অভিমান ভাঙতে ভাঙতে

তোমার স্মৃতিরা দিচ্ছে ভীষণ তাড়া,
সারাগায়ে যেন ধুলোর মাখামাখি।
রটে গেল মহল্লা আর পাড়া,
শুরু আমাদের প্রেম আঁকাআঁকি।




বুক-জুড়ানো বকুলফুলের মালা,
ভেজা হাতে ধরে ছিলাম যবেই;
তখনি আমার মনে বিরাট তালা,
মনটা যেন ভেঙে গেল তবেই!




উপেক্ষা করে ছায়া-রদ্দুর,
বাড়ি ফিরেছিলাম কবেই!
জিজ্ঞেস কোরো না, আমি কদ্দূর?
বোলো না যেন, দেখা তো হবেই!




ঘাম-জড়ানো সেইসব রক্ত,
সাথে করে নাও অবহেলাটা যুক্ত।
আজ থেকে তবে তুমি মুক্ত।
সিদ্ধান্ত আমার এইবার পাকাপোক্ত!




অশ্রুভেজা পুকুর টলমল,
ভেবেছি আমি, এ বুঝি নদী!
তোমার হাতে পদ্মপাতার জল,
ছুঁয়ে দিতে পারতাম ভুলেও যদি!




তুমি খটমট করে তাকাও,
শুধু মেজাজ দেখাও ভারি।
চলে যাই না, তবু যায় না থাকাও,
দিয়ে যাই দুঃখের সাগর পাড়ি।




সুখের দিন হলো তবে শেষ,
তুমি এলে অবহেলার বেশে।
আমায় ছেড়ে ভালোই আছ বেশ,
আমিও যাচ্ছি তবে ভবঘুরের দেশে।




কতটা বাসো ভালো, জানা আছে,
মিথ্যে আর শুনব‌ই না...খবর্দার!
সিন্দুকভরা মিথ্যে তোমার কাছে,
শুধু আমিই তো দুঃখের সর্দার!




ভালোবাসা মানে তোমার আমার
বিকেলের খুনসুটি,
ভালোবাসা মানে আমার ইচ্ছেয়
তোমার ক্লাসের ছুটি।




ভালোবাসা মানে তোমাকে নিয়ে
আমিই মাথা ঘামাই,
ঘরেই থাকো, জাপটে ধরো আরও,
আজ অফিস কামাই!




ভালোবাসা মানে তোমার আমার
একান্ত একটা দুপুর,
শাড়ির সাথে পরব শুধুই
তোমার দেওয়া নূপুর।




ভালোবাসা মানে বুকটা ভরা
কতশত অভিমানে,
জানো না কিছুই, সবটা শুধুই
আমার ঈশ্বর জানে।




ভালোবাসা মানে উনুনের পাশে
থেকে যাই বেলা বয়ে,
তোমার সাথে সারারাত জাগি,
লোকের নিন্দে সয়ে।




ভালোবাসা মানে তোমার বলা,
'দেখা দিয়ো প্রিয় আবার!',
তার উত্তরে আমার বলা,
'আর নেই তো জায়গা যাবার!'