পরিণতি নয়, পূর্ণতা/প্রথম অংশ

এই যে! শুনছেন? যে আইডি থেকে কথা বলতাম, মানে, মূলত আমিই বলে যেতাম, সেটা থেকে আপনাকে আর লিখতে পারব না। আমার প্রেমিক, যাকে আমি ভালোবাসি বলেই আমি, ও এবং সবাই জানি, তার সাথে পরিচয়ের শুরুতে একটা শর্তে আমি বাঁধা পড়ে গিয়েছিলাম। “আজ থেকে আমার সবকিছুই তোমার; আমার হৃদয়, আমার মন, আমার টাকাপয়সা, আমার জিনিসপত্র, আমার ভাবনা; সবকিছুই! শুধু ফেসবুকের পাসওয়ার্ডটা কখনওই জানতে চেয়ো না।” ও আমাকে সব দিতে পারবে, শুধু ওর ফেসবুকের পাসওয়ার্ড ছাড়া। এটা আমি কখনওই চাইতে পারব না। আমি চাইওনি। ও আমারটা চেয়েছিল। আমি দিতে রাজি না হলে ঠাট্টা করে বলেছিল, হৃদয় দাও না দাও, পাসওয়ার্ডটা দিতে হবেই। কেন ছেলেদের প্রেম ফেসবুকের পাসওয়ার্ডের বদলে আর মেয়েদের প্রেম হৃদয়ের বদলে? কেন বোকা ছেলেগুলি বোঝে না, হৃদয়কে পাহারা দিয়ে রাখতে হয় হৃদয় দিয়েই, ফেসবুকের পাসওয়ার্ড দিয়ে নয়? যা-ই হোক, আমার ভালোবাসার দাবির কাছে পৃথিবীর সকল অযৌক্তিক অহেতুক দাবিও ছিল অর্থপূর্ণ। অন্তত, আমি কোনও না কোনও অর্থ বের করে ফেলতামই। আজও করি। এটা ভুলে গিয়ে রুদ্র আপনাকে আমার ফেসবুক থেকে ব্লক করে দিয়ে এই আত্মতৃপ্তিতে আছে যে, বুঝি আমাকে আপনার কাছ থেকে সরিয়ে দিয়ে বড় একটা বাঁচা বেঁচে গেছে!

ভেবেছিলাম, আর জ্বালাবো না। আমি আমার মতো থাকব, আপনি আপনার মতো। অবশ্য, আপনি যে আমার কোনওকিছুতে খুব একটা আগ্রহ দেখিয়েছেন, তাও নয়। আসলে কী জানেন, ও আপনাকে ব্লক করে দেয়ার পর থেকেই আমি ফেসবুকের উপর সকল আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। যখন থেকে আপনাকে চিনি, তখন থেকেই আপনার ওয়ালে আসতেই ফেসবুকে আসা হয়। আপনার নামটা আমার আইডি থেকে আর কখনওই খুঁজে পাবো না, আপনার পোস্টগুলি আমার জীবন থেকে হারিয়ে যেতে দিতে হবে, এসব দুশ্চিন্তা মাথায় কয়েকটা নাছোড়বান্দা পোকার জন্ম দিয়েছে। ওরা আমাকে পড়তে দিচ্ছে না, ঠিকমতো খেতে দিচ্ছে না, ঘুমাতে দিচ্ছে না। আমাকে তো বাঁচতে হবে। রুদ্র চায়, ওকে আমি ভালোবাসি। কিন্তু ভালোবাসতে হলে তো আগে বাঁচতে হবে। এটা সে বোঝে না। ধরে নিন, আপনাকে নয়, ওকে ভালোবাসার জন্যই আমি এই আইডিটা খুলেছি। আপনার বন্ধুতালিকায় নিতে বলছি না, শুধু বলছি, আমাকে একটু সহ্য করবেন আগের মতো। আমি বিশ্বাস করি, আপনি আমার প্রতি অনুরাগ না হোক, বিরাগ অনুভব করেন না। এও বা কম কীসে? সে তুচ্ছ দাবি থেকে অনুরোধ করছি, দূরে ঠেলে দেবেন না। আপনার কাছে থাকার এই সুযোগটা দিলে আমি ভীষণ ভাল থাকব। আপনাকে ভালোবাসে, এমন কেউ ভীষণ ভাল থাকলে আপনার কি একটুও ভাল লাগবে না?

শুনুন, আপনাকেই………! তা যা বলতে ডাকলাম! কখনও-কখনও মনে হয়, আপনি আমার জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছেন, আবার কখনও-কখনও, আমার জীবনে আপনার অস্তিত্ব ঝড়ের চাইতেও তীব্র। আপনি আমার জন্য সেই প্রার্থনার উত্তর, যে প্রার্থনাটি আমি কোনওদিনই করিনি। করতে হবে, এটাই তো মাথায় আসেনি। আমরা কতটুকুই বা মনে কিংবা মাথায় আনতে পারি? যা নেই আমার অতীতের কিংবা বর্তমানের কোনও অভিজ্ঞতায় কিংবা স্মৃতিতে, সেটার জন্য প্রার্থনা করা যায় কীভাবে? মাথায় চলে আসে আপনাআপনিই। আপনি হয়তো কখনও জানেনই না যে আমি এই পৃথিবীতে বাস করি। জানার দরকারও নেই। সব কিছু জানতে হয় না। সব কিছু জেনে গেলে আমরা দারুণ অস্বস্তিতে পড়ে যেতাম। জানি না, জানতে পারি না, জানতে চাই না, জানাটা যে প্রয়োজন, তা-ই জানি না, এসবই হল জীবনকে সুন্দর করে রাখার কিছু বুদ্ধি। আমি চাইও না, আপনি আমাকে জানতে পারেন, বুঝতে পারেন। আমি শুধু আপনাকে মেসেজ পাঠাবো, আমার মনের মধ্যে আপনাকে বারবার সৃষ্টি করে করে আপনার সাথে আনন্দে গল্প করে যাবো, আপনাকে ভালোবেসে আর মন্দবেসে নিজেকেই উপহার দেবো সুন্দর কিছু সময়। আপনি কখনওই আমার মেসেজ সিন করবেন না, এটা জেনেও আমি নিজেকে ভাল রাখার দায়িত্ব নিয়েছি। রিপ্লাই দেবেন না? ঠিক আছে। লাগবে না। শুধু পড়ে যাবেন, আর মনে-মনে হাসবেন—“এমন বোকাও হয় মেয়েরা!” চাইলে শব্দ করেও হাসতে পারেন। কোনও সমস্যাই নেই।

