নিজের মাঝারে

জীবনের ক্ষণে ক্ষণে
ওঠে যে-সুর, আবার যায় নিমিষেই মিলিয়ে,
সে কি তোমার‌ই গান?
ছন্দহারা-ভাষাহীন মনের সব আকুতি দিয়ে
বোঝাতে না পারি শতচেষ্টাতেও তারে,
আছড়ে পড়ে---যেন লুটায় ধুলায়;
মূর্ত হয়ে উঠতে চেয়ে আত্মার অশরীর
দেখায় নিজের রূপ পৃথিবীর গায়।




বাধা যে পায়নি পথ চলতে,
মুক্ত‌ আজ‌ও পারেনি সে হতে;
তবু কীসের যেন কাতরতা
নিরবচ্ছিন্ন সুখ-স্বস্তি খুঁজতে।




হাসতে যে পারেনি কখনও,
করে না কাঁদার‌ও সে ছলনা;
ব্যথা লুকিয়ে রেখে বুকে
পায় না সে স্বর্গসুরের মূর্ছনা।
পারেনি সে, অনেক পথ পেরিয়েও,
নিজেকে জাগিয়ে আনতে, খুব টেনে;
সম্ভ্রমে-ভয়ে দাঁড়ায়নি সে আজও,
ঈশ্বর অসীম কৃপার পাত্র, তা জেনে।




মুগ্ধ যে পারেনি হতে নিজে,
চায় বলো সে মুগ্ধ করতে কারে?
আড়ালে মূক হয়ে যায় রয়ে---
পেতে নিজেকে নিজের মাঝারে।