রেশ/দুই

১. মাঝে মাঝে মনে হয়,
তোমায় পেতে
সমস্ত দূরত্বকে খুন করে বসি!




২. মুখে মুখে ভালোবাসার কথা বলেও
সকল কাজে অমন ঘৃণা ছড়িয়ে রাখো কেন?
আমায় ভালোই যদি বাসো,
তবে কেবলই কষ্ট কেন দাও?
আমি যা শুনতে চাই, ঠিক তা-ই বলে বলে
আমায় প্রেমে ফেলে দেবার পর
কেন এখন তা-ই দেখাও, যা আমি দেখতে চাই না?




৩. যে ভালোবাসা তোমাকে বাড়তে দেয় না,
তাকে শুরুতেই আর বাড়তে দিয়ো না।




৪. সে যদি তোমার মনের মতন না হয়,
তবে সেজন্য নিজেকে অভিযুক্ত কোরো না।
ওরকম করো যদি, তবে দেখবে,
একসময় তোমার মনে হবে,
তোমার কিছুই ভালো নয়, তোমার সব কিছুতেই গলদ।
এতে তোমার মনের শক্তি নিঃশেষিত হবে, নিজের মূল্য নিজের কাছেই কমতে থাকবে,
এবং তুমি সেইসব উটকো লোকেদের গুরুত্বপূর্ণ ভেবে বসে থাকবে, তোমার সাথে কথা বলারই যোগ্যতা যাদের নেই।




৫. ভালোবাসা তোমায় দুঃখ দেবেই দেবে।
খারাপ লোকের প্রেমে পড়লে কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হবে, আর ভালো লোকের প্রেমে পড়লে কাঁদতে কাঁদতে ঋদ্ধ হবে।




৬. দিনের পর দিন আমি পুড়েছি তোমার সেই প্রেমে, তোমার মধ্যে যে প্রেম কখনও ছিল‌ই না।




৭. আমরা কখনও পেতে হারাই, কখনোবা হারিয়ে পাই।
প্রথমটি ঘটে সচেতনভাবে, আর দ্বিতীয়টি অবচেতনে।
কোন হারানোর মানে যে পাওয়া, আর কোন পাওয়ার মানে যে হারানো,
তা বিচারের ভার সময়ের উপর ন্যস্ত করলেই শান্তি।




৮. তুমি আমায় দেখো আর ভাবো,
আমার ঘরভর্তি শুধুই চাঁদের আলো!
জানতে যদি, যার ঘর পুড়ে ছাই,
তার আর চাঁদের মাঝে যে থাকে না দেয়াল!




৯. মেয়েদের বিয়ের জন্য তৈরি হতে বোলো না।
বরং তাদের শেখাও, কীভাবে নিজেকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে হয়, যেখানে গেলে পরে তাকে বিয়ে করতে চাইবার আগে একটা ছেলের নিজেকে অনেক গুছিয়ে তৈরি করতে হয়।




১০. ভালো করে ভেবে নাও,
তোমার স্মৃতিগুলো কার সাথে তৈরি হচ্ছে।