কবিতার মতো সত্য: ১০

১৪১. ক্যাপাসিটির বাইরে গিয়ে কাঁদা উচিত নয়,
ওরকম করলে ক্যাপাসিটির ভেতরে থেকে হাসা যায় না।




১৪২. যে তোমার সেই কাজে মুগ্ধ হয় না,
যে-কাজটি করতে তুমি ভালোবাসো,
সে তোমাকে যতই ভালোবাসুক না কেন,
তার সঙ্গে সুখী হওয়া অনেকটাই অসম্ভব।




১৪৩. জলের নিঃসঙ্গতার কাছে
আমি দীক্ষা নিয়েছি।
সে-ই আমাকেই কিনা
তৃষ্ণায় মেরে ফেলার
ভয় দেখাও তুমি!




১৪৪. পেশায় বেকার,
নেশায় হেটার।




১৪৫. মুখে মুখে ফকির সাজে,
মনে মনে ফিকির ভাঁজে।




১৪৬. যার যা দরকার,
সে কেবল তা নিয়ে বলতেই থাকে।
তার রক্তের দরকার হলে,
সে চাইবে আপনার শরীর থেকে
রক্ত বের করে নিয়ে নিতে,
আপনার শরীরে আদৌ রক্ত
আছে কি নেই,
তা শুনতেই চাইবে না।




যার রক্ত দরকার,
আপনি যদি রক্তশূন্যতায় ভোগেন,
তবে কোনও কারণ ছাড়াই
সে আপনাকে খারাপ ভাববে!




১৪৭. কাছে যাইনি,
দূর থেকে দেখে একটু হেসেছি।
ওতেও অপরাধ ধরে ফেললে!




১৪৮. স্বামী-স্ত্রী’র অশান্তি,
সন্তানের শান্তি,
সংসারের ক্লান্তি।




১৪৯. তুমি না চাইলে
তোমার হাত চাইবে কী করে?




তুমি না পারলে
তোমার হাত পারবে কী করে?




ভেতরে যা নেই,
হাত থাকলেও
তা বেরোয় কী করে?




খেলেই ছ্যাঁকা,
যাবেই লেখা?




ছ্যাঁকা যদি লাগেই লিখতে,
এ হাতটা আছে কী করতে?




১৫০. যা আমি পাইনি
আজ‌ও,
নিয়ে গেলে তা-ই!
যা তোমার হবে না
কখনও,
রেখে দিলে তা-ও!




১৫১. আমায় ভালো না বাসো,
কিন্তু আমার ভালোবাসাকে
অমন তাচ্ছিল্য কোরো না।




ওটা না থাকলে
আমায় অবহেলার
এই সুখটা
তুমি কীভাবে পেতে?




১৫২. আমায় দেখে
তুমি হাসোনি বলেই,
আজও বইয়ের
শেষ পৃষ্ঠা থেকেই
পড়া শুরু করি।




১৫৩. ধরা পড়ে
চোর হেসে বলল,
তোমার যেটুক ছিল,
আমি নাহয়
তা-ই নিয়েছি!
তোমার যা ছিল না,
সে যে তা-ও নিল,
দেবার পরও,
তার বেলা?




১৫৪. কাদা মাড়িয়ে যাবার সময়ও
লোকে যতটা সাবধানে পা ফেলে,
এ বুকটা মাড়িয়ে যাবার সময়
তুমি অতটা সাবধানে পা ফেললে না!




১৫৫. গোলাপ আঁকছ?
হাতে তুলি কেন?
কাঁটা কোথায়?




১৫৬. তুমি আমার দ্বিতীয় ভালোবাসা।
প্রথম ভালোবাসা? তোমার হাসিটা!




১৫৭. অকৃতজ্ঞ স্ত্রী,
ব্যক্তিত্বহীন স্বামী,
চিরস্থায়ী দুঃখ।




১৫৮. একটা প্রজাপতিও
আমার চেয়ে
ভালো,
এক ফুল ছেড়ে
আরেক ফুলে গেলে
সে ঠিকই
মানিয়ে নিতে জানে!




১৫৯. নিজের ভুল স্বীকার করার
মানসিক শক্তি যার মধ্যে নেই,
তার সঙ্গে সংসার করা
মৃত্যুর সমান।




১৬০. যে মেয়ের বাবা অথর্ব ধরনের,
সে মেয়ে মনে মনে একজন
অথর্ব স্বামীই চায়।




১৬১. একদিন
জীবনের অর্থ ছিল
তিনটি শব্দ:
আমরা ভালো আছি।




আজও
জীবনের অর্থ
তিনটিই শব্দ:
জীবন কেটে যায়।




১৬২. সে কি সত্যিই পাগল?
না কি মদ খেয়েছে?




চেনোই না যাকে,
তাকে চিনতে
মাত্র দুটো অপশন দিলে!




১৬৩. জিততে চাইলে
যতদূর আসতে পেরেছ,
তা দিয়ে না ভেবে
আরও যতদূর এগোতে হবে,
তা নিয়ে ভাবো।




১৬৪. ভালো ঘর দেখে বিয়ে করে কী লাভ?
যাকে বিয়ে করবেন, সে তো ভালো না-ও হতে পারে!




খারাপ ঘর দেখে বিয়ে না করে কী লাভ?
যাকে বিয়ে করবেন, সে তো ভালোও হতে পারে!




১৬৫. যার সঙ্গে থাকলে
নিজের সেরাটুকু
বেরিয়ে আসে না,
তার সঙ্গেই
থাকতে হয় যাকে,
সে বড়ো দুর্ভাগা!




১৬৬. তোমার সঙ্গে আছি,
এজন্য নয় যে,
তোমাকে ভালোবাসি;
বরং এজন্যই যে,
ভালোবাসি যাকে,
সে চায়,
তোমার সঙ্গেই থাকি!




১৬৭. রাখতে গিয়ে
ঘরের মায়া,
ছাড়তে হলো
চাঁদের কায়া।




১৬৮. একেক সময়ে
আমি একেক রকম।




যেরকম থাকতে
আমি ভালোবাসি,
তুমি পাশে থাকলে
ঠিক সেরকমই
থাকি বলে
তোমাকে ভালোবাসি।




১৬৯. আমি যা,
তোমরা কেউই
তা দেখো না।




আমার মতন কেউ যা,
তার চেহারায়
তোমরা আমাকে খোঁজো।




১৭০. যদি ভালোবাসো,
আমায় নিয়ে থেকো না,
আমি যা নিয়ে থাকি,
তা-ই নিয়ে থেকো;
ওতেই হবে।




১৭১. মানুষটাকে যত ঘাঁটাবেন,
মানুষটাকে তত হারাবেন।




১৭২. ভালোবাসা চাই না;
শুধু চাই,
যতটা ভালো
আমি তোমায় বাসি,
ততটা ভালো
তুমি নিজেকে বেসো।




১৭৩. তোমার তুমিত্ব,
আমার আমিত্ব,
আমাদের দূরত্ব।




১৭৪. জীবন যখন
প্রশ্নের উত্তর দিতে
আর পারে না,
মানুষ তখনই
মৃত্যুর কথা ভাবে।




এরপর আর কোনও স্মৃতি থাকে না।
এরপর আর কোনও প্রশ্ন থাকে না।




১৭৫. সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে
নিজেকে বুঝিয়ে যাই,
হ্যাঁ, তোমার মুখও সুন্দর!