মোহের শরীর

জংলাপাড়ের শাড়ি পিনলে তোমারে ফাইন লাগত। আমি দূর থিকা চাইয়্যা থাকতাম হাঁ কইরা, জানি আসমান থিকা দেবী নাইম্যা আইছে!




মাটি কাটার পরে আমার জলের তেষ্টা পাইত; দৌড়াইয়া তাই কলের পাড়ে যাইতাম। তোমারে দেইখা কীসের জল, কীসের তেষ্টা... সব উইবা যাইত। তাই বইলা এত সুন্দর হয় কোনও মানুষ! এতই সুন্দর!




আইচ্ছা, নাকে নোলকটা ক্যান পরলা? তুমি ক্যামনে বুঝলা যে এই শাড়ির লগে এই নোলকটাই মানাইব!? গাঁও-গ্যারামের মাইয়্যামানুষ থাকব অবুঝ, আউলাইয়্যা থাকব শাড়ি, চুলে চিরুনি পড়ব না টানা দুইদিন। তাইলে পরেই না হেই অজুহাতে আমরা শহরের মাইয়্যাগো দেখমু। তুমি এইগুলা বুঝো না? তুমি কেন এত গুছাইয়্যা পরিপাটি হইয়া চলো?




এমনে চললে কি আমার শহরের মাইয়্যাগো কথা আর মনে থাকব? আমি যে মাটি কাটার কাম ফালাইয়া থুইয়্যা এহানে জল খাইতে আইছিলাম, হেইডা মনে থাকব? আমার কি মনে থাকব যে সামনের আশ্বিন মাসে তোমার বিয়া? ক্যামনে মনে রাহুম যে তুমি আমার না, ক্যামনে?