একদিন আপনার সাথে দেখা হয়ে যাবে। পৃথিবীটা বড় অদ্ভুত রকমের গোল। এখানে না চাইলেও দেখা হয়ে যায়। আমি প্রতীক্ষা করবো। আপনি করবেন না। অথচ একদিন সামনে এসে বলবো, “ভাল আছেন?” আপনি চমকে যাবেন। না পারবেন এগিয়ে আসতে, না পারবেন পিছিয়ে যেতে! মজার না? আমার যখন ঘুম আসে না, পড়তে ইচ্ছে করে না, খেতে ইচ্ছে করে না, ঘুরতে ইচ্ছে করে না, আমার প্রেমিককে ‘ভালোবাসি’ বলতে ইচ্ছে করে না, তখন আমি আপনার পোস্টগুলি খুঁজে-খুঁজে বের করে আবারও পড়ি। আমি আপনাকে সবসময়ই অন্য এক অরণ্য হিসেবে দেখি, নিজের ইচ্ছেমত হারিয়ে ফেলি আর খুঁজে বের করি। বড় ভাল লাগে। মন ভাল হয়ে যায়। বেশি-বেশি লিখবেন, কেমন? কখনওই মনের অজান্তেও এমনকিছু করবেন না, যাতে আপনাকে যারা ভালোবাসে, তারা অন্যদের কাছে ছোট হয়ে যায়। আপনাকে হাসতে দেখলে, ভাল থাকতে দেখলে অনেকেরই মন ভাল হয়ে যায়। এটা বোঝেন তো, না? তাই ভাল থাকবেন আরও বেশি-বেশি। আমি আপনার ভাল চেয়েছি, চাই, চাইব। জানি, আমাকে আপনি চিনতে পারছেন না বলে বিরক্ত হচ্ছেন। চিনতে হবেই কেন? না চিনে ভালোবাসা গ্রহণ করা যায় না বুঝি? চিনছেন না, এটাই আমার শান্তি। আপনি আমার এমন এক আয়না, যেটার কাছ থেকে আমি নিজেকে লুকিয়ে রেখে বড় শান্তিতে থাকি। আপনি কিন্তু সত্যি-সত্যি আমার মেসেজের রিপ্লাই দেবেন না, কেমন? বিরক্ত হলে বলে দেবেন, আমি আরও বিরক্ত করা শুরু করে দেবো। বেশি-বেশি বিরক্ত হতে-হতে একবার স্যাচুরেশন স্টেজে চলে গেলেই দেখবেন, আর বিরক্ত লাগছে না। আর যা-ই করেন না কেন, কখনওই ব্লক করে দেবেন না প্লিজ! তাহলে আমার খুব বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। কিছু মানুষ আছে, যাদেরকে ভালো না বাসাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। আপনাকে রাগাই একটু? না, আজকে থাক!

এসে পড়লাম। আবারও! আপনি কেন বারবারই নিজেকে ‘আমি কে, আমি কে’ জিজ্ঞেস করে যাচ্ছেন? বলেইছি তো, বলবো না। না বললে কী হবে? আমি কে, সেটা না জানলে আপনার মাথার চুল ১৭টা কমে যাবে নাকি? আমার পরিচয়, আমি কেউ না। আপনাকে রিপ্লাই দিতে নিষেধ করেছি না? দেবেন না রিপ্লাই। আমি আমার মতো করে জ্বালাবো। আপনাকে জ্বালানোর অন্তত কেউ একজন থাক না! জীবনে জ্বালাতেও তো কাউকে লাগে। আমি আপনার পেয়ারের জ্বালানি বেগম! কোনও সমস্যা? এমন করেন কেন? আমার সাথে ভদ্রতা করতে হবে না। লাগবে না আমার আপনার রিপ্লাই। একটা অদ্ভুত টাইপের হাস্যকর অনুরোধ করি? আমাকে ফ্রেন্ডলিস্টে অ্যাড করবেন? এতে আপনারই বেশি লাভ। আমি সত্যি আপনাকে জ্বালানো বন্ধ করে দেবো। না, ভুল হল। কমিয়ে দেবো। আরেকটা লাভ আমার। আমার মেসেজগুলি আর আদার্সে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবে না। রিপ্লাই করা বারণ বলে কি সময়মত আমাকে পড়াও বারণ নাকি? রাগ করছেন আমার আবদার শুনে? করলে করেন গিয়ে! আমার কী? শুধু প্লিজ ব্লক করে দেবেন না। করলেও সামনের ৮ তারিখের পর করবেন। এর আগে আরেকটা আইডি খুলে আপনাকে জ্বালাতে পারব না, একটু সমস্যা আছে। কী সমস্যা? বলা যাবে না। ওটা ব্যক্তিগত।

খুব বিরক্ত করে ফেলছি? কী করবো? না করে থাকতে পারছি না যে! মানুষ কতবার একটা মানুষের প্রেমে পড়ে? একবার? দুইবার? নাকি, প্রতিদিনই? প্রতিদিন প্রেমে না পড়লে সে প্রেম টেকে না। আমি কোনওভাবেই আমার প্রেমকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রেমে পড়ি না। অনেক-অনেক গবেষণা করি, কীভাবে আপনার প্রতি মোহ আর ভালোবাসা থেকে বের হয়ে আসা যায়, সেটা বের করতে। পারি না, আরও বেশি ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়ি। প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙতেই একটা মুখ আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে! মানুষকে ভাল পেইন দিতে পারেন আপনি! আপনাকে আমি আমার গুরু মানি। গুরুজি, একটা পরামর্শ দেবেন? কী করলে সারাক্ষণ মাথার মধ্যে অনল অরণ্য নামটা ঘুরঘুর করবে না? কিংবা, একটা ওষুধের নাম বলবেন যেটা খেলে আমার মাথার স্মৃতিতে আপনার ভাগটুকু চিরকালের জন্য ভ্যানিশ হয়ে যাবে? আমাকে মনে-মনে বকে দেবেন তো খুব করে! আমার প্রতি একটুও টান দেখাবেন না, কেমন? আপনার হৃদয়ে আমার জন্য সামান্যতম জায়গাও আমার জীবনটাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। আপনি সবদিকে এক্সপার্ট। এমনভাবে লেখেন যে, বিশ্বাস করে ফেলতে ইচ্ছে করে। আপনার চাইতে আপনার লেখা অনেক বেশি বিশ্বস্ত। এটা জানেন তো? আপনি কি আমাকে আপনাকে ভুলতে দেবেন না? আপনি নিজেই পুরো একটা ভালোবাসা! আপনার বিয়ের পর আপনার বউকে সব বলে দেবো কিন্তু! ভয় পেলেন? আপনার ক্ষতি করার কোনও সুযোগ পেলেও কোনওদিনও আপনার কোনও ক্ষতি করবো না। ও কাজটি করা আমার সাধ্যের বাইরে। কেউ হাতে ছুরি ধরিয়ে দিয়ে আপনার বুকে মারতে বাধ্য করলেও সেটা নিজের বুকেই চালিয়ে দেবো। আমি জানি, আপনার হৃদয়ে আমার জন্য ভালোবাসা নেই। তবুও আমার এটা ভাবতে ভাল লাগে যে, ভালোবাসা আছে। হ্যাঁ জানি, ওটা মিথ্যে। তবুও ভাল লাগে ভাবতে। কী করবো, বলুন? আমার কোনওকিছু ভাবতে ভাল লাগলে আমার কী দোষ? আমি তো আর ইচ্ছে করে করে ভাল লাগাই না, তাই না? আপনাকে নিয়ে মহাঝামেলায় আছি মশাই। আপনি দূরে থাকলেও অস্থির লাগে, কাছে এলেও অস্থির লাগে। মেসেজ সিন না করলে ভাবি, কেন সিন করছেন না? সুস্থ আছেন তো? করলে ভাবি, হঠাৎ সিন করলেন কেন? আমি কী করলাম আবার? এমন করে আমার ব্রেইনওয়াশটা না করলেও পারতেন! আর শুনুন, শেভ করে ফেলুন। আপনি অরণ্য থেকে জঙ্গল হয়ে যাচ্ছেন তো! রেগে যাবেন না যেন আবার! রেগে গেলে বামচোখ ট্যারা হয়ে যাবে।

