১) নিজের সাথে যতটা কঠিন, পরের সাথে ততটাই নরম। মানুষ হয়ে ওঠার এ-ই যে প্রথম সিঁড়ি! ২) তোমার ঘ্রাণ খুব চমৎকার! বাকিটা জীবন তোমার মধ্যে নাক ডুবিয়ে কাটাতে চাইলে… দেবে? ৩) যে জায়গাটি তোমার নয়, সেখানে নিজেকে রাখতে গিয়ে আর কত ছোটো হবে? ৪) একসময় কেউ ভালোবাসি বললে বিশ্বাস করে ফেলে আপ্লুত হতাম। আর এখন মনে মনে বলি, ও আচ্ছা! ৫) বেশিরভাগ প্রেমের বিয়েতেই সবার আগে যা চলে যায়, তার নাম প্রেম। ৬) প্রতিক্লাসেই ফার্স্ট-হওয়া মেয়েটি অত পড়াশোনা জানে, শুধু জানে না… কী করে নিজেকে ভালো রাখতে হয়। ৭) যারা চলে গেছে, ওদের ছাড়াই দিব্যি আছি! হায়, একদিন কী কী সব ভুলভাল ভাবতাম! ৮) কত মানুষ আমাদের হাসি-আড্ডায় আন্তরিকভাবে অংশ নেয়… আমাদের ঘৃণা করেও! ৯) - এখনও পোড়ে? - শূন্যতার কোনও সময়সীমা হয় না। (১০) - শেষমেশ ওই সাদাই সই? - রোদে, বৃষ্টিতে, ঝড়ে সব রংই যে ফিকে হয়ে যায়! পড়ে থাকে শুধুই সফেদ সাদা। (১১) - তবে যে বলো মানিকজোড়? - দিচ্ছি বাব্বাহ্, সবটাই তোর। (১২) - নিজেকে আজকাল অন্য আয়নায় দেখো বুঝি? - বেলাশেষে সব পাখিই নীড়ে ফেরে, শুধু দিনের আলোয় দিকভ্রষ্ট হয় হয়তো। (১৩) - আজকাল যাওয়া হয়…ও পাড়াতে? - স্বর্ণলতা কখনও অর্কিড হয় না। স্বর্ণলতারা শোভা পায় কেবলই বাড়ির উঠোনে। (১৪) - ক্লান্ত? - সময়ের ফের। (১৫) - এ-ই কি সেই আর্তনাদ, ভরাসন্ধ্যার যে আদিম কালো দেখেছিলাম? - সন্ধ্যা রক্তিম, এক দীর্ঘ নৈঃশব্দ্যের শুরু…শুধুই বোহেমিয়ান ছন্দপতন। ১৬) সে-ই তো নির্বোধ, অন্যের অসুন্দর যার নিজের সুন্দরকে নষ্ট করে দেয়। ১৭) যার যা দরকার, তা পেয়ে যাবার পরও কোন কাজে তোমার সঙ্গে থেকে থেকে যাবে? ১৮) মানুষ নিজেকে ভারী অনুভব করতে থাকে নিজেরই দীর্ঘশ্বাসে… যার জন্ম অতিভাবনার গর্ভে। ১৯) আমি সেই মানুষকে ঘৃণা করি, সম্পর্কের গোপনীয়তা তৃতীয় কারও সাথে শেয়ার করে যে আনন্দ পায়। ২০) সবসময়ই জিততে হয় না। কখনও কখনও নিজেকে ভালো রাখার প্রয়োজনে হারতে হয়।