ভাবনার বনসাই: এক-শো নিরানব্বই

১. : তুমি বিয়ে করছ না যে?
: তুমি বিয়ে করলে যে?
: আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।
: দিয়েছি।




২. তোমায় পাবার আগে
একা ছিলাম।
তোমায় পাবার পর
নিঃসঙ্গ হয়ে গেছি।




৩. : আমি বুঝতে পারি, তুমি আমাকে ভুল বোঝো।
: তবে কখনও বলোনি কেন?
: ভয়ে।
: কীসের ভয়?
: হারাবার।
: কী হারাবার?
: জানি না।




৪. এ জীবনে তুমি আসার আগে
জীবনটা অনেক সুন্দর ছিল।
ধন্যবাদ, তুমি এলে বলেই
জীবনের সৌন্দর্য চিনেছি।




৫. যে তোমায় চেনেই না,
সে যদি তোমার মনের মতো আচরণ না করে,
তবে তার জন্য মন খারাপ করে থাকার কী মানে?




৬. তোমাকে কীভাবে মিস করলে পাপ হবে না,
ইদানীং সেটা নিয়েও ভাবি!




৭. কিছু মানুষ গালি খেতেই জন্মায়।
পৃথিবী উলটে গেলেও
ওরা গালি খাওয়ার কাজ করবেই করবে!




৮. ঘৃণা ঘড়ির মতন।
সঙ্গে সঙ্গে থাকে
আর মনে করিয়ে দেয়,
তুমি পরাধীন... তুমি পরাধীন...




৯. মানসিক সমস্যাগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে থাকার চাইতে
বড়ো শাস্তি আর নেই।




১০. খাঁটি স্বর্ণ কখনও চকচকে হয় না।
খাঁটি মানুষ‌ও কখনও চকচকে হয় না।




১১. তুমি পাশে থাকলে
আমার সব‌ই ঠিক থাকে।




১২. ভয়ে কিংবা অভিনয়ে
কাউকে ভালোবাসার চাইতে
বড়ো অসহায়ত্ব আর হয় না।




১৩. জীবনে একটা সময় আসে,
যখন মানুষ বুঝে ফেলে,
তার পাশের মানুষটি তাকে সবসময় ভুল বুঝেই যাবে,
অথচ এখন আর কিছুই করার নেই।




১৪. একটা বয়স পর গিয়ে
যৌনতার যাপন শেষ হয়ে যায়।
তখন যা বাকি থাকে, তা শুধুই বেঁচে থাকা।
সন্তদের কথা বলছি না। মানুষ সন্ত নয়।




১৫. মানুষ সাধারণত নিজের যোগ্যতার বেশি আদর পায় না।
যদি পায়, তবে তা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়।




১৬. আমি বরং একা থাকলেই
কাজগুলো গুছিয়ে করি।




১৭. জীবনটাকে আমি সিনেমার মতো করে দেখি।
অত রাখঢাক থাকলে ভালো সিনেমা হয় না।
তাই জীবনের যাপনে আমি বরাবরই স্পষ্টবাদী।
ঔচিত্যের ধার ধারি না, সত্যের কদর করি।




১৮. ওরা ধর্মগ্রন্থ পড়ে না বুঝেই।
ওদের বিশ্বাস নিয়ে ওরা খুশি এবং বিরক্তিকর।
ওরা ধার্মিক, ওরা গায়ের জোরে চায়,
সবাই ওরকম ধার্মিক হোক।




১৯. : তুমি আমাকে এতদিন পর‌ও ভালোবাসো কেন?
: তোমাকে ভালোবাসলে আমি একটু শক্তি পাই। শান্তি পাই। নিজেকে নিশ্চিন্ত মনে হয়। ভালোবাসি তো ভালোবাসি। কারণ নেই কোনও। অনুভূতি আছে শুধু।




২০. আমার ঘরটা গুছিয়ে রেখো না।
এলোমেলো না থাকলে আমি জিনিস খুঁজে পাই না।