ভাবনার বনসাই: ছিয়াত্তর

১. এত বৃষ্টি! এত বৃষ্টি!
ধরল না নদীতে,
ঠাঁই হলো সমুদ্রে!


২. পাহাড়ে পাহাড়ে
নির্দয় বজ্রপাত!
ঠিক তখনই
মাকে মনে পড়ে।


৩. হঠাৎ ঝড়ে
গোলাপি ঠোঁটজোড়া
ফ্যাকাসে হয়ে যায়।


৪. বৃষ্টি ঝরতে দেখে
বোকা মেয়েটা
দু-চোখ বাড়িয়ে দেয়।


৫. মেয়েটা
যে বালিশে শোয়,
তা ছিঁড়ে ছিঁড়ে গেছে...
মাথার ভারে নয়,
চোখের জলে।


৬. বন থেকে বেরিয়ে
ছোট্ট পাখি
শহরের কার্নিশে বসে
ডানা ঝাপটায়
উড়তে ভুলে।


৭. ভারী বৃষ্টিতে
ছাতার শরীর
ঘ্রাণ ছড়ায়।


৮. হেমন্তের এক বিকেলে
এক আগন্তুক
এক গ্রামে ঢুকে
আরেক গ্রামে থামে।


৯. ভাঁজ-করা ন্যাপকিনে
ছায়াদের গল্প-আসর।


১০. তপ্ত দুপুরে
হাওয়ায় হেলান দিয়ে
স্বপ্নরা আসে।


১১. ফাঁকা হুইলচেয়ার
স্মৃতিতে ঘোরে
এ-ঘর ও-ঘর।


১২. দূরের তারা
ঝড়ে কাঁপে,
সমুদ্রের আলো
ভয়ে নেভে।


১৩. শহরের রাস্তাগুলির,
দালানগুলির এবং গাড়িগুলির
ভেতরে অন্ধকার।


১৪. ঝড়ের দিন দীর্ঘ
রাতের সুখের চেয়েও!


১৫. মধ্যপথে
থেমে পথিক ভাবে,
মেঘ কাঁদবে কবে?


১৬. পথের শেষে
বাসের কনডাক্টর
সিটগুলি
হঠাৎ
ঘুরিয়ে দেয়!


১৭. আকাশে আকাশে
চিলের কান্না খুঁজে বেড়াই
বাজপাখির ঠোঁটের মাপে।


১৮. কী একটা সকাল!
চড়ুইরা সারি ধরে বসে আছে;
ওদের সবারই
মাথা কাটা, ঘাড় ফাঁকা।


১৯. ঝর্নার গভীরে
মৃত মাছটি
এখনও
স্রোত সামলে
পড়ে আছে।


২০. রৌদ্রে রৌদ্রে
চিকমিক-করা বালির
অর্ধেকটা
বালিই নয়!