কী হল? একটার পর একটা পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন কেন? মন কি বেশি খারাপ? নাকি, বেশি ভাল? নাকি, অস্থির? নাকি, ইটস্ কমপ্লিকেটেড? যেমনই হোক, ওটার কারণটা পোস্ট দিয়ে জানান। বিয়ে করছেন না কেন? বিয়ে করুন, বিয়ে করে ফেলুন! একটা বিয়ে করেই দেখুন না কেমন লাগে! দরকার হলে, ভাল না লাগলে আর কোনওদিনই করবেন না! আপনাকে বকতে পারলে ভাল লাগত। কী করবো? সে সাহস কিংবা অধিকার, এর কোনওটাই আমার নেই। আচ্ছা, আপনাকে যে আমি শুভ সকাল, শুভ বিকেল, শুভ রাত্রি এসব দিই না, আপনি কি রাগ করেন? নাকি, আমার সাথে রাগ করার সময়ই নেই আপনার? জানেন, ক্রমাগত আপনার কথা ভাবি বলে আমার মধ্যে মায়া বাড়তে থাকে, কষ্ট লাগে, কান্না পায়। আচ্ছা, আপনি এসবের কিছুই টের পান না, তাই না? টেলিপ্যাথিকে কি কাজ করানো যায় না নিজের মতো করে? নাকি, ওটা এমনিই কাজ করে? অরণ্য—-এটা আমার সবচাইতে প্রিয় নাম। এর চাইতে সুন্দর নাম দুনিয়াতে আর নেই। অরণ্যের চাইতে সুন্দর মানুষও দুনিয়াতে আর একটিও নেই। আচ্ছা, আপনি আমাকে মিস করেন না কেন? আমি মেসেজ পাঠাতে দেরি করলে ছটফট করেন না কেন? ইনবক্সের দিকে তাকিয়ে আমাকেই প্রথমে খুঁজতে থাকেন না কেন? জানেন, ইদানিং না আমি পড়াশোনা ছাড়া আর সবকিছুই মাথা থেকে বের করে দিয়েছি, শুধু আপনাকেই বের করতে পারছি না। আপনাকে বের করে দেয়ার চাইতে পড়াশোনাকে বের করে দেয়া সোজা। আপনি বারবারই আমার মনোযোগ নষ্ট করে দিচ্ছেন। কী করি, বলুনতো? আপনি আমার মাথার ভেতর ঢুকে বসে আছেন কেনো? আপনার ঘরদোর নেই? আপনি সারাক্ষণই আমার মাথায় কিলবিল করতে-করতে ভাল বুদ্ধি না দিয়ে খারাপ বুদ্ধি দিচ্ছেন। পুরো দুনিয়াকে একদিকে সরিয়ে রেখে আপনার দিকে সরে আসতে বলছেন। দেখবেন, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। সেদিন আর আমাকে বিরক্ত লাগবে না। আপনার সামনে এসে দাঁড়াবো, শান্তভাবে আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকব। অথচ আপনি আমাকে চিনতেই পারবেন না! কী হলো? এটা শুনে চোখদুটো ওরকম বড়-বড় হয়ে গেছে কেন? আপনার সাথে দেখা হলে আমার রিলেশনটা ভেঙে যাবে। তাই ভয়ের কিছু নেই, আমি কোনওদিনই আপনার সামনে এসে দাঁড়াবো না। দূর থেকেই ভালোবেসে যাবো, আপনি কোনওদিনই দেখবেন না, দেখার প্রয়োজনও হবে না। আপনার হাসিমুখ দেখে নিজের কষ্ট ভুলে হাসব। আমার কথা মনে হলে যদি আপনার ভাল লাগে, সেটা হবে আমার সবচাইতে বড় পাওয়া। যদি ওরকম না হয়, সেটা ভেবে আমার কান্না পাবে, তবুও আপনার ভালটাই সবসময় চাইব। আমাকে ভুলে যেতে আপনার একটা মুহূর্তও সময় লাগবে না, এটা ভেবে চোখ ভিজে ওঠে বারবার। আমি অবশ্য ওতে মনখারাপ করি না। জীবনে কিছু মানুষের দেয়া চোখের জলও আশীর্বাদ।

ছবি দেখলাম। এতো রেগে রেগে ছবি তুলেছেন কেন, শুনি? একটু হাসুন না প্লিজ! আপনার হাসি দেখে কারও দিনটা ভাল গেলে আপনার কী ক্ষতি হয়? প্রয়োজনে শাস্তি দেবেন, তবুও ওরকম রাগ করে থাকবেন না। কাকে দেবেন? আমাকেই দিন না! সব রাগ মনে-মনে আমার উপর ঝেড়ে ফেলে নিজেকে প্রশান্তিতে ভরিয়ে দিন। সামনে পরীক্ষা, টেনশনে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়াও করতে পারি না। এত কিছুর মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার ওয়ালে পড়ে থাকি। আপনিই বলুন, কোনও মানে হয়? খুব শক্ত করে একটা বকা দিয়ে দিন তো! আপনি না আমার গুরু? আপনি কি জানেন, যারা আপনাকে ভালোবাসে, আপনাকে ‘না’ বলতে তাদের কতটা খারাপ লাগে? আমাকে আদেশ করবেন, আমি সব শুনব। আপনাকে ভুলে থাকতে শিখে যাবো কোনও একদিন। দেখবেন, আমি ঠিক-ঠিক পারব ওটা! মাঝেমধ্যে আমার টেক্সট পড়ে হেসে নেবেন একটুখানি। ওইটুকুও অনেক আমার জন্য! কখনও নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন না। আপনাকে যারা পছন্দ করে, ওরা ওটাকে সহজভাবে নেয় না। আপনি আমার সবচাইতে প্রিয় কয়েকজন মানুষের একজন, যার কথা ভাবতে-ভাবতে আমার দিন শুরু হয়, কেটে যায়, শেষও হয়। আমার কোন কথায় আমাকে ভুলেও ভুল বুঝবেন না। যদি আপনাকে বলা হয়, যার উপর আপনি রেগে আছেন, এমন কাউকে ক্ষমা করে দিতে, আপনি কাকে ক্ষমা করে দেবেন? নিশ্চয়ই আপনাকে ভালোবাসে, এরকম কাউকে। তাহলে ক্ষমাটা আমাকেই করে দেবেন প্লিজ! এই পৃথিবীতে যদি শেষ পর্যন্ত আপনার একজন শুভাকাঙ্ক্ষীও থেকে যায়, সে হবো আমি। একটা ফ্রি-ফ্রি বুদ্ধি দিই। রাগী-রাগী স্ট্যাটাস কম দিয়ে শান্তি-শান্তি টাইপের স্ট্যাটাস বেশি-বেশি দিন। দেখবেন, আপনিও শান্তিতে থাকবেন, অন্যরাও শান্তিতে থাকবে। ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ গানটা এই মুহূর্তে একবার শুনবেন প্লিজ? আমার রিকোয়েস্ট।

