ভাবনার বনসাই: তিরানব্বই

১. ছোট্ট জীবন,
সেখানেও কত দুঃখ!
অকেজো লোকের
আরও বেশি দুঃখ।


২. আমাদের ঘর,
তারাদের ঘর---
অন্ধকার দুই-ই।


জ্বলে শুধু তারারাই।


৩. আমি ছিলাম যেখানে,
সেখানে আমিই ছিলাম,
তুমি না।


৪. তারা খসে পড়ে
আলো ছড়িয়েই!


৫. বেড়ালের স্বপ্ন
মাছের কাঁটা
পর্যন্তই।


৬. ঊর্ধ্বকমা:
নদীর সঙ্গে শাখানদীর
বন্ধুত্ব।


৭. সেমিকোলন:
দুই বুনোহাঁসের
একটি, ঠোঁট ডুবিয়ে
শামুক খোঁজে।


৮. ত্রিবিন্দু:
এক শোকার্ত ডাহুক
ডানা ঝেড়ে কাঁদে।


৯. তারকাচিহ্ন:
বকের সারিতে
পায়রা ঢোকে।


১০. কমা:
মাথানত একটি পালক
ঢেউয়ে নামে-ওঠে।


১১. বিস্ময়সূচক চিহ্ন:
রেলিং ধরে
চড়ুই লাফায়।


১২. কোলন:
ভোরের শিশির
যেভাবে রৌদ্রে পোড়ে।


১৩. প্রশ্নবোধক চিহ্ন:
নীরবতার দৈর্ঘ্য
ভবঘুরের কথোপকথনে।


১৪. একটাই ইচ্ছে---
সহানুভূতি চাই না,
শুধু আমার যোগ্যতাকে
জিতিয়ে দিয়ো।


১৫. এই চোখদুটিকে
পৃথিবীর ত্বকের অনেক নিচে
পুঁতেও যদি ফেলো,
সেখান থেকেই হবে দৃষ্টির শুরু।


১৬. নীরবতা---ঈশ্বরের শব্দ।
অন্ধকার---ঈশ্বরের আলো।
কান্না---ঈশ্বরের ইশারা।


১৭. বৃষ্টি, ফুল, সাগর, বাতাস...
আঁধারের মানচিত্র আঁকে।
আমি তখন এই পৃথিবীর
গানের খাতা খুলে বসি।


১৮. দৌড়োতে দৌড়োতে
কাঁদতে কাঁদতে
অবশেষে বসন্ত।


১৯. দুই গাছের মাঝে
যে মুহূর্তটি আটকে গেছে,
সেখানেই সমুদ্র।


২০. খুব সংক্ষেপে, মেয়েটা:
যা দেখে এবং যা সত্য,
এই দুইয়ের সম্পর্কে, সমস্ত
কেন এবং কেন নয়-এর মিলিত সত্তা।