ভাবনার বনসাই: সাতাত্তর

১. গাংচিলের দল
হঠাৎ পেছন ফিরে
সমুদ্রকেই তাড়া করে!


২. আকাশে পথ হারিয়ে,
ইগল, শক্ত নখরে,
আকাশকেই বেঁধে ফেলে।


৩. বৃদ্ধ কাকেরা
কুয়াশার ভেতর থেকে
উঁকি-দেওয়া পাথর দেখে
মুখ ঘুরিয়ে বসে।


৪. পরের সূর্য দেখে
আগের ডাহুকটা
কাঁদে।


৫. গায়ে মেখে চাঁদের আলো
শুকনো পাতা
মৃত গোলাপের উপর গিয়ে পড়ে।


৬. পাতাদের দল
উঠোনে উঠোনে ঘোরে,
ধুলোয় মোড়া
পুরনো পুতুল
লুকিয়ে ফেলে।
সেই পুতুলের
চোখ ছিল না।


৭. মুখোশে ঢাকা মুখটি
নর্দমার ভেতরেও
ধীরে ধীরে
নড়ে ওঠে।


৮. পদ্মফুল:
জলের বাইরে...
জীবনের বাইরে।


৯. কলঙ্ক:
চাঁদ থেকে
আলোই ছড়ায়।


১০. হাওয়ার গায়ে গায়ে
মাছিদের ফসিলের উৎসব।


১১. যারা লাশ নামায়
কবরে,
ওদের ছায়া গিয়ে মেশে
লাশের চোখে।


১২. বুকের পর্দা সরিয়ে
উত্তাপে উত্তাপ ঢোকে।


১৩. জয়মাল্যে
দরোজা সাজাই,
হাওয়ার
চৌকাঠ ভেঙে!


১৪. মৃত্যুর পর
ভাইয়ের কান্না শুনি
আমার হাসিতে।


১৫. শীতটুপির ফাঁকে ফাঁকে
গ্রীষ্মের প্রার্থনারা
নেয় অশ্রুর আকৃতি।


১৬. বেড়ালের বাচ্চাগুলি
ডুবতে ডুবতে
পুকুরের জল
শীতল হতে দ্যাখে।


১৭. সস্তা ভুলের
দামি অনুশোচনা।


১৮. শহুরে নাপিত
গেঁয়ো চুলের
খোঁজ রাখে কি?


১৯. কুকুর
ইঁদুরের গর্তের সামনে গিয়ে
তারস্বরে চেঁচালেও
গর্ত থেকে
বেড়াল বেরোয় না।


২০. কোলাহলের পর
ছুটির ঘণ্টা বাজলে
শব্দহীনতার সঙ্গে
আত্মার অনন্ত সঙ্গম।