পচা লোক একটা! ঘুমান না কেন? রুমে ঘড়ি নেই? কালকে অফিস নেই? চেহারার দিকে তাকিয়ে খেয়াল করেছেন, কী হাল হয়েছে চেহারার? আমার একটা কথাও শোনা যায় না, তাই না? দেখবেন, একদিন সত্যি-সত্যি আর জ্বালাবো না। অনেক-অনেক দূরে পালিয়ে যাবো! সেদিন বুঝবেন! মাঝেমাঝে মনে হয়, যদি কোনওদিন এই মানুষটার সামনে পড়ে যাই, সেদিন কী হবে? আমি কি কেঁদে ফেলবো? নাকি, অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাবো? আপনি একজন ভয়ংকর মানুষ। আপনি অতি সহজে অতি ভয়ংকর-ভয়ংকর কথা বলে ফেলতে পারেন। আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন আপনি আমাকে ভালোবেসে ফেলবেন। সেই মুহূর্তটি হবে আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত। আমার মনে হতে থাকবে, “ইসসস! ঘড়ির কাঁটাটা যদি ওখানেই থেমে থাকত! মহাকালের যাত্রা যদি থমকে যেত এই ভালোবাসায়!” ওরকম কিছু হোক না হোক, ভুল করে কিংবা বাধ্য হয়েই ভালোবেসে-ফেলা আপনি চিরকালই থেকে যাবেন আমার হৃদয়ের এক কোণে খুব গোপনে, পরম মমতায় আর শ্রদ্ধায়। সেখানে থেকে আপনি আলো ছড়িয়ে যাবেন আর সে আলোর পথ ধরে আমি হেঁটে যাবো সামনে। সেই হেঁটে-যাওয়াই আমার জীবনের ইবাদত। আমি প্রার্থনা করেই যাবো, সৃষ্টিকর্তা এই মানুষটিকে সবসময়ই ভাল রাখুন, সুখী করে রাখুন। আপনার প্রতি মুগ্ধতার শুরু যেদিন থেকে, সেদিন থেকেই পুরো পৃথিবীর সব পুরুষের প্রতি মুগ্ধতার ইতি ঘটে গেছে। আমি অবশ্য ওতে অখুশি নই। আর কিছু নয়, শুধু আপনার নেশাতেই এই একটি জীবন চোখের পলকেই কাটিয়ে দেয়া যায়! আপনার নেশা ছেড়ে দেয়া উচিত, কিন্তু ছাড়া যায় না, মাথার মধ্যে মিশে থাকেন খুব গভীরভাবে। খুব ডিস্টার্ব করি, তাই না? না করার চেষ্টা করি, কিন্তু না করলে শান্তিতে থাকতে পারি না। আপনার কাছে এলেও বিপদ, নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করলেও বিপদ। একটা কাজ করবেন? “আমি পূর্ণাকে ভালোবাসি।” এই কথাটি ১০০বার মনে-মনে বলতে পারবেন? একটা মিথ্যে কথাও নাকি ১০০বার বললে সেটা নিজের কাছে সত্যি হয়ে যায়। আমাকে ভালোবাসাটা আপনার কাছে সত্যি করে দেখুন না কেমন লাগে! ভালোবেসে ফেললে কেমন অনুভূতি হয়, সেটা নিজের জীবন থেকে শিখেছেন কখনও? রাগ হচ্ছে খুউব! রাগটা কার উপর করা উচিত? ভালোবাসার উপরই করি! হায়! ওগো দুঃখজাগানিয়া ভালোবাসা! খারাপ থেকো!

কই গেলেন হঠাৎ? ‘নেই’ হয়ে গেলেন কার উপর অভিমান করে? একটা হারানো বিজ্ঞপ্তি দেবো? আমার খুব টেনশন হচ্ছে। অবাধ্য বেয়াড়া বেহায়া টেনশন! অবধ্যও বটে! এমন কারও জন্য দুশ্চিন্তা, যার চিন্তাতেও আমি বাস করি না। ফিরে আসুন! পৃথিবীর সব বেলা বোস, অনুরাধা, বনলতা, রুবি রায়, রঞ্জনা, নীলাঞ্জনা, চন্দনারা আপনার জন্য প্রতীক্ষায় আছে। তবু আপনি আসবেন না? আপনার এই নির্লিপ্ততা কত মানুষকে আঘাত করে, সে খোঁজ রেখেছেন কখনও? আপনার শেষ পোস্টটা দেখলাম। আপনি পেতে চান না, হারাতে চান না, ভালোবাসতে চান না, ঘৃণা করতেও চান না। কী চান আপনি? পেয়েছেনটা কী, হুঁ? আপনার গল্পের নায়িকাদের তো খুব ভাল করে বোঝেন। আপনাকে ভালোবাসে যে নায়িকারা, তাদের একটুও কি বোঝেন? আসলে আপনি আপনার গল্পের নায়িকাদেরও বোঝেন না। মিথ্যে-মিথ্যে ওদের দিয়ে কী-কী সব বলান! ওরা আপনার হাতে পড়ে ভীষণ কষ্টে থাকে। বেচারিরা! আপনার পোস্টের কমেন্ট পড়তে-পড়তে আমার মনখারাপ হয়ে যায়। মেয়েরা আপনাকে নিয়ে কেন ওরকম করে? ওটা তেমন কিছুই নয়, আমি জানি। তারপরও! আমি খুব সাধারণ একটা মেয়ে। আমার ভালোবাসার মানুষটির জন্য আমি ভীষণ হিংসুটে, স্বার্থপর, ঝগড়াটে। অন্য কারও জন্য আমি ওরকম নই, শুধু ওর জন্যই আমি ওরকম। ওকে কেউ কিছু বলতে পারবে না, যা বলার শুধু আমিই বলবো। আমি কাউকেই ওকে বকতে দেবো না, বকতে হলে আমিই বকব। ওর উপর রাগ কিংবা অভিমান, এর পুরোটাতেই আমার একক অধিকার। আমি খুব সংকীর্ণ মনের মেয়ে। আমার সাথে থাকলে আপনি ভাল থাকবেন না, বিরক্ত হয়ে থাকবেন সবসময়। কিন্তু এটা জেনেও আমি আপনাকে আর কারও সাথে থাকতে দেবো না। জানি, পড়েই মেজাজখারাপ হচ্ছে আপনার। আমি আসলেই খারাপ। নাহলে আপনি বিরক্ত হবেন জেনেও আপনাকে এতো কিছু লিখে ফেললাম কেন? ঠিক আছে, আমি খারাপ, আপনি ভাল। এবার খুশি তো? খুশি হলে লক্ষ্মী ছেলের মতো আমাদের মাঝে ফিরে আসুন তো দেখি! আমি টুপটাপ প্রেমে পড়ি না, তাই আমার মন টুংটাং ভাঙেও না। একেবারে দুমড়েমুচড়ে যায়। আমার কথা পড়ে আপনি ভয় পাচ্ছেন না কেন? একটু ভয় পেলে কী হয়?

