স্বপন যহন মইরা যায়



মনের মইধ্যে স্বপন আছিলো, তোমারে পাইবার আনন্দে একদিন আমি হু হু কইরা কাইন্দা দিমু। অথচ হেই তোমারেই কিনা পাইয়া বসলো অন্য কেউ!


বড়ো শখ আছিলো, তোমারে ছুঁইতে পারার অধিকারে আমি খুশিতে চিৎকার কইরা হাসমু, অথচ হেই তোমারেই কিনা এহন রোজ রোজ ছোঁয় অন্য মানুষে!


ননাই রে, কত সাধ আছিলো, তোমারে এক বার কাছে পাইবার সুখ পুরা দুনিয়ার লগে ভাগ করমু, অথচ দ্যাহো, হেই তুমিই কিনা আরেকডা মানুষের গোটা একখান দুনিয়া হইয়া বইসা আছ!


যে মানুষডারে আমি আমার গোটা দুনিয়া ভাবি, হেই মানুষডারই দুনিয়া কিনা অন্য কেউ!


আচ্ছা ননাই, কইতে পারো, মনের মানুষের মনে যহন থাকে আরেক মানুষ, তখন কেমনডা লাগে?
আমি কইতাছি, হুনো! চিতায় পুইড়া খাক-হওয়া লাশ যেমনি হাড্ডিসুদ্ধা জ্বইলাপুইড়া ছারখার হয়, অন্তরডাও ঠিক তেমনিই পুইড়া ছারখার হয় গো, ননাই!


জানো ননাই, সবাই জিন্দা দ্যাহে আমারে, অথচ আমি জানি, আমি তো হেইদিনই মইরা ছারখার হইয়া গেছি, যেইদিন তোমার মুখ থেইকা হুনছি, তুমি আমারে না, অন্য কাউরে ভালোবাসো!
হেইদিনই বুঝছি, আমার মরণের পর আমারে পুড়ানোর আর দরকার নাই গো, আমি মরার আগেই পুইড়া কয়লা হইয়া গেছি গো, ননাই, পুইড়া কয়লা হইয়া গেছি!