ঈর্ষা নেই,
তার মধ্যে ভালোবাসা নেই।
যার মধ্যে দুঃখ নেই,
তার মধ্যে বিশ্বস্ততা নেই।




যে আকাশে মেঘ নেই,
সে আকাশে রৌদ্র বেমানান।




১৯০. সবাই তো আর
তোমার মতন
নম্বর পেতে নাচে না!
তাই কাউকে নাচতে দেখলেই
ভুল ধরতে ছুটে এসো না!




১৯১. সন্তান যখন
পিতার আগে বৃদ্ধ হয়,
পিতার চোখের সামনেই,
তার চাইতে বড়ো দুঃখ
পিতার জীবনে আর হয় না।




১৯২. কান আছে, মাথা নাই,
কানকথা শুনে যায়।




১৯৩. দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা
দায়িত্বপালন করার বদলে
প্রায়ই,
ক্ষমতা দেখিয়ে ফেলেন!




১৯৪. দুঃখের কথা কাউকে বলতে নেই।
লোকে না বুঝেই কিছু রেডিমেড সল্যুশন দেওয়া শুরু করে।
নিজের অবস্থাটা এক নিজে বাদে
পৃথিবীর আর কারও পক্ষেই বোঝা সম্ভব নয়।




১৯৫. কেউ যখন দীর্ঘদিন ধরে দুর্ব্যবহার করে,
তখন সে আপনাকে যতই ভালোবাসুক না কেন,
দেখবেন, একসময় তার মৃত্যুযন্ত্রণাও
আপনাকে তেমন স্পর্শ করবে না।




১৯৬. যদি আপনি কারও উপর
তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে
এমন কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন,
যা তাকে একদিন যন্ত্রণা দেয়,
তবে সে আপনাকে সারাজীবনেও
কখনও ক্ষমা করতে পারবে না।




১৯৭. যার কিছু নেই,
শুধু তারই দুঃখ দেখো!
যার সবই আছে,
তার যন্ত্রণা বোঝোই না!




১৯৮. কাঁটার আঘাত
পাবার আগ পর্যন্ত
গোলাপ সুন্দর।
কাঁটার আঘাত
পাবার পরেই
গোলাপ বেশি সুন্দর।




দুঃখ
পাবার আগ পর্যন্ত
ভালোবাসা সুন্দর।
দুঃখ
পাবার পরেই
ভালোবাসা বেশি সুন্দর।




১৯৯. আগে মানুষের
বিবেক ছিল, জ্ঞান ছিল না।
এখন আমাদের
জ্ঞান আছে, বিবেক নেই।




২০০. এই যে আমায়
একটুও ভালোবাসো না,
এই যে আমায়
বকলেও কষ্ট পাও না,
কেন বলো তো?
আমি দেখতে কি
খুবই খারাপ?




২০১. আগে ভাবতাম,
ভালোবাসা'র শুরুটা
ভ দিয়ে।
এখন বুঝি,
ভালোবাসা'র শুরুটা
ত দিয়েই।




২০২. কিছু ঘর খালি,
তবু থাকা যায় না।




কিছু ঘরে থাকা যায়,
তবু খালি হয় না।




২০৩. আমার শৈশবটাই
আমার ঘর।
আমার বর্তমানটাই
আমার নির্বাসন।




২০৪. আমি নাহয় অপেক্ষা করিনি,
কিন্তু তুমি তো পারতে ধরে রাখতে!




২০৫. যে সবার থেকে
আলাদা হয়েই আলাদা,
সে-ই সুখী।
যে কারও থেকে
আলাদা না হয়েও আলাদা,
সে-ই দুঃখী।




২০৬. সমতলে থেকো না,
গভীরে যাও।
সমতলেই
সব পাওয়া গেলে,
অনেকেই পেত!




২০৭. তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে
ক্লান্ত হয়ে যাবার পর
একদিন
তোমাকে খুঁজে পেতে
শিখে নিলাম।




তোমাকে দেখতে
এখন শুধু
নিজের দিকেই তাকাই।




২০৮. বেঁচে আছি,
তুমি আছ জেনে।
বেঁচে আছ,
আমি নেই জেনে।




তোমার চোখে
মৃত বলেই,
মৃত্যুকে আর
ভয় পাই না।




২০৯. ফ্রিজটা
প্রায়ই খুলি।
তাই খাবার ফুরিয়ে যায়
মেয়াদ ফুরোনোর আগেই।




আমার হৃদয়টা
কেউ খোলে না।
তাই মেয়াদ ফুরিয়ে যায়
খাবার ফুরোনোর আগেই।




২১০. আমি তোমায় ভালোবাসি,
ভুলে যেতে চাই বলে।




আমি তোমায় ভুলে যাই,
ভালোবাসতে চাই বলে।