এই বুদ্ধু! তোমার একটা ব্যাপার খুব ভাল। আমি একা-একা কথা বলে যাই, তুমি কিচ্ছুটি বল না। তুমিও বেঁচে যাও, আমিও। তুমি তো কিছুই বল না, তাই বকাও দিতে পারবে না। আজকে থেকে তুমি ‘আপনি’ থেকে ‘তুমি’ হয়ে গেলে। এই উপলক্ষে তোমাকে একটা ট্রিট দিতে চাই। নেবে তো? যাও, বাধ্য ছেলের মতো বারান্দায় গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাক। দেখতে পাবে, ওখানে ইয়া বড় একটা ধবধবে শাদা চাঁদ। ওটা তোমার জন্য! ট্রিটটা নিলে তো, নাকি? নিলে নাও, না নিলে নাই। আমার কী? হুহ্! শোনো পচা, তুমি হচ্ছো ভাললাগা একটা গানের মতো। ভাললাগা গানের একটা অসাধারণ গুণ হলো, ওটা সময়কে ধরে রাখতে পারে। আজ থেকে অনেক-অনেক বছর পরও যখন ভাললাগার একটি গান শুনব, তখন মনে পড়ে যাবে জীবনের অনেক পুরনো একটা মিষ্টি মুহূর্তের গল্প যে সময়ের জন্যই হয়তো গানটা বেজে উঠেছিল। তুমি পাশে থাক, আর না-ই থাক, তোমার কিছু রেশ মাথায় রয়ে যাবে অপূর্ব কিছু মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে। তোমাকে ধন্যবাদ দিয়েই যাবো স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর কিছু কল্পিত সময় উপহার দেয়ার জন্য। যদি কখনও জানতে পারি, জীবনে কোনওদিন আসবে অমন সুন্দর মুহূর্ত সত্যি সত্যিই, সত্যি বলছি, মৃত্যুর সাথে ঝগড়াঝাঁটি করে হলেও বাঁচতে চাইব আরও কিছু সময়, শেষ নিঃশ্বাস নেয়ার সময়টাকে জোর করে টেনে নিয়ে যাবো আরও দূরে, আরও দূরে। মন বলছে, মুহূর্তটা আসবেই আসবে। অনেকদিন পর তোমার, কোনও এক পূর্ণা বোকার মতো অরণ্যকে ভালোবেসে ফেলেছিল, এটা ভেবে হাসি পাবে। তোমার সব অভিনয়ও আমার কাছে সত্যের চাইতেও বড়—হায়! এটাই ভালোবাসা! একদিন হয়তো কাউকে প্রচণ্ডভাবে ভালোবেসে আপন করে নেবে, সুখী হবে, সুখী করবে। জানো, সবাই জানে, আমি ফেসবুক ইউজ করা ছেড়ে দিয়েছি। আমার আসল আইডি’তে তুমি নেই। আমি ওটাতে থেকে করবোটা কী? তুমি কখনওই বুঝতে পারবে না, পূর্ণার মনের ভেতরে অরণ্যের জন্য কতখানি জায়গা। পূর্ণার ভালোবাসার ছিটেফোঁটাও অরণ্য কোনওদিনই শিখতে পারবে না। আর এখানেই পূর্ণার জয়!

একটা আফসোসের গল্প বলি। আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর, ঝামেলামুক্ত রিলেশন ছিল আমার আর রুদ্রের রিলেশনটা। কখনও ভাবিনি এমন ঝড় আসবে এটার ওপর। তাও আবার আমার দিক থেকে। নিজেকে বড় প্রতারক মনে হয়। আমি কেন করছি এসব? কেন সেই মানুষটাকে দিনের পর দিন একা করে দিচ্ছি, আমাকে ছাড়া যার জীবনটা নষ্ট হয়ে যাবে? আমার তো তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকা উচিত, তার পাশে থাকা উচিত পুরোপুরিই তার হয়ে, তাই না? তার সাথে ভালোবাসার অভিনয় করা আর মিথ্যে বলা খুব ভালভাবে শিখে গেছি। আগের মতো করে ওকে আর ভালোবাসতে পারি না। কেন এমন করলে আমার সাথে? খুব বড় কোনও ক্ষতি কি করেছিলাম তোমার? তবুও, ভাল থেকো। তোমার বউ দেখার খুব শখ আমার। বিয়েটা করেই ফেল। বিয়ের পর শুধু বউকেই ভালোবাসবে। একেবারে সত্যিকারের ভালোবাসা। কাউকে সত্যি-সত্যি ভালোবাসার মধ্যে অদ্ভুত রকমের শান্তি আছে। তখন বুঝবে, জীবনের মানে, জীবনের রং। আমার কাছে ‘ভালোবাসি’ শব্দটাকে খুব পবিত্র মনে হয়। বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়। যখনই বিশ্বাস করে ফেলি…..কিছু কষ্ট আমার প্রাপ্য। মাঝেমাঝে মনে হয়, জীবনে যা কষ্ট মানুষকে দিয়েছি সব কিছুর প্রতিদান পাওয়ার জন্য তোমার সাথে আমার পরিচয়। একেবারেই অপ্রত্যাশিতভাবে এই সময়ে এসে কারও প্রেমে পড়া। ভাবা যায়? দেখা যাক, ঠিক কতটা কষ্ট পাওয়ার পর তোমাকে ভুলতে পারি……… তোমাকে নক করার কোনও ইচ্ছেই আমার ছিল না। কিন্তু মাঝেমধ্যে মাথায় ভূত ঢুকে যায়। সারা পৃথিবীর বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের ভালোবাসাকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। ভাবছ, কত বোকা মেয়েটা! তাই না?………যা-ই হোক, আমি চাই, তুমি ভাল থাকো, যেভাবে ভাল থাকতে পারো, সেভাবেই……..শুধু একটা অনুরোধ, মনে-মনেও মিথ্যে করে ভালোবাসি বোলো না (আমাকে)। এতো দিনে নিশ্চয়ই বুঝে গেছো, আমি খুব সরাসরি কথা বলি। ভেবো না, তোমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য বলি। আমি এমনই…….তোমাকে ছোট করার কোনও স্পর্ধা আমার নেই। তুমি তো আমার গুরু। সারাজীবন ওই শ্রদ্ধার জায়গাটায় থাকবে। গুরুকে ভালোবেসে ফেলেছি, এটা তো আমার দোষ, তোমার তো না। ইদানিং আর বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না যে, আমার বড়-বড় মেসেজগুলি তুমি আদৌ ধৈর্য ধরে পড়। খুব কষ্ট হচ্ছে। তোমাকে ভুলে থাকাটাই মস্তো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে আমার জন্য। ভয়ংকর সব দিনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তুমি ভাবতেও পারবে না, কীসব যে হয়ে যাচ্ছে আমার সাথে! একটা কথা, তোমার কথায় ‘সবিনয় নিবেদন’ পড়ছি, এটা শেষ করে ‘একটু উষ্ণতার জন্য’ ধরবো। আচ্ছা, এই গল্পের নায়কটা কি তোমার মতো? নাকি, তুমিই ওর মতো?

এ জীবনে কারও চোখের ভাষা বোঝার চেষ্টা করে দেখেছ? আমার খুব ইচ্ছে করে, তোমাকে আমার সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করি। জানো অরণ্য, ভীষণ রকমের কষ্টের কাজ, ভালথাকার অভিনয় করা। তার চেয়েও কষ্টের, ভালোবাসার অভিনয় করে যাওয়া দিনের পর দিন! কখনও-কখনও আমি প্রায় বিশ্বাসই করে ফেলি, অরণ্য কষ্টে থাকার পথটাই বেছে নিয়েছে। একটাই প্রার্থনা, স্রষ্টা যেন আমার আগে তোমাকে নিয়ে না যান। আমি আমার সব আয়ু তোমাকে দিয়ে মরে যাবো। নিজেকে কষ্ট দিয়ো না, ভাল রেখো নিজেকে। তুমি ভাল থাকলে অনেকেই ভাল থাকতে পারবে। তুমি ওই যে কষ্টের কী সব কথা লিখে যাও ইদানিং, আমার ওতে খুব কষ্ট হয়। বুকের ভেতরে ছটফট করে, ঘুম হয় না। তোমার মন ভাল নেই, অনেকেই তা জেনে যাচ্ছে, এটা ভেবে তোমার নিজেকে লুকিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে না? আমার রুমমেট আপু সেদিন বলছিল, অরণ্যের কষ্ট দেখে যতটা না কষ্ট হয়, তার চাইতে অনেক বেশি কষ্ট হয় অরণ্যের জন্য তোর কষ্ট দেখে। তোমার অপূর্ব চোখজোড়া ইদানিং ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে। এটা তুমি নিশ্চয়ই খেয়াল করোনি! তুমি খুব-খুব খারাপ। নিজের যত্ন নাও না কেন? এতোবার বলতে হয় এটা? তুমি না বড় হয়ে গেছো? দেখো, একদিন হঠাৎ ‘নেই’ হয়ে যাবো। শত হাতড়ালেও আমায় পাবে না, শত ডাকলেও আসবো না। সেদিন বুঝবে। বিশ্বাস হয় না? অবশ্য আমাকে বিশ্বাস করার মতো কিছু হয়ওনি আমাদের মধ্যে। ভাল থেকো। প্রতিবারই তোমাকে টেক্সট করার পর ভাবি, আর করবো না, এটাই লাস্ট। কিন্তু পারি না। একদিন ঠিকই পারব, তুমি দেখো! একটা বিয়ে করে ফেল তো আমাকে আর না জ্বালিয়ে! যখন দেখবো, তোমাকে দেখে রাখার মতো কেউ আছে, তখন আর বিরক্ত করবো না। আচ্ছা, তুমি কি চাও না, আমি রুদ্রের সাথে ব্রেকআপ করে ফেলি? কেন চাও না? কেন আমাকে ভালোবাসতে পারো না অধিকার খাটানোর মতো করে? কেন আমার হৃদয়ের দাবিকে তোমার যুক্তির কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে বাধ্য কর?

খুব খুব খুব মিস করছি আজকে তোমাকে। তুমি তো নিজেই জানো তুমি কত খারাপ! ভাল হয়ে গেলে কী হয়? নিজের সাথে প্রচুর মিথ্যে বলি। বলি, অরণ্যকে ভুলে যাবো, ওকে আর নক করবো না। কিছুতেই কিছু হয় না। সত্যিটা হলো, আমি তোমাকে জ্বালানো বন্ধ করবো না। তোমার কাছে মিথ্যে বলে কী লাভ? নিজের কাছে মিথ্যে বললে রুদ্রের সাথে ভালোভাবে অন্তত ৫ মিনিট কথা বলতে পারি, তোমার সাথে বলে তো আর কিছু হবে না। তুমি হচ্ছো সেই খারাপ লোক যে অন্যকে তাকে ভালোবাসতে বাধ্য করে, কিন্তু নিজে ভালোবাসার বাঁধনে ধরা দেয় না। প্রেমে ফেলতে পারো, প্রেমে পড়তে পারো না? কী হয় প্রেমে পড়লে? হৃদয় পুড়ে খাক হয়ে যাবে? যাক না! একবার প্রেমে পড়েই দেখ না কেমন লাগে! এক মুহূর্তে চলে যাওয়া এক মুহূর্তে ফেরা/ এক মুহূর্তে নীরব ঠিকই পরক্ষণেই জেরা/ এক মুহূর্তে ঘুমাও তুমি এক মুহূর্তে জাগো/ এক মুহূর্তে শান্ত তুমি এক মুহূর্তে রাগো/ এক মুহূর্তে দূরে সরাও আবার কাছে ডাকো/ তোমার এমন এক মুহূর্তে হাজার থেকে লাখো। আমার প্রিয় গান। আবারও শুনে নিয়ো। তোমার ছবিগুলি দেখে মনে হতে থাকে, তুমি আমার একটা ছোট্ট বাবু! ভাবি, আমার ছোট্ট বাবুটা আমাকে এতো কষ্ট দেয় কেন? যাও ঘুমাও। ঘুমিয়ে-ঘুমিয়ে আমাকে স্বপ্ন দেখো, কেমন? আচ্ছা, তুমি কখনও আমাকে স্বপ্নে দেখেছ?

অরণ্য, তুমি কি খুব ভাল আছো? অন্য কাউকে নিয়ে? কিংবা একা-একা? তুমি বড় বেশি আমার সামনে এসে পড়, কথা বলতে থাক অনর্গল, তবু খুব গুছিয়ে-গুছিয়ে, ভালোবাসা আর মায়া জাগিয়ে-জাগিয়ে। কেন জানি তোমাকে খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে, তোমার বলা কথাগুলি বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে, এই কথাগুলি তুমি শুধু আমাকেই বলেছো, আরও অনেককেই নয়। বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে, মন নিয়ে খেলাটাই তোমার প্রিয় খেলা না। যখনই বিশ্বাস করে ফেলি, তখনই তুমি বুঝিয়ে দাও, সবই ছিল ভুল কল্পনা। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দাও আমার জায়গাটা। ব্যাপারটা যে আমি বুঝি না, তা নয়। কিন্তু এতো হিসেব করে তো তোমাকে ভালোবাসিনি। আসলে, ভালোবাসতে চাইইনি। কিন্তু ভালোবাসতে বাধ্য হয়েছি। কেন হলাম? জানি না। আসলে জানি, কিন্তু বলবো না!………..তুমি ভালো থেকো। তোমাকে আমি আর বিরক্ত করবো না। সমস্যাটা কী জানো, তোমাকে ভুলে যাওয়াটা রীতিমত অসম্ভব মনে হচ্ছে। তবে ভাবছি, অন্তত ভুলে থাকার ভান তো করাই যায়। ভান করতে-করতেই একদিন হয়ত সত্যিই ভুলে যাবো। কিংবা ওই ভানেই অভ্যস্ত হয়ে যাবো। প্রতিদিনই একটা অভিনয়ের অভ্যস্ততায় কাটিয়ে-কাটিয়ে একদিন মৃত্যুর সাথে দেখা হয়ে গেলেই তো হয়ে গেল! জীবনের শেষ মুহূর্তটিতেও বুকের চাপাকষ্টটা এখনকার মতো সারাক্ষণই মনে করিয়ে দেবে না, কী ভীষণ ভুল তুমি আমার জীবনে! যে কলটা আর কখনও আসবে না, তার জন্য অন্তহীন অপেক্ষা। কখনও মেসেজ আসবে না জেনেও কিছুক্ষণ পরপর মেসেঞ্জার চেক। জীবনটা এতো বেশি কষ্টের হয়ে যায় কখনও-কখনও! আরেকটা কথা, অতো রাতে মেসেঞ্জারে থেকো না। ঘুম না এলে চোখ আর ফেসবুক, দুটোই বন্ধ করে শুয়ে থাকবে। দেখবে, ঘুম এসে গেছে। আমি জানি, তুমি হয়তো ভাবছ, মেয়ে, তোমার টেক্সটের রিপ্লাই দিই না বলে ঘুমিয়ে পড়তে বলছ তাড়াতাড়ি? কিংবা, কীসের অধিকারে এমন বকবক করে যাচ্ছ? অধিকার নেই, জানি। কিন্তু তুমিই বা কেমন? অনিয়ম না করলে কি তোমার ইনবক্সে আমাকে এতো নিয়মের কথা বলতে হতো?

