ভাবনার বনসাই: এক-শো আটাত্তর

১. সয়ে যাও আয়ু,
সে-ও যে তোমায় সয়!




২. রাতকে পিছু ডেকে
দিনের কী লাভ?




৩. কার ডাকে কে সাড়া দেয়!
কার ঘরে কে হানা দেয়!




৪. ধর্মে দড়ো,
আকামে বড়ো।




৫. ধনীর চরিত্রহীনতাই
গরিবের সান্ত্বনা।




৬. যে বাঁশির ডাকে
রাধা সাড়া দেয়,
সে বাঁশি ডাকে
আরও বহু রাধাকেই।




৭. কুকুরের মতো অনুগত হলে
সেই আচরণই পাবে,
যা কুকুরেরা পায়।




৮. ভাঙা আয়নার টুকরো
বুকে জড়িয়ে কী হয়?
মেলাশেষে নাগরদোলা
কেবল স্মৃতিই তো রয়!




৯. কেউ কোন‌ও বিষয়ে নিঃস্বার্থ হতে না চাইলেও
তাকে সে বিষয়ে নিঃস্বার্থ হবার জন্য
জোরাজুরি করার নাম‌ই স্বার্থপরতা।
১০. যখন সন্ধে,
তখন এক ছায়া বাদে
আর কে সঙ্গ দেয়?




১১. সূর্যাস্তে যে ভালোবাসার সূচনা,
সূর্যোদয়ে তার যবনিকাপতন!




১২. সারারাত ঝড়ের পরেও
নেভেনি যে বাতি,
তার আলোয়
প্রেমিকের কী এসে যায়?




১৩. ফুলের কোলজুড়ে
বৃষ্টির বসতি।




১৪. মন্দিরের পুরোনো গায়ে গায়েও
বুনোফুলের রংধনু।




১৫. হাওয়ার ঠোকরে ঠোকরে
বিপর্যস্ত পাতার দল।




১৬. ঝরনার জলে জলে
ব্যর্থ প্রেমিকার অনর্গল অশ্রুধারা।




১৭. বিরক্তিকর লোকটার
নাকডাকার শব্দে
পাখিদের ঘুম‌ও ভেঙে যায়।




১৮. কোকের খালি বোতল
ঝরনার জলে ভরে
টোকাই ছেলেটি
কোমল পানীয়র সুখ নেয়।




১৯. জুতোয় মাড়ানো
ঘাসের গায়েও
ফুল ফোটে।




২০. বালিকা
কনকনে শীতে
ঠান্ডা জলে কোমর ভেজায়
উষ্ণতা তাড়াতে।