সে লিখত। কবিতা, গদ্য, ঘোড়ার ডিম... এইসব লিখত।
ছাপত না, শুধুই লিখত বন্দিত্বের দায় না রেখেই।
হতো না কিছুই, তবু সে লিখত। হওয়ানোর কিংবা গেলানোর দায় তার ছিল না। মুক্ত মানুষ, ততোধিক মুক্ত লেখক।
সমকাল কিংবা মহাকালের তোয়াক্কা করে না যে লেখক, সে কখনোই তার মগজ বন্ধক রাখে না কারুর কাছেই, এমনকী নিজের কাছেও নয়।
লিখলে মন ভালো থাকে। নিজের মন, অন্যের মন। অন্যের মন ভালো না থাকলেও সে লিখত বাঁচার তাগিদে।
লেখার বদলে পয়সা, লেখার বদলে আনন্দ, এই দুইয়ের মধ্য থেকে কোনোটাকেই বেছে না নিয়ে সে লিখত না লিখে থাকতে পারত না বলেই।
যারা লিখত না, ওরা বলত, অমন কাঠবেকার হলে তো আমরাও...
সব শুনেও, সব বুঝেও কিছুই বলত না সে, কেননা সে লিখত।
যে লেখে, সে অন্যের ঈর্ষাকে ক্ষমা করতে জানে। যে লেখে, সে ঈশ্বরের পক্ষপাতিত্বকে গ্রহণ করতে জানে।
লিখতে চাইলে সময় কিংবা ব্যস্ততা নয়, দরকার হচ্ছে লিখতে জানা; আরও বেশি দরকার না লিখে বাঁচতে না জানা।
যার ক্ষমতা আছে, তার সময় ভূতে জোগায়। যার অক্ষমতা আছে, তার অজুহাত... তা-ও ভূতেই জোগায়!
ভূতের জয় হোক!