ছোটবেলায় অংক করতাম না, মনে করি পিতার বয়স x, ওরকম করে ধরে নিই, মনে করি, অরণ্য পূর্ণাকে ভালোবাসে। এই যে মিস্টার নির্লিপ্ত মানব! কাঁদাতে খুব ভাল লাগে? ঠিক কতটা কাঁদালে তোমার মন ভরবে? ভালোবাসলে কি মানুষ এতোটা নিস্পৃহ থাকতে পারে? একটুও হাই’ও বলা যায় না, না? অনেকদিন আগে একটা বই পড়েছিলাম, নামটা ভুলে গেছি। সেখানে একটা মেয়ে ছিল, সে মানুষের ব্রেইনের ভেতর ঢুকে তার সব চিন্তাভাবনা দেখতে পারত। বেশ কিছুদিন ধরে মনে হচ্ছে, আমার যদি এমন পাওয়ার থাকত! তোমার মাথার মধ্যে ঢুকতাম। অন্য কিছু দেখতাম না। শুধু আমাকে নিয়ে কী ভাবো কিংবা আদৌ ভাবো কি না, সেটা দেখতাম। কখনও মনে হয়, তোমাকে খুব ভাল বুঝি, আবার মনে হয়, একটুও বুঝি না। আসলে কোনটা সত্য? কাউকে বোঝা মানে কী? ওর মতো করে বোঝা? নাকি, আমার নিজের মতো করে? কাউকে ওর মতো করে না বুঝলে কতটা বোঝা হয়? আমি তোমাকে তোমার মতো করে বুঝতে চাই। তুমি আমার সাথে যা-ই কর না কেন, কখনও মিথ্যে বোলো না প্লিজ। তুমি মিথ্যে বল, এটা আমি মেনে নিতে পারি না। অনল অরণ্যের তো মিথ্যে বলার কথা না। তাই, তুমি যদি বল, কোনওকিছু হয়েছে, পুরো পৃথিবী ভিন্ন কথা বললেও, আমি ধরে নেবো, হয়েছে। হয়নি বললে, হয়নি। তুমি যা বলবে, তা-ই। আমি তো তোমার কাছে কিছুই চাই না। এই যে সামান্যতম একটা রিপ্লাইও তুমি দাও না কখনওই, এটা নিয়েও আমার মধ্যে দুঃখবোধ কাজ করা বন্ধ হয়ে গেছে সেই কত আগেই! আমি কিছুই চাই না, ভালোবাসাও না। তুমি ভাল কী খারাপ, সেটা নিয়েও আমার যে তেমন কিছু এসে যায়, তা নয়। আমি তোমায় ভালোবাসি, এর মানে, আমি তোমাকেই ভালোবাসি, তুমি ভালোবাসো না জেনেও ভালোবাসি; সে তুমি যতই মন্দ বা ভাল হও না কেন! তাই মিনতি করে বলছি, মিথ্যে কিছু বোলো না, কেমন? আমি তোমার সামনে কোনওদিনই আসবো না কোনও দাবি নিয়ে। যদি নিয়তি আমাকে তোমার সামনে নিয়ে এসে ফেলে কোনওদিনও, ভয় নেই, তোমার অন্ধকার দিকগুলি আমি জেনে গেলেও তোমাকে কোনওদিনই আমার সামনে অস্বস্তিতে পড়তে হবে না। আমার জীবনটা এমনিতেই এলোমেলো হয়ে গেছে। এর দায় থেকেও আমি তোমাকে মুক্তি দিলাম, যাও! এবার খুশি তো? কিছুই বল না কেন কোনওদিনই? দেখো, একদিন সত্যি-সত্যি মেসেজ পাঠানো বন্ধ করে দেবো। সেদিন খুব খারাপ লাগবে। আমি যাদু জানি! আমার মেসেজ সিন না করে চুপিচুপি দেখে ফেললেও কিন্তু আমি ঠিকই বুঝতে পারি! ওরকম করবে না, কেমন?

এই যে ঢংয়ের ডিব্বা! তুমি ওরকম ঢং করে করে সেলফি তোলা কার কাছ থেকে শিখেছ? মেয়েরা তোমার সাথে ছবি তুলবে কেন? ওদের কোনও কাজ নাই? ওদেরকে তোমার পাশে দেখলেই আমার গা জ্বলে! আজকে থেকে তোমার ছবি তোলা নিষিদ্ধ করা হল। আর কক্ষনো ছবি তুলবে না। তুমি কিন্তু এসব শুনে আমাকে একদমই বকবে না। উল্টো মিটমিট করে হাসবে। তুমি হাসলে তোমাকে বড় ভাল দেখায়। আমার কথা ভেবে তুমি হাসছ, এটা ভাবলেও যে কতটা শান্তি লাগে, সেকথা যদি তুমি একটুও বুঝতে, তাহলে সারাদিনই হাসতে। কখনওই মুখ ভার করে থেকো না। ওটাতে তোমাকে মানায় না। বড় ভালোবাসি তোমায়। পাবো না জেনেও বড় ভালোবাসি। এর চাইতে সত্যিকারের ভালোবাসা হয় না, বুঝলে বোকারাম? মাঝেমাঝে বিধাতাকে খুব নিষ্ঠুর মনে হয়। আমার বোকা-বোকা ইমোশন দেখে তোমার মত সেও উপহাসের হাসি হাসে। একটা কথা জানতে ইচ্ছে করছে, কোন দিনটা তোমার জন্য ভাল ছিল? যেদিন আমি নক করেছিলাম? নাকি, যেদিন থেকে তুমি রিপ্লাই করা একেবারেই বন্ধ করে দিলে? রিপ্লাই কর না যখন, আর কোরোই না। করলে কনফিউজড হয়ে যাবো। কখনও-কখনও একা বকাই সবচাইতে ভাল বুদ্ধি। ভালোবাসছ না যখন, ভালো আর বেসোই না। বাসলে নিজেই বিপদে পড়ে যাবো। ভালোবাসাহীনতায় একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে আস্তে-আস্তে ভালোবাসা সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই! বুঝতে পারছ না, রেগে যাচ্ছি? রাগ ভাঙাচ্ছ না কেন, হুঁ? বাইরে অন্ধকার হয়ে গেছে, ঝুম বৃষ্টি নামবে। রাগটা ধরে রাখতে পারছি না। বৃষ্টিতে ভিজবে আমার সাথে? এসো না! কতদিন ভিজি না! ……….. শিলাবৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভেজা শেষ। বৃষ্টি এল, তুমি এলে না।

মাঝেমাঝে কী মনে হয় জানো, যদি তোমাকে নিয়ে কোথাও পালিয়ে যেতে পারতাম! যেখানে অনল অরণ্য নয়, শুধুই অরণ্য থাকবে আমার সাথে। যেখানে কোনওকিছুরই কোনও বাধা থাকবে না। যেখানে ভালোবাসলে লোকে বাঁকা চোখে তাকিয়ে একবারের জন্য হলেও লুকিয়ে দেখে নেয়ার লোভটুকু সামলে নেবে। যেখানে কাছে আসতে ইচ্ছে করলে এসে যাওয়া যাবে। যেখানে অরণ্য শুধুই আমাকে ভালোবাসবে, অন্য কাউকেই না। হতে পারি রোদ্দুর, হতে পারি বৃষ্টি, হতে পারি রাস্তা, তোমারি জন্যে। গানটা শোনোনি তো, তাই না? শুনে নিয়ো। ভাল লাগবে। ভাবছি, ঠিক কোন সিচ্যুয়েশনে পড়লে তোমার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে পারব! একটা উঁচু পাহাড়ে উঠে যাবো তোমার হাত ধরে। চুড়ায় উঠেই আমাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেবে! কী? পারবে তো? ভালোবাসতে বলছি না, ভালোবাসা থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে দিতে অনুরোধ করছি। রাখবে না অনুরোধটুকুও? তুমি একটা ভয়ংকর নেশা। এতোদিন ভাবতাম, ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ এই লেখাটি দেখার পরও ছেলেগুলি কীভাবে সিগারেট খায়! এখন তাদের কষ্ট বুঝতে পারছি……সেদিন মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলাম, জানো? মাঝেমাঝে আমার কী যে হয়! নিজেই বুঝি না! এই যেমন, মন দিয়ে পড়তে শুরু করে দিই, মায়ের সাথে ঝগড়া করি না, বারান্দায় টিয়াপাখির খাঁচায় টোকা মেরে-মেরে ওকে জ্বালাই না, আরও কী-কী সব যেন হয় আমার মধ্যে! শোনো, একটা কথা। তোমার লেখা পড়ে-পড়ে আমার ধারণা হয়েছে, তুমি লাইফে তিনটি মেয়েকে সত্যি-সত্যি ভালোবেসেছ। এদের একজন অবশ্যই শতরূপা কারণ, ওর জন্য তোমার ভালোবাসা আমি তোমার লেখার শরীরে দেখেছি। আর একজন তোমার কোনও বন্ধু, যাকে তুমি কখনও কিছু বলতে পারোনি, সেও তোমাকে কিছু বলেনি, কিন্তু দুজন দুজনকে ভালোবাসতে, আর পরে ওর বিয়ে হয়ে গেছে, যেটা নিয়ে তোমার বোকা-বোকা আফসোসের শেষ নেই। আসলে ওকে ভালোবাসতে পারোইনি! বুঝলে বোকা? ভালোবাসলে অতো ইগো কোত্থেকে আসে? আরেকজন কে, বুঝতে পারিনি। আচ্ছা, আমার ধারণাগুলো কি ঠিক? এই ছেলে! তুমি কখনও-কখনও একটা হ্যাঁ/ হুঁ’ও পাঠাতে পারো না? এই নির্লিপ্ত থাকার আর্টটা তোমার কাছ থেকে শিখে নিতে পারলে খুব ভাল হত! তখন আমার মন খারাপ করার দায়িত্বটা আর নিতে পারতে না! এই মাঝরাতে তো অন্তত মানুষের মন একটু নরম থাকার কথা! কে বলে তুমি নরোম মনের মানুষ! তোমাকে চাহিয়াছে যে ভুলে একদিন/ সে জানে তোমারে ভোলা কী কঠিন। আমার কথা, অনেকদিন আগে কীভাবে কীভাবে যেন নজরুল বলে দিয়েছিলেন। কালো বরফ, হলুদ বসন্ত, মনের মতো মন বই তিনটি অনেক দিন ধরে খুঁজছি, পাচ্ছি না। কোথায় পাবো, বলবে? (যদি দয়া হয়) ………… আচ্ছা, আমার কথা তোমার মনে পড়ে না কেন? এই যে মানুষ! আমার টেক্সেটের একটা ছোট্ট উত্তর দিতেও কি তোমার খুব কষ্ট হয়? নাহয়, তোমার সেই প্রিয় পুরনো উত্তর ‘হুঁ’টাই দিয়ো। এটা লিখতেও কি আঙুল ব্যথা হয়ে যায়? ইগোতে লাগে? একটা ছোট্ট রিপ্লাই দিতেও কি সব সময় নষ্ট হয়ে যায়? নাকি প্রশ্রয় দেওয়া হয়ে যায় আমাকে? নাকি আমার সব রিপ্লাই চুরি করে নিচ্ছে অন্যকেউ? হ্যাঁ, সেটাই হবে হয়তো! কেউ একজন আমার ভালোবাসাটাকে চুরি করতেও পারে। মেয়ে তো! এক মেয়ে আরেক মেয়ের ভালোবাসা সহ্যই করতে পারে না। আর তুমিও কেমন বলতো? চুপিচুপি টেক্সটা দেখে নিয়ে মনে-মনে উত্তরটা দিয়ে দিলে তো আমি শুনতে পাই না। মনের উত্তর শুনতে হলে দুদিক থেকে ভালোবাসা লাগে। আমার যে খুব কষ্ট হয়, এটা তুমি বোঝো? বোঝোই না, বুঝলে কক্ষনো এমন করতে পারতে না। আমার মনটাকে নিয়ে চলে গেছো, ফিরিয়ে দিয়ে যাও। মনের মধ্যে মন না থাকলে বড় কষ্ট হয় গো বাঁচতে! এই শোনো! হঠাৎ একদিন যদি ‘নেই’ হয়ে যাই, তোমার কি আমার কথা আর মনে পড়বে? কখনওই কি মনে হবে না, কেউ একজন ছিল যে প্রতিদিন একগাদা টেক্সট করে-করে বিরক্ত করত! নিজে-নিজেই অভিমান করে দূরে চলে যেত, আবার অভিমান ভাঙানোর কেউ ছিল না বলে নিজেই ফিরে আসত। আহা! অভিমান ভাঙানোর কেউ না থাকলে মানুষ কীভাবে বাঁচে?……..সেই মেয়েটি আর নেই। কেন যেন মনে হচ্ছে, তোমার শরীর ভাল নেই। (আমার ধারণাটা ভুল হলেই বেঁচে যাই) নিজের যত্ন নিয়ো। বাড়তি চাপগুলি নেয়া আস্তে-আস্তে কমিয়ে দাও। ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া কোরো। খুব ভাল থেকো। টুংটাং! ডিংডং! পিংপং! (এগুলি পূর্ণার নিজস্ব ভাষা, তোমার না বুঝলেও চলবে। গাধা একটা!)