অ আ ক খ

অ—বললে ভেবো, অনিত্য এ সংসার।
আ—বললে, আত্ম-পরের হিত‌ই কোরো সার।
ই—ইন্দ্রিয়সুখে থেকো না সদাই মত্ত।
ঈ—ঈর্ষায় কোরো না পবিত্র আত্মা দগ্ধ।
উ—উদ্ধার কোরো মানুষ নিজে হয়ে মুক্ত।
ঊ—ঊষার আলোয় জীবন হোক জয়যুক্ত।
ঋ—ঋষির শক্তিতে একদিন মৃত্যুজয়ী হব।
এ—একতায় বাঁচতে চেষ্টায় আজীবনই র'ব।
ঐ—ঐশীপথে চলব, দূরে সরবেই নিরাশা।
ও—ওজন বুঝে বলব কথা…কথাই সর্বনাশা।
ঔ—ঔষধ পায় না বলে যে-হৃদয় মরে নীরবে,
সেবায়, যত্নে, আদরে তা হবেই নীরোগ হবে।




ক—কর্মফল ভোগ না করে পায় বলো কে পার?
খ—খারাপ লোকের সংস্পর্শে দুঃখ বারেবার।
গ—গীতিতে বেঁধো হৃদয়, আয়ু বেঁধো সুরে।
ঘ—ঘটনা যা আনে দুঃখ, রেখো অনেক দূরে।
ঙ—রঙের নেশায় পড়ে হয়ো না পাপে অন্ধ।
চ—চোখ যা না বোঝে, তার নিয়ো প্রাণে গন্ধ।
ছ—ছবিতে রেখো না তাকে, রেখো শুধু প্রাণে।
জ—জীবনে না এলে সে, বাঁচবে কী আর টানে?
ঝ—ঝলমল করবেই চোখ রূপের ছটায়।
ঞ—জ্ঞাতি লোকেই ভীষণ বিপদ ঘটায়।
ট—টাকা এলেই দুঃখ আসে, তবে সবসময় নয়।
ঠ—ঠকে আর ঠেকেই লোকে পরিপক্ব‌ হয়।
ড—ডুবলে সংসারস্রোতে মুক্তি কীসে পাবে?
ঢ—ঢাকলে ময়লা তবু দুর্গন্ধ কোথায় যাবে?
ণ—রণ দেখেই হলে ক্লান্ত, পরাজয় নিশ্চিত।
ত—তত্ত্বে নয়, কর্মে বাঁচো; হও কৌশলে সুস্থিত।
থ—থালা পেতে ভগবানে নিয়ো তুমি শরণ।
দ—দয়াতে করে ভর জীবন কোরো বরণ।
ধ—ধর্ম‌ই শান্তি আনে, যদি সত্যিই যায় মানা।
ন—নৌকাই যায় দেখা, যায় না মাঝিকে জানা।
প—পাঠের গভীরে গেলেই খুঁজে পাবে ধ্যান।
ফ—ফুলের বাগানে গেলেও পায় ক-জন জ্ঞান?
ব—ব‌ইয়ের সাগরে ভেসো, গোড়ো নিজের মন।
ভ—ভবার্ণব পার হতে মোজো ঈশ্বরে অনুক্ষণ।
ম—মৃত্যুভাবনা রেখো মনে প্রতি-পদক্ষেপে।
য—যখন খুশি যাকে-তাকে ফেলো নাকো মেপে।
র—রাজা যদি হতে চাও, হয়ো তবে অর্জনে।
ল—লোভ, ছলনা, কপটতা রেখো তুমি বর্জনে।
শ—শাণিত করলে মেধা লোকে করবে সম্মান।
ষ—ষড়রিপুকে করতে দমন রেখো বাজি প্রাণ।
স—সুন্দরকে হৃদয়ে ধরে, কোরো অসুন্দরের নাশ।
হ—হেলায় না যাক বেলা, কর্মচিন্তায় হোক বাস।
ড়—বাড়িতে অতিথি এলে কোরো তাকে সমাদর।
ঢ়—আষাঢ়ে রৌদ্র পেলে নির্বোধ‌ই করে অনাদর।
য়—গয়না কেনে যে যত, গয়না তাকে কেনে তত।
ৎ—জগৎ শুধুই দু-দিনের, দুঃখ এখানে অবিরত।
ং—বংশ ভালো হলেই মানুষ ভালো হয় না।
ঃ—দুঃখ থাকলে লেখা, সুখ সে-কপালে সয় না।
ঁ—চাঁদ যদি নিজে থেকেই সামলায় জোছনা,
চাঁদনি রাতেও কি হয় স্বর্গসুখের সূচনা?