ভাবনার বনসাই: বারো


১. বিষের পেয়ালা হাতে নিয়ে কসম খেয়ে বলছি, আমি সত্যিই বেঁচে থাকতে চেয়েছিলাম!


২. - শায়ের, আপনি কীভাবে এত সুন্দর করে লেখেন?
- তোমরা যে লেখাগুলোর গুণগান করো, তার চেয়েও ভালো লেখাগুলোকে ভেতরে পিষে ফেলে।
- কেন?
- এটাই যে নিয়ম!


৩. - শায়ের, লেখার সময় আপনার কেমন লাগে?
- শরীরটা অবশ লাগে, এর বেশি কিছু বলতে পারি না।


৪. - শায়ের, আপনার লিখতে কষ্ট হয়, না কি আনন্দ?
- কিছুই হয় না। কিছু শব্দ, অক্ষর রেখে গিয়ে কেবলই জন্মের ঋণ লাঘব করার জন্যই আমি লিখি।


৫. আমার মদ খাওয়া নিয়ে তোমরা বাজে কথা বলো? হা হা...যাও, তুমি যত খুশি মদ খাও! তার পরে একটি দু-লাইনের শায়েরি লিখে দেখাও!


৬. ছোটো ছোটো আনন্দকে যে ছুঁয়ে দেখতে পারে না,
বড়ো বড়ো আনন্দ কখনও তার আঙিনা মাড়ায় না!


৭. আমায় এক বার দেখতে এসো, শেষ বারের মতন।
সাদা গোলাপ নিয়ে এসো, কেমন? শেষ বারের দেখায় সব কিছুর রংই সাদা হতে হয়, জানো তো?


৮. আমাকে শত্রু ভেবো না, আমার লেখাকে হিংসে কোরো না। কোনো না কোনোদিন আমার এই লেখাগুলোকেই তোমাদের পরের প্রজন্ম নিজেদের অভিধান হিসেবে ব্যবহার করবে!


৯. আজও সকাল হয়ে গেল!
আমি কি তবে আর ঘুমোতে শিখব না?


১০. আমি চিঠি লিখেছি তোমায়, শুধু ছুঁয়ে দেখবে এক বার? তাহলেই আমি উত্তর পেয়ে যাব!


১১. এত হাসছ যে?
খুউব মন খারাপ?


১২. আমি একটু তোমায় দেখতেই তো চেয়েছিলাম,
আর তুমি কিনা ঘড়ি পরে এলে!


১৩. আমি কাঁধ সাজিয়ে রেখেছি; বলো, কোন পাশে মাথা রেখে কাঁদবে?


১৪. যেতে দিলাম, নেই পিছুটান, নেই কোনও ভয়।
প্রেমিকার কান্না সইতে পারে যে প্রেমিক, সে কিছুতেই প্রেমিক নয়!


১৫. তুমি যদি ঠিকঠাক নিজেকে দোষ-গুণসহ আমার সামনে মেলে ধরতে পারো, তুমি আমাকে পেয়ে যাবে।


১৬. - আমায় শাড়ি কিনে দাও।
- শায়েরের অত টাকা কোথায়? কবিতা ছাড়া যে আমার কিচ্ছু নেই!
- তবে আমার পুরনো সাদা থান ভর্তি করে কবিতা লিখে দাও। ওটাই হবে নতুন শাড়ি।


১৭. আমি কখনও তোমায় মিথ্যে বলিনি, কিন্তু তুমি আমায় ভুল বুঝেছ।
আর তুমি প্রতারণা করেও আমার কাছ থেকে ঠিকই ক্ষমা পেয়েছ!


১৮. আমি মাটি হতে চাইছি। ও মাটি, আমায় নাও না? মিশিয়ে ফেলো তোমার সাথে।


১৯. - শায়ের, একজন প্রকৃত মানুষ কে?
- চাওয়া আর লোভের মধ্যে পার্থক্য বোঝে যে!


২০. - শায়ের, আপনি আপনার প্রেয়সীর সঙ্গে কখনও কথা বলেন না কেন?
- তার প্রশ্ন কি উত্তর, সবটাই আমি জানি, যেমন করে সে-ও জানে আমারটা। তাই, আমরা শুধু পরস্পররের চোখে চেয়ে থাকি, কথা বলারই তো প্রয়োজন পড়ে না!