ভাবনার বনসাই: চুরানব্বই

১. আলিঙ্গনের উষ্ণতা...
বাড়ে কি কমে,
ওতে ঋতুর কী দায়?


২. গোধূলিতে ঠায় দাঁড়িয়ে
কান পেতে দূরে শুনতে পাই…
ব্যাঙাচিদের প্রার্থনাসংগীত।


৩. যুদ্ধের স্বপ্ন দেখতে দেখতে
একদিন খুন হয়ে গেলাম!
অতৃপ্ত হৃদয়ে মৃত্যু নয়, পরাজয়‌ই পোড়ে!


৪. নীরব মধ্যরাতে, চাকরি বাঁচাতে
আমাদের খেতের কাকতাড়ুয়াটা
পাখিদের খুঁজে চলে…


৫. ধান বোনে যে,
তার মুখের দিকে তাকিয়ে
কেউই ভাত গেলে না।


৬. বুনোহাঁসের দল
যখন জলের উপরে চলে,
আকাশে হয় লেখা…একেকটা কবিতা।


৭. পুরনো আশাগুলি আজ মৃত।
নতুন স্বপ্নগুলি আজ শুষ্ক।
তবু প্রতিটি বসন্তই সবুজ হয়ে আসে…


৮. ঝড়ের কবলে যখন পাখির বাসা,
তখনও...পাখির বাচ্চাদের খিদে পায়,
ক্ষুধার্ত দু-ঠোঁট খোলে…বৃথাই চেঁচায়।


৯. হাওয়ায় হাওয়ায় ভরতনাট্যম…
জোড়ায় জোড়ায় প্রজাপতিরা…
দুই থেকে হয় ততোধিক।


১০. সন্তানের মৃত্যুতে
কারও পৃথিবীর বিবর্ণ সমস্ত কুয়াশাই
স্বচ্ছ শিশির হয়ে ঝরে।


১১. কালো ঘন মেঘ
রাত্রি নামলে টুকরো হয়ে ছড়ায়
নীল চাঁদোয়ায় পাহাড়ের গায়।


১২. বৃষ্টির পর রংধনু দেখে
মেঘের ঠিকানাই আর
ছিল না মনে।


১৩. এসো, ভাতের থালায়
ফুল সাজিয়ে রাখি।
এসো, ফুলের গরম ঘ্রাণে খিদে তাড়াই!


১৪. রাত নামলে...প্যাঁচা কি শকুন,
সবার থাবাতেই দেখি
ইগলের তীক্ষ্ণ নখর!


১৫. আহা, এ কী অপূর্ব দুটি গোলাপ বাগান!
একটিতে ফুল ফোটে দিনে,
আরেকটিতে রাতে।


১৬. মাটিতে পড়ে-থাকা ফুল
শাখায় কি কখনও ফেরে?
ফুলের শূন্যতা প্রজাপতিতে কি পোরে?


১৭. আহা মেঘ! আহা মেঘ!
কারও চোখে বৃষ্টি নামায়,
কারওবা চোখে শস্য!


১৮. এই ঠুনকো পৃথিবী নিয়েও কী বাহাদুরি!
অথচ একটুখানি যত্ন না নিলেও
রত্ন বলতে থাকে না কিছুই!


১৯. গাছে গাছে আজ ফুলের আগুন…
না না, ভুল হলো!
ও যে লন্ঠন-উৎসব!


২০. গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে
প্রজাপতিরাও হিসেব করে
ওড়ে ফুলে ফুলে!