আপনারা যাঁরা প্রেম করেন

: অনেকেই সেইম-ব্যাচ রিলেশনশিপ করে, পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জীবন তারা দুইজন একসাথে কাটিয়ে দেয়। একটা সময় পর দেখা যায়, কমিটমেন্টের জায়গাটি অনেক বেশি নড়বড়ে হয়ে যায়। ভালো প্রতিষ্ঠিত ছেলে আর পরিবারের দোহাই দিয়ে, মেয়েটি এতদিনের ধরে রাখা হাতটি, ছেলেটির ক্যারিয়ার গোছানোর সময়টিতে এসে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই সময় ছেলেটি মানসিকভাবে প্রচণ্ড ভেঙে পড়ে। আচ্ছা, এই ঘটনাগুলোকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন? মেয়েটি কি পারত না, বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে যেমনি রিলেশনশিপ কন্টিনিউ করেছে, ঠিক তেমনি নিজের পরিবারকে ম্যানেজ করে ছেলেটার পাশে থাকতে? এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন?




: আপনার এত আবেগ কোথা থেকে আসে, ভাই? একটা মানুষ কী করবে কী করবে না, ওটা ঠিক করে দেবার আপনি কে? জীবনটা কী তার? না কি আপনার?...জীবনটা তো তার!




যে আপনাকে বলেছিল, আপনাকে ছাড়া বাঁচবে না, সে আপনাকে ছাড়াই দিব্যি বেঁচে আছে। তার মানে, সে তখন মিথ্যা কথা বলেছিল। একটা মিথ্যুককে নিয়ে ভাববার মতো এত সময় আপনি কোথা থেকে পান? সে আপনাকে বলেছিল যে আপনাকেই বিয়ে করবে, আপনাকে না পেলে সে জীবনে সুখী হবে না। এখন তো ঘটনা ঘটেছে উলটোটা!




এখন আসি আসল কথায়। জীবনে আপনি কিছু করতে পারেননি কিংবা তার ফ্যামিলি যতদূর চেয়েছিল, ততদূর যেতে আপনি পারেননি বিধায় সে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে অন্য একজনকে বিয়ে করে ফেলেছে। এইরকম একটা মিথ্যাবাদীর জন্য, এইরকম একটা ফালতু মানুষের জন্য ভাববার সময় আপনি কোথায় পান? সে আপনার প্রতি কমিটেড ছিল, তবে সেই কমিটমেন্ট সে রাখতে পারেনি। যে মানুষ কমিটমেন্ট রাখতে পারে না, সে তো মানুষের মধ্যেই পড়ে না!




একটা অমানুষকে নিয়ে চিন্তা করার মতো সময় আপনার কেন হচ্ছে রে ভাই? আপনার কাজ নাই? আপনি এত আজাইরা কেন, ভাই? কী সমস্যা, ভাই? আপনার কি সত্যিই কোনও কাজ নাই? সে আপনাকে বলেছে, আপনি অমুক কাজটা করতে পারেন নাই, সেইজন্য আমি তোমাকে বিয়ে করলাম না। আরে গাধা কোথাকার, আপনি দেখিয়ে দিন না রে ভাই, আপনাকে বিয়ে করলে সে কী কী পেত! সে যেই ছেলেকে বিয়ে করেছে, তার চাইতে দশগুণ বেশি সফল হয়ে দেখিয়ে দিন না যে আপনাকে পেলে সে ওই চমৎকার মানুষটাকে পেত।




এইটুকু বুদ্ধিও আপনার নাই? এইটুকু জেদ‌ও আপনার মধ্যে নাই? নাই কেন? আপনি মানুষ না? আপনার মাথায় বুদ্ধি নাই? আপনার মাথায় কোন‌ও সেন্স নাই? আপনি এমন কেন, ভাই? আপনি এরকম বলদমার্কা কেন, ভাই? আপনি বলতে পারেন, তাকে নিয়ে আপনি অনেক দিন ছিলেন, তাকে নিয়ে আপনি সেই অনেক দিন সুখে ছিলেন। আচ্ছা, আপনি এত স্বার্থপর কেন, ভাই? আপনি যে অনেক দিন সুখে ছিলেন, ওই সুখের জন্য আপনার মধ্যে কোন‌ও শুকরিয়া নাই?




