রেশ/এক

১. তোমার অনুপস্থিতি আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে তোমাকে ছেড়ে বেঁচে থাকতে হয়।
এভাবে বাঁচতে বাঁচতে একসময় শিখেছি, একলা বাঁচতে পারার মধ্যেই অসীম শান্তি আছে।
আর তুমি কিনা এখন ফিরে এসেছ শান্তি দিতে!




২. যারা আমাদের ভালোবাসে, আমরা কেবল তাদেরই কষ্ট দিতে পারি।
এরপর আমরা ক্ষমা চাই বা না চেয়েও ক্ষমা পেয়ে যাই। এ এক ভয়াবহ বদভ্যাস!
ওদিকে, যারা আমাদের ভালোবাসে না, তাদের সাথে চলার সময় ঠিক‌ই হিসেব করে চলি।
এর মানে হলো, আমরা চাইলেই কষ্ট না দিয়েও লোকের সাথে মিশতে পারি।
অথচ আমরা কিছু মানুষের ক্ষেত্রে তা করি না, আর ভাবি, সরি বললেই সব ঠিক হয়ে যায়।
ক্ষমা মহৎ গুণ, তবে নিজেকে কষ্ট দিয়ে কাউকে ক্ষমা করলে প্রায় সময়ই সে এটাকে অধিকার ভেবে নেয়।
মানুষ আসলে নিজের দোষেই কষ্ট পায়।




৩. অতীত নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে
বোকারাই ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয়।




৪. হৃদয় খোলার আশ্বাস দিয়ে যে কেবলই কাপড় খোলে, সে বড়োজোর লম্পট, প্রেমিক কিছুতেই নয়। লাম্পট্যকে উপভোগ করার পর প্রেম চেয়ে চেয়ে কাঁদার মতন আত্মপ্রতারণা আর কী আছে!




৫. নিজের হৃদয়ের দরোজাটাকে তার জন্য এখনও খুলে রেখো না, দরোজার চাবিটা যে নিতান্ত অবহেলায় হারিয়ে ফেলেছে।




৬. আমাকে বোঝার সময় হলো না যার, কেন তাকেই বুঝতে চেয়ে বারে বারে নিজেকে ভুল বুঝিয়ে চলেছি?




৭. ভালোবাসার খোঁজে বেরিয়েছিলাম।
কোলাহল ছাড়া আর কিছুই পেলাম না খুঁজে।
তারপর নিজের হৃদয়ের খোঁজে বেরোলাম।
এখন দেখি, ভালোবাসা আমার পিছু ছাড়ছেই না!




৮. নিজের হৃদয়ের ভাঙা টুকরোগুলিকে একটা একটা করে কুড়িয়ে নিতে নিতে মেয়েটি ভাবছিল, এত বড়ো একটা মিথ্যেকে সত্যি ধরে নিয়ে কী করে এতদিন বেঁচে ছিলাম!




৯. আমি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। আমি জানি না, এর চাইতে বেশি কী বলতে হয় আমার কষ্টটাকে ঠিকভাবে গুছিয়ে বোঝাতে চাইলে। তাই চুপ করে থাকি। এমন নয় যে, নীরবতা আমার ভালো লাগে। যাকে বোঝার কেউই থাকে না, এর চাইতে বেশি সে আর কী-ইবা করবে!




১০. ছেলেদের মতো করে ভাবতে মেয়েদের কখনও বোলো না। বরং ওদের সেই সাহসটা ধরে রাখতে শেখাও, যা ধরে রাখতে জানলে ওরা সম্মানের সাথে বাঁচতে পারবে। যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তা নেই যে মেয়ের, রূপ একসময় তার জন্য বোঝা হয়ে যায়। তাই ওদের কানে সেই মন্ত্রটা দাও, যা বুকে ধারণ করলে ওরা আর কখনোই সেই মানুষ বা মুহূর্তটাকে আশ্রয় বা প্রশ্রয় দেবে না, যার সাহচর্য তাকে দুর্বল করে দেয়।