নির্জন গহনে: ৮
৩৬.”আমি”-র গতিতেই আসে পরব্রহ্মর নিত্যতা। উদয় ও লয়, জন্ম ও মৃত্যু—এসবই ‘আমি’-র ধর্ম, চৈতন্যের সেই সূক্ষ্ম স্তর, যা কেবল প্রকাশিত হয়েছে তোমার উপরে, কিন্তু তোমার নয়। ‘আমি’ উঠেছে,
৩৬.”আমি”-র গতিতেই আসে পরব্রহ্মর নিত্যতা। উদয় ও লয়, জন্ম ও মৃত্যু—এসবই ‘আমি’-র ধর্ম, চৈতন্যের সেই সূক্ষ্ম স্তর, যা কেবল প্রকাশিত হয়েছে তোমার উপরে, কিন্তু তোমার নয়। ‘আমি’ উঠেছে,
৪১. ‘আমি’—প্রথম কল্পনা, শেষে ভ্রম—তোমার প্রকৃত স্বরূপে—যেখানে নেই নাম, নেই রূপ, নেই মন, নেই ভেদ—সেখানেই একদিন উদিত হয়েছিল এক সূক্ষ্ম স্পন্দন: “আমি আছি”। এই ‘আমি’ ছিল মন থেকেও
“তোমার নাম কী?”—অশ্রু।”তোমার সাথে আমার পূর্বে সাক্ষাৎ হয়েছিল?”—নিয়তির ফাঁকে।”শরীর ছুঁয়েছ যে?”—সুখের বিলাপে।”বুকের ভেতরটায় এত হাহাকার কেন?”—ক্ষতের ভিড়ে।”ভালোবেসেছ কীভাবে?”—নিঃশব্দে সরে।চলো, ঘরে ফিরে যাই—দীর্ঘ নদীর গতি থামিয়ে।”তোমার ছিন্নভিন্ন হৃদয় জুড়তে
কাল মনে হচ্ছিল—আমার লেখা শব্দগুলো, আমার অনুভূতিগুলো—ঠিক আমার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে,আমি যেন ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছি ওগুলোকে।তোমাকে এতটা কাছ থেকে আগে কখনও স্পর্শ করিনি—কারও হৃৎস্পন্দন এত স্পষ্টভাবে কোনোদিন অনুভব
তোমাকে আজ ভীষণ অস্থির লাগছে।তুমি দাঁড়িয়ে আছ—তোমারই জাগ্রত অনুভূতির মুখোমুখি।ইচ্ছে করলেই এই মুহূর্তেঅগ্রাহ্যের এক গম্ভীর ভঙ্গিমায়সব কিছুকে পায়ে মাড়িয়ে চলে যেতে পারতে।কিন্তু আজ তোমার কী হয়েছে?তুমি কেন থেমে
জোরালো প্রতিধ্বনির সম্ভাব্য অনুশ্রুতি উপেক্ষা করেই—তুমি কি সত্যি সত্যি আমায় এতটা কাছে ডাকলে?তোমায় আর কতটা সময় আমার শরীরজুড়ে রাখলে—এই ইহজীবনের সমাপ্তি ঘটবে?তোমায় গভীর আলিঙ্গনে ধরে রাখলে—তবে কি সেটাই