আটের আঁট

১. এখন এই বেলা আড়াইটের সময় কেন আমার ঘুম পাচ্ছে, যখন বাকিরা সবাই চোখ মেলে গাঢ় করে চেয়ে থাকে? আর রাত্রি আড়াইটে বাজলে কেন সব শক্তি নিয়ে আমি উঠে দাঁড়াই, যখন গভীর ঘুমে তলিয়ে থাকাই নিয়ম?




২. আমি সমুদ্র হয়ে কেন দাঁড়াতে যাব নদীর সামনে?




৩. মাথার ভেতরে ভাংচুর চলছে…তুমি ওসব বোঝো না বলেই বেঁচে আছ!
সবাই তো আর মাথার ভেতরে ভাংচুর নিয়েও বাঁচতে পারে না!




৪. আমাকে লিখতে বসিয়ে দিয়ে কলম কেড়ে নিয়ে ভাবছ বুঝি, খুব শাস্তি দিয়ে দিলে?
আমি যে চোখ দিয়েও লিখে ফেলতে পারি একসমুদ্র জলের সমান…সে খবর তুমি জানো?




৫. আমি দায়িত্বহীন নই, আমি এক খেয়ালি মানুষ।
মনের খুশিই আমার চলার নিয়ম, খেলার সাথী কিংবা খালাতো বোন...
আর যুক্তি কোনোভাবেই আমার কোনও চাচাতো বোন নয়।




৬. একপৃথিবী স্বপ্ন পাঠালে কয়টা রাখতে পারবে মনে?




৭. বাসন মাজার চেয়েও মনের সঙ্গে মন ঘষিয়ে যাওয়া কঠিন কাজ!
তুমি বরং বাসনই মাজতে থাকো…কেমন?




৮. কাগজে-কলমে প্রেমপত্র কে লেখে তোমায়?
কে-ইবা ওসব লিখতে পারে?
যে অনুভূতি আমাকে স্বর্গ থেকে ঘুরিয়ে আনে, সেই অনুভূতিকে ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা এই কাগজ-কলমের নেই।