গুণীরা আমারে কহেন

১. এসব কী লিখেন, দাদা? যত্তসব ছাইপাঁশ! এসবের জন্য আপনাকে ফলো করি? পারলে কিছু মোটিভেশন দেন!




২. দাদা, আজকে ভিজাডা খাইছেন? না শুকনাডা?




৩. দাদা, প্লিজ, আমাকে ইংরেজি শেখান। একটা কোচিং খুলেন, দাদা…ও দাদা!




৪. তোমার প্রেমে পড়েছি, সুশান্ত,
তাই যে মনটা আমার অশান্ত।
তুমি প্রেমের মহাসাগর প্রশান্ত,
ইস্‌, দিতে ভুলে গেছি হসন্ত।




আমিও তোমার জন্য কবিতা লিখি। বলো, কেমন হলো…বলো?




৫. আর কত ঘুস খাবেন, আপনার ভুঁড়িও তো আজকাল কথা বলে।




৬. ভাইয়া, আমি ক্লাস থ্রিতে পড়ি, আমার প্রেমিকা ‘বড়ো ওয়ানে’ পড়ে। আমি কীভাবে বুঝব ও ভার্জিন কি না?




৭. বাইয়া, আপনি আবার সিরাজগঞ্জে এলে আপনার কোলে বসে আপনাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে একটা সেলফি তুলতে চাই। প্লিজ, বাইয়া, প্লিজ! আই লাব ইউ, বাইয়া।




৮. দাদা, একই কাবলি ড্রেস কিনছেন এত রঙের? আপনারে চালাক ভাবছিলাম!




৯. এই যে জনাব, চালের দাম কেজিতে সাড়ে আট পয়সা বাড়ল, কই, এটা নিয়ে তো কিছু বললেন না! আপনি পুরাই একটা সুবিধাবাদী ধান্দাবাজ!




১০. এত ফুটবল নিয়া মাতছো ক্যারে? খেলা বুঝোনি? হালা, পুরাই সিজনাল!




১১. আঙ্কেল, প্লিজ, এসব অনলাইন সেমিনার বাদ দিয়ে অনলাইনে গণিত ক্লাস নেন। আমি সুদকষা আর মুনাফার অঙ্ক বুঝি না।




১২. ভাইয়া হোয়াটসঅ্যাপে শুধু সুন্দরী মেয়েদের রিপ্লাই দেয়। উফফ্…আমিও এক ঘণ্টার জন্য মেয়ে হয়ে যেতে চাই!




১৩. এই যে…জি, আপনাকেই বলছি, কত ত্যাল আপনার যে গানও গাইতে হয়! আমার ভয়েসও তো সালমান খানের মতন, তাই বলে কি আমি গান গাই যখন-তখন?




১৪. ফেইসবুক খুললেই খালি এই লোকের বিরক্তিকর থোবড়া, আবার আনফলোও করতে পারি না, মাঝে মাঝে ভালো কথাও কয়। হায়, জ্বালা জ্বালা জ্বালা এ অন্তরে...




১৫. কী গো, আজাইরা কবিসাব, কবিতা-লেখা ভুইল্লা গেলেন নাকি?




১৬. ভাইয়া, আপনার প্রতিটা কথা আমার হৃদয় ফুঁড়ে যায়! ইচ্ছে করে, এই মুহূর্তেই হয় মাটি খুঁড়ে লুকিয়ে পড়ি, নয়তো ফুড়ুৎ করে দূরে কোথাও উড়ে যাই।




১৭. ভাইয়া, আমি বিবাহিত, তিন ঘণ্টা আগে বিয়ে করেছি। এই অবস্থায় কি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারব?




১৮. আপনাকে বিশ্ব ইঞ্জিনিয়ার দিবসের শুভেচ্ছা। তা, আপনার কোনও ইঞ্জিনিয়ার বান্ধুবি নাই? না, মানে আমি বয়স্ক হলেও দেখতে ইয়াং আছি। যদি কোনও ডিভোর্সি, হতাশ, বিয়ে-হচ্ছে-না কিংবা ছেলে-হচ্ছে-না টাইপের সুন্দরী, লম্বা, কচি বয়সি, কোকিলকণ্ঠী কোনও ইঞ্জিনিয়ার বান্ধুবির নম্বর দিতেন, তবে আমি তাকে সুখ দিতে পারতাম।




১৯. রক্তে আগুন জ্বালানো কোনও স্পিচ অনেক দিন দেন নাই, মনে রাখলাম। হুহ্‌।




২০. সরকারি চাকরি করলে কত ঢং যে বাইরায় মাইনষ্যের, দেইখা শরমে মইরা যাই। এইজন্যই তো সরকারি চাকরি করি না।




২১. আপনের বিয়া হয় না কেন, কন তো? আপনের জন্য টেনশনে ঘুমাইতে পারি না।




২২. আপনার মতন মেধাবির ‘কেমেরব্রিজ’ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা উচিত ছিল।




২৩. এত বেশি বুঝেন কেন আপনি? এত কথা বলতে হবে কেন? আপনার সমস্যা কী? চুপ থাকতে পারেন না? আমাকে দেখেন, আমি কি এত কথা বলি?




২৪. তুই শালা মূর্খ একটা। জ্ঞানীরা তোর পোস্টে লাইক দেয়, কিন্তু পড়ে না। যেমন আমি।




২৫. তোর কথা শুইনা আমার বলদা বউ আবার নতুন কইরা পড়াশুনা শুরু করছে। ক, আমার সংসার ভাঙলে তার দায় কে নিব, হারামজাদা?




২৬. পূজা-টুজা করো তো? না কি ধম্মকম্ম বাদ দিছো? মরার পর কী করবা, চিন্তা নাই?




২৭. তোকে দেখলেই বোঝা যায়, মানুষ একসময় বানর ছিল।




২৮. একটা শর্টকাট সিলেবাস দেন, দাদা। চাকরির বয়স আর মাত্র ছয় বছর বাকি।




২৯. বহুত পড়ালেখা করছি, আর বুইঝাও ফেলছি যে, পইড়া আমি চাকরি পামু না। দাদা, একটু পানিপড়া দিবেন? আমার বিশ্বাস, আপনি বাসিমুখে খালি একটা ফুঁ দিলেই হবে।




৩০. অফিসে বইসাও সারাদিন অনলাইনে কী করো, হুঁ? তোমার চাকরি কি আদৌ আছে? না কি গেছে?




৩১. গাড়িতে বইসা সেলফি তুলো কেন? কী প্রমাণ করতে চাও? আমার বাসায়ও তো কাঁচা পায়খানা আছে। কই, আমি কি ওইখানে বইসা হাগার ছবি ফেইসবুকে দিই?