ওই সুখে কি আপনি একা ছিলেন? সে-ও তো ছিল, দুই জন একসঙ্গে সুখী ছিলেন। এখন, দুই জন একসঙ্গে সুখে ছিলেন; আপনাদের মধ্যে একজন ভাবছে, আমি আর এখানে সুখী হতে পারছি না। আমার আর সুখে থাকার দরকার নাই, আমি এখন অন্য কাউকে নিয়ে সুখী হব। যদি আপনি তাকে ভালোবেসে থাকেন, তাকে তার মতো করে সুখী থাকতে দিন না! অসুবিধা কোথায়?




আপনার অ-সুখ হচ্ছে? আপনার কষ্ট হচ্ছে? আপনার এই কষ্টের জন্য তো তার কষ্ট হচ্ছে না! এটা তো আপনাকে...ইউ হ্যাভ টু বুঝতে হবে! আপনার এই কষ্টের জন্য যেহেতু তার কোনও কষ্ট হচ্ছে না, সেটাকে মেনে নেওয়া আপনার কর্তব্য, আপনার দায়িত্ব। দুনিয়াতে বেঁচে থাকার সময়টাতে আপনি অনেক কিছু ভাবতে পারেন...এটা হবার কথা ছিল, এটা হবার কথা ছিল না, এটা হওয়া উচিত ছিল, এটা হওয়া উচিত ছিল না ইত্যাদি ইত্যাদি। আচ্ছা, দুনিয়া কি আপনার ভাবনামতো চলবে? দুনিয়াতে যা হচ্ছে, তা তো হচ্ছেই। আপনি চান বা না চান, হচ্ছে তো!




আপনি তো চোখের সামনেই দেখেছেন, সে আপনার চোখের সামনে দিয়ে চলে গিয়েছে। সে আপনার চোখের সামনে দিয়ে আপনাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে, তার মানে সে মানুষটা আপনাকে পাত্তা দেয় না। যে মানুষটা আপনার ইমোশনের দাম দেয় না, সে মানুষটার কাছে আপনার ইমোশনকে হালকা হতে দেবার কী মানে?




এ পৃথিবীতে যদি দামি একটাও জিনিস থাকে, সেই জিনিসটা হচ্ছে আপনার ইমোশন! আপনার ইমোশনের চাইতে দামি কোনও জিনিস পৃথিবীতে সৃষ্টিই হয়নি! সে দামি জিনিসটাকে আপনি একটা…একটা ফালতু লোকের জন্য নষ্ট করছেন?! যে মানুষটার জীবনে আপনার কোনও দরকার নাই, তার জন্য আপনি আপনার ইমোশন নষ্ট করছেন?! কেন, ম্যান? সমস্যাটা কোথায়, আমি তো বুঝলাম না! সে কী চাইছিল? আপনি সফল হোন, আপনি স্টাবলিশড হোন... এইসব তো? এইজন্য‌ই সে আপনাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে?




আপনার শরীরে যদি মানুষের রক্ত প্রবাহিত হয় তো দেখিয়ে দিন না তাকে! আপনি দেখিয়ে দিন তাকে যে, আপনার সঙ্গে থাকলে সে একজন এস্টাবলিশড মানুষের সঙ্গে বাস করত! যদি আপনি লাইফে কিছু করতে না পারেন, তবে সে আজ থেকে পাঁচ বছর পর হলেও ভাববে, যা হয়েছে, তা ভালোই হয়েছে; তার সঙ্গে থাকলে ভাতে-কাপড়ে কষ্ট পেতাম বা কষ্টে থাকতাম, তার সঙ্গে থাকলে এটা হতো না, সেটা হতো না, গাড়ি হতো না, বাড়ি হতো না, ব্লা…ব্লা…ব্লা…ব্লা…ব্লা…!...তাহলে তো আপনি হেরে গেলেন, সে জিতে গেল!




আরে, দেখিয়ে দিন না, ভাই, তার সঙ্গে আপনার বিয়েটা হলে সে সবই পেত লাইফে! আপনি দেখিয়ে দিন তাকে যে, সে ভুল ভেবেছে, সে আপনাকে চিনতে ভুল করেছে। আমি দেখিয়ে দিয়েছিলাম, আমি তাকে ভুল প্রমাণ করেছিলাম! আমি এই কাজটা করতে না পারলে আপনাদের সামনে এত বকবক করার মতো সৎসাহস পেতাম না। জি, আমি খুব ভালো করেই দেখিয়ে দিয়েছিলাম!




আপনাকে বলি, আপনি কাজটা করুন না, ভাই! যে মানুষটার সঙ্গে আপনি ভালো ছিলেন, যে মানুষটাকে আপনি ভালোবেসেছেন, সে মানুষটা যাতে ভালো থাকে, এইজন্য দোয়া করুন। সে মানুষটা ভালো থাকলে শুকরিয়া আদায় করুন। সে মানুষটা নাহয় অন্য কারও সঙ্গে ভালো আছে, তার চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, মানুষটা ভালো তো আছে! আমি তো মনে করি, আমার ভালোবাসার মানুষটা আমার সঙ্গে থাকলে যতটা ভালো থাকে, অন্য কারও সঙ্গে থাকলে যদি ততোধিক ভালো থাকে, তবে সে আমার সঙ্গে না থেকে বরং ওই মানুষটার সঙ্গে থাকুক! সে আমার সঙ্গে থাকুক, এটা আমি যতটা চাই, তার চাইতে অনেক বেশি করে চাই, সে সত্যিকার অর্থেই ভালো থাকুক---তা সে যেখানেই থাকুক না কেন!




যদি সত্যি সত্যি আপনি মানুষটাকে ভালোবেসে থাকেন, তবে ওইটুকু শুভকামনা তো আপনার মধ্যে থাকা দরকার! আপনি যাকে ভালোবাসেন, তাকে পাবার আশা রাখবেন না। তার জন্য আপনি যেটা করতে পারেন, সেটা হচ্ছে, তার জন্য আপনি শুভকামনা করতে পারেন, দোয়া করতে পারেন, প্রার্থনা করতে পারেন দুইহাত তুলে...এর বেশি কিছু না।




আমরা যখন ভালোবাসি...তখন যেন মাথায় রাখি, ভালোবাসা এবং কুকুর-পালার মধ্যে পার্থক্য আছে, ভাই! কুকুর পাললে কুকুরটা নিজের কাছে থাকে, ভালোবাসলে ভালোবাসার সেই মানুষটা নিজের কাছে না-ও থাকতে পারে। ভালোবাসলে ভালোবাসার মানুষটাকে তার সঙ্গেই থাকতে হবে, এই থিওরিতে যারা বিশ্বাসী, তারা প্রেমে না পড়ে বরং কুকুর পালুন! ওটা অনেক বেটার, কুকুরটা আজীবন থেকে যাবে আপনার সঙ্গে। মানুষ কিন্তু কুকুর নয়!




মনে রাখতে হবে, যে মানুষটা আপনাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে, হয়তোবা তার চলে যাবার ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু সে তার ফ্যামিলির ইচ্ছের বাইরে যেতে পারেনি। সে বাধ্য হয়েছে পরিস্থিতির চাপে পড়ে। সে পরিস্থিতির শিকার। তার কিছু করার ছিল না। সে অন্য একটা ছেলেকে বিয়ে করে ফেলেছে। তার বাপের জন্য, তার মায়ের জন্য, তার ভাইয়ের জন্য...হোয়াট‌এভার ইট ইজ! আপনি তার মা-বাপ-ভাই'কে দেখিয়ে দিন না, আপনার সাথে বিয়ে দিলেও তাদের ঘরের মেয়েটা ভালো থাকত! দেখিয়ে দিন, যদি হিম্মত থাকে! এইটুকু জেদ‌ও আপনার নাই? কেন থাকবে না? হোয়াই?




পৃথিবীর ইতিহাস কী বলে? যে যাকে ভালোবাসে, সে কি তাকে পায়? আরে ভাই, মোটামুটি নাইনটি-সিক্স পার্সেন্ট প্রেমেই তো ব্রেকআপ হয়ে যায়! আপনি খোঁজ নিয়ে দেখুন, ব্রেকআপ‌ই প্রায় সব প্রেমের একমাত্র গন্তব্য। লোকে যে বিয়ে খায়, তার প্রায় সব‌ই কার‌ও এক্স-বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে কার‌ও এক্স-গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে। ভেবে দেখুন, যে প্রেমগুলো হচ্ছে, সেগুলো যারা করছে, তাদের প্রত্যেকেই মনে করত, একমাত্র মৃত্যু‌ই তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে, আর কোনও কিছুই বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। অথচ হলোটা কী? মৃত্যু তো বিচ্ছিন্ন করেই নাই, বাপের একটা ঝাড়ি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে!




বাপ ঝাড়ি মারল, তুই ওকে বিয়ে করতে পারবি না, সে কিছু করে না, টো টো করে বেড়ায়, ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেড়ায়, তার কিছু নাই...হ্যান-ত্যান! বাপের একটা ঝাড়ি যে জিনিস বিচ্ছিন্ন করে দেয়, সেই জিনিস নিয়ে আপনি এত ভাবছেন? আপনি কি বলদ? আমি বুঝলাম না, জিনিসটা কী! এত এত এত প্রেম কেন, ভাই? প্রেম জিনিসটা...ঠিক আছে, ভালোই; প্রেম-ভালোবাসা খুব ভালো জিনিস! আপনি যে তার সঙ্গে ছিলেন, তার সঙ্গে তো ভালো ছিলেন, ভাই! তার সঙ্গে তো আপনার সময়টা ভালো কেটেছে, শুকরিয়া আদায় করুন।




সে কি একা ভালো ছিল? আপনিও তো ভালো ছিলেন। আপনি তাকে বলছেন, হ্যাঁ, আমার সঙ্গে তুমি এত ভালো ছিলে, তোমাকে আমি এত ভালো রেখেছিলাম। ডট ডট ডট! থামুন থামুন! বেয়াদব কোথাকার! স্বার্থপর কোথাকার! সে আপনাকে ভালো রাখে নাই? সে ভালো না রাখলে আপনি তাকে একতরফা ভালো রেখেছেন? এরকম হয় নাকি, ভাই? সে তো আপনাকে ভালো রেখেছে। আপনি কেন ভুলে যাচ্ছেন, সে আপনাকে ভালো রেখেছিল! সে এখন আপনাকে ভালো রাখতে পারছে না, সে এখন অন্য একটা মানুষকে ভালো রাখছে। আপনি যদি তাকে ভালোবাসেন, তার জন্য দোয়া করুন, তার জন্য প্রার্থনা করুন। সে যে মানুষটাকে পেয়েছে, তার জন্য সুস্থতা কামনা করুন, দীর্ঘায়ু কামনা করুন। সে ভালো থাকলে ওই মানুষটা ভালো থাকবে।




আপনি এটা করতে পারেন, যদি আপনি সত্যিকারের প্রেমিক হন। আর যদি আপনি সত্যিকারের প্রেমিক না হন, যদি আপনি ভালোবাসতে না পারেন, তাহলে আপনি মাথার চুল ছিঁড়বেন। আপনি চাইবেন, সে মরে যাক, সে কষ্ট পাক, তার হ্যান হোক, তার ত্যান হোক! জানেন তো, এইগুলো হচ্ছে লুজারদের ভূমিকা, এইসব হচ্ছে লুজারদের কাজ। যারা উইনার, তারা কখনও এসব করে না। আপনি যে কারণে সে মানুষটাকে পাননি, আপনি দেখিয়ে দিন, ওই কারণটা মিথ্যা ছিল। আপনি যে মানুষটাকে ভালোবেসেছেন, তার ভালো কামনা করুন, তাকে শুভকামনায় রাখুন, তার জন্য ভালো চান। সে ভালো আছে, এটা গুরুত্বপূর্ণ; সে আপনার হয়নি, সেটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।




ভালোবাসায় অতটা স্বার্থপর হওয়া যায় না। বিশ্বাস করুন ভাই, আমি যে এতটা পকপক করছি, আমার লাইফের কাহিনিটাও মোটামুটি এইরকম। আমি আমার লাইফে অনেক মানুষকে দেখেছি; আমি আমার অনেক বন্ধুবান্ধবকে দেখেছি, তাদের লাইফের কাহিনিটাও এইরকম। এই যে আপনি কষ্টে আছেন, বিশ্বাস করুন, কষ্টে আপনি একা নেই, আমরা সবাই আছি। আমার একটা সময় মনে হয়েছে, বেঁচে থেকে কী হবে? যাকে ছেড়ে আমি বাঁচতে পারব না ঠিক করেছিলাম, সে-ই যখন নেই আমার সঙ্গে, বেঁচে থেকে তখন আমার আর কী হবে?




আমি আজকের দিনে এসে বুঝি, বেঁচে থাকার সাথে ভালোবাসার কোনও সম্পর্কই নাই! মানুষ ভালোবাসা ছাড়াও বেঁচে থাকতে পারে, কোনও অসুবিধা নাই। এখনও প্রতিদিনই আমার তার কথা মনে পড়ে, প্রতিমুহূর্তে মনে আসে সে মানুষটার কথা। তার জন্য শুভকামনা করি, তার জন্য প্রার্থনা করি। সে আমাকে সব জায়গায় ব্লক করেছে, সে আমার মেসেজ সিন করে ঠিকই, কিন্তু রিপ্লাই দেয় না। তার পরও আমার মনে হয়, ঠিক তো আছে সে, আমাকে হয়তোবা এখন আর মনে করতে পারে না সে, কিন্তু আমি মনে করতে পারি তাকে সবসময়ই; ভালোবাসা বলে পৃথিবীতে যদি কোনোকিছু থাকে, সে জিনিসটাতে আমি যতটা সফল, আমি যতটা সার্থক, আমি যতটা কমিটেড, তার দশ শতাংশও তার নাই! ওরকম একটা মানুষের সঙ্গে যদি আমি লাইফটা কাটাতাম, তবে আমার সঙ্গে ভালো কিছু হতো না।




সৃষ্টিকর্তা যা করে, ভালোর জন্যই করে। সে যে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে, সৃষ্টিকর্তা আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে; আমি বেঁচে গেছি রে, ভাই! তার সঙ্গে থাকলে আমি ভালো থাকতে পারতাম না। বরং সে তার মতো করে ভালো থাক, আমি আমার মতো করে ভালো থাকি। সে তার জায়গায় ঠিক, আমিও আমার জায়গায় ঠিক। আমাদের দু-জনের একসঙ্গে থাকার কথা ছিল না, তাই আমরা একসঙ্গে থাকতে পারিনি। এই যা-কিছু ঘটে, তার প্রত্যেকটাই আমাদের জীবনে আগে থেকে নির্ধারণ করা, আগে থেকেই ঠিক করা। এটা নিয়ে এত এত কষ্ট পাবার কিছু নাই। আপনার কষ্ট আমি বুঝতে পারি, আমি সেই কষ্টটা পেয়েছি, তাই খুব স্পষ্টভাবেই বুঝতে পারি!




কান্নাকাটি বন্ধ করুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে বেশি কাঁদলে প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে অল্প কাঁদার‌ও সুযোগ‌ পাবেন না।