ভাবনার বনসাই: পঁচানব্বই

১. এইসব অন্ধকার সমুদ্রে,
এক-একটা শীতল নরক হতে
উদ্‌গিরিত হয়…বসন্তের আভা।


২. সমুদ্রের পিঠে পিঠে
ঝিনুকের সঙ্গে মিশে মিশে
পাপড়ি হারায় মুক্তোতে মুক্তোতে।


৩. নদী জড়ো করে
অঝোর বৃষ্টি…শীতল ঝরনা থেকে
সমুদ্রকে দিতে নৈবেদ্য।


৪. ডালে-পাতায় গড়া দরোজা
ঘাসে ঘাসে গড়ে কবজা;
তার তালাটাও, ক্রমেই গড়ছে শামুক।


৫. হাওয়ায়-ওড়া, বৃষ্টিস্নাত…
নত-আনত তৃণ, নরম-কোমল;
সেখানেই থাকি…তোমার অপেক্ষায়।


৬. ঘুম ভেঙে বৃদ্ধ বেড়াল
হাই তোলে আর ভাঙে আড়মোড়া,
তাকিয়ে খোঁজে…ভালোবাসা কই!


৭. কুয়াশার শুভ্র মেঘ,
তার উপরেও শুভ্র,
নিচে পাহাড়ের ধূসর কায়া।


৮. শুনছ! আমার ছোট্ট কুঁড়েটা
নতুন খড়ে গড়েছি মাত্রই!
এখানে এসো, সুখের ঘায়ে মূর্ছা যেতে!


৯. শহরের রাস্তায় রাস্তায়
মেঠোঘ্রাণের ধ্যানে ধ্যানে
অপরিচিতদের চোখেও বন্ধুর ছায়া…


১০. দেখো, দেখো…দেখোই না!
কী দেখব?
কিছু না…ঘুমাও!


১১. সবুজ ছায়ার নৃত্য…
চেয়ে দেখো, আমাদের সবুজ…
কীরকম নেচে নেচে হয় ধূসরিত…


১২. দাঁড়াও…দাঁড়াও! গোলাপ ছুঁয়ো না!
এটুকু বলেই কী ভেবে যেন…বন্ধু আমার
গাছের সমস্ত গোলাপ ছিঁড়ে হাতে দিল!


১৩. গোধূলি ক্রমেই সন্ধের পথে হাঁটে…
দূরে বাজে তীব্র শিস…
শরীরে শরীরে একাকী অন্ধকার গাঢ় হয়ে আসে…


১৪. ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করে যায়…
অক্ষর নয়, হৃদয়টাই শুধু কাঁপে!
ঈশ্বরকে জাগাতে গিয়ে নিজেই কেমন জাগে!


১৫. অনেক পবিত্র রাত্রি,
নতুন শুভ্র চাঁদ, আমরা অবাক হয়ে দেখি,
দুপুরের যা স্মৃতি, চলে গেছে তার সবই!


১৬. সেই কলমটি দিয়ে...
যে আমার আত্মার যত্ন নেয়,
আমি সবসময় লিখি।


১৭. আত্মার ডানাতে
মুক্ত ভাবনার পাখি
উঁচুতে ওড়ে, লেখা আসে।


১৮. দূরে, অনেক দূরে...
তুমি আছ যদিও,
পাই তোমাকে এই শব্দে, এই নিঃশব্দে।


১৯. গানের ভেতরে ঢোকো,
ওতে আত্মায় আত্মায়
লুকোনো আত্মা…


২০. হে জীবন, জাগো!
গভীর নিঃশ্বাসে এই হাতে রাখো
কলম কিংবা পেনসিল।