ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা

ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা কি একই ব্যাপার?




দেখা যাক।




পৃথিবীতে একেক বিশ্বাসের জনগোষ্ঠী একেক ধর্ম পালন করে। এ কারণে ধর্মের বৈচিত্র্য চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে, আধ্যাত্মিকতার ব্যাপারটা আত্মার সাথে জড়িত, হৃদয়ে থাকা স্রষ্টার সাথে সম্পর্কিত। তাই আধ্যাত্মিকতার বিচারে পৃথিবীর সব মানুষই একই মতে ও পথে চলে। শান্তির কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম হয় না, শান্তি হলো আধ্যাত্মিকতার সেই চর্চা, যা সকল ধর্মকে সমন্বয় করে দেয়।




ধর্মের অনুশাসনগুলি মেনে চললেই ধার্মিক হওয়া যায়। ওসব নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা বা প্রশ্ন না তুলে স্রেফ বিশ্বাস করেই নিজেকে ভালো রাখা যায়। আর আধ্যাত্মিকতা হচ্ছে তাদের জন্য, যারা সারাক্ষণই আত্মানুসন্ধান করে চলে, নিজেকে জানতে চেষ্টা করে। ধর্ম পালনের শেষ আছে, কিন্তু আধ্যাত্মিকতা পালনের কোনও শেষ নেই।




ধর্ম পালন করা তাদের জন্য সহজ, যারা কোনও গুরু বা ধর্মপ্রচারকের দেখানো পথ অনুসরণ করে অন্ধের মতো, কোনও প্রশ্ন না তুলে। অপরদিকে, যারা নিজের ভেতরের ঈশ্বরের সাথে কথা বলতে চায়, আত্মাকে জাগিয়ে তুলতে চায়, এবং পূর্বনির্দেশিত কোনও কিছুর উপরই অন্ধ-আস্থা না রেখে নিজের পথ নিজেই খুঁজে নেবার চেষ্টা করে, মূলত তাদের জন্যই আধ্যাত্মিকতা। ধর্মীয় পরিচয় জন্মসূত্রে পাওয়া গেলেও আধ্যাত্মিকতা নিজেকেই অর্জন করে নিতে হয়। ধর্মের পথ অনেকটাই সুস্পষ্ট, আধ্যাত্মিকতার পথ অজানা।




ধর্মের নিয়ম আছে, কানুনও আছে; সেগুলি না মানলে শাস্তির ব্যবস্থাও আছে। ওসব নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না; তুললে অধর্ম হবে। যুক্তি খোঁজার নাম ধর্ম নয়, আধ্যাত্মিকতা। অন্ধভাবে এবং কোনও প্রশ্ন না তুলে বিশ্বাস করতে না জানলে, বরং সবকিছু নিয়েই কার্যকারণ খুঁজতে গেলে ধর্ম পালন হয় না, আধ্যাত্মিকতা পালন হয়। ধর্ম বিশ্বাসের ব্যাপার, আধ্যাত্মিকতা অনুসন্ধানের ব্যাপার।




ধর্মে বলা আছে, কী কী না করলে এবং কী কী করলে শাস্তি পেতে হবে। আধ্যাত্মিকতায় এ ধরনের কোনও ব্যাপার নেই। আপনি যে পথে চলে শান্তি পাচ্ছেন, সেটাই আপনার চলার পথ। ওই পথে চলে যার শান্তি মিলছে না, তার চলার পথ ভিন্ন। সেই ভিন্ন চলার পথটি এমনও হতে পারে, যে পথে চলে আপনার হৃদয় শান্তি পায় না। আপনার কাছে যে পথ ভালো লাগে না, সে পথ অন্য কারও ভালো লাগতেও পারে; আত্মিক শান্তি পাওয়াই আধ্যাত্মিকতার প্রথম ও শেষ কথা। তাই আধ্যাত্মিকতায় কোনও পথ‌ই ভুল নয়। ধর্মে ভয় আছে, বারণও আছে; আধ্যাত্মিকতায় ওসব নেই।




ধর্ম মৃত্যুপরবর্তী পাপের শাস্তি নিয়ে কথা বলে। আর আধ্যাত্মিকতা মৃত্যুর আগেই ভুল থেকে শেখার পরামর্শ দেয়। ধর্ম ক্ষমা চাইতে শেখায়, আধ্যাত্মিকতা সাবধান হতে শেখায়। ধর্মের যাত্রা ঠিক পথে গেলে তা শেষে আধ্যাত্মিকতায় গিয়ে মেশে।




সব মিথ্যাকে দমিয়ে রেখে কেবল সত্যকে তুলে ধরার নাম ধর্ম। ধর্মের ভয়ে মানুষ নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মিথ্যাগুলিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সাহস পায় না। সত্য কি মিথ্যা, সবকিছুকে ছাপিয়ে উঠে নিজের হৃদয়কে সত্যের কাছাকাছি নিয়ে যাবার নামই আধ্যাত্মিকতার চর্চা। ধর্মের সত্য সম্প্রদায়ের বিশ্বাস অনুযায়ী ভিন্ন হয়; আর আধ্যাত্মিকতার সত্য একটাই: মনের শান্তি।




ধর্মের কাজ নির্দিষ্ট কিছু বিশ্বাসের উপর ভর করে মানুষের ভেতরের মানুষটাকে আবিষ্কার করা। এখানে কোনও প্রশ্ন চলে না। আধ্যাত্মিকতার কাজ একজন মানুষ ঠিক যেভাবে আছে, তাকে সেভাবেই গ্রহণ করে তার ভেতরের মানুষটাকে খুঁজে বের করা। এই খোঁজার কাজটি করতে গিয়ে আধ্যাত্মিকতা সকল ধরনের প্রশ্ন ও সংশয়কে সাদরে আমন্ত্রণ জানায়।




ধর্মের বিধিবিধান মানুষের হাতে তৈরি। বিভিন্ন ধর্মের প্রবক্তাগণ নানান সময়ে যুগের ও ধর্মের প্রয়োজনে নানান মতবাদ প্রচার করে গেছেন, এবং সেগুলিই আজও অনুসৃত হচ্ছে। অন্যদিকে আধ্যাত্মিকতা ব্যাপারটা কোনও নিয়মনীতির হাত ধরে চলে না। যার হৃদয়ে যেভাবে ও যেখানে শান্তি মেলে, তা নিয়েই তার আধ্যাত্মিকতা। এখানে ধরাবাঁধা কোনও অনুশাসন নেই, তাই অনুশাসন থেকে সরে যাবার শাস্তির কথা কোথাও লিখিত নেই। ধর্মে পাপের স্খলন হয় নানান ধর্মাচার পালনের মধ্য দিয়ে, তাই পাপ করলেও তা থেকে মুক্তির উপায় ধর্মে বলা আছে; আধ্যাত্মিকতায় পাপের স্খলন বলে কিছু নেই, বরং আছে নিজেকে ক্রমাগত প্রশ্ন করার মাধ্যমে ভালো কাজের মধ্য দিয়ে নিজের আত্মার শুদ্ধতা ও শান্তি আনার চেষ্টা।




ধর্মে ধর্মে বিভেদ হয়, আত্মায় আত্মায় মিলন হয়। তাই বলা যায়, ধর্ম যখন দূরে সরায়, আধ্যাত্মিকতা তখন কাছে টানে। ধর্ম সেই মানুষ খোঁজে, যে তাকে বিশ্বাস করবে। আর আধ্যাত্মিকতা মানুষ নিজ প্রয়োজনেই খুঁজে নেয় শান্তির আশায়। এদিক থেকে ভাবলে, ধর্ম তার প্রকৃতির কারণেই কিছু মানুষকে আপনাআপনিই দূরে সরিয়ে রাখে, আর আধ্যাত্মিকতা তার প্রকৃতির কারণেই সবাইকে একছাদের নিচে এনে জড়ো করে।




প্রতিটি ধর্মেরই নিজস্ব পবিত্র গ্রন্থ থাকে। আর আধ্যাত্মিকতা পৃথিবীর সব পবিত্র গ্রন্থের পবিত্রতাকে নিজের মধ্যে ধারণ করে। তাই ধর্মের সীমানা থাকলেও আধ্যাত্মিকতা সকল সীমানা ছাড়িয়ে যায় খুব সহজেই। ধর্ম নির্দিষ্ট ছকেই ভাবতে শেখায়; আধ্যাত্মিকতা সত্য খুঁজতে খুঁজতে জাগ্রত ভাবনার নানান ছক তৈরি করে। দ্বিতীয় কাজটি কঠিন, তাই অজনপ্রিয়।




ধর্ম মানুষকে নিজের ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরতে শেখায়। আধ্যাত্মিকতা মানুষকে নিজের আত্মার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরতে শেখায়। ধর্ম বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে বলে, আধ্যাত্মিকতা অন্তরের ঈশ্বরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। ধর্ম শেখায়, আমিই বড়ো, আমার পথই সঠিক, তাই বাকিদের পথ ভ্রান্ত। আধ্যাত্মিকতা শেখায়, শান্তিই বড়ো, শান্তির পথই সঠিক, তাই যে পথেই শান্তি আসুক না কেন, তা-ই সঠিক।




ধর্ম কাউকে-না-কাউকে মানতে বলে, তাঁকেই সর্বশ্রেষ্ঠ বলে বিশ্বাস করতে শেখায়। আধ্যাত্মিকতা নিজের মধ্যেই ঈশ্বরের প্রতিষ্ঠা করে, আত্মার মধ্যে অবস্থিত সেই ঈশ্বরের সাথে নিভৃতে আলাপ করতে শেখায়, ধ্যানে মগ্ন হওয়ার দীক্ষা দেয়। ধর্ম পালন করা যত সহজ, আধ্যাত্মিকতার চর্চা করা ততোধিক কঠিন; কেননা ধর্মের মতো আধ্যাত্মিকতা জন্মসূত্রে পাওয়া যায় না কিংবা মন চাইলেই গ্রহণ করা যায় না। ধর্মের মতো আধ্যাত্মিকতা কখনোই দল ভারী করার দায়ে বাঁচে-বাড়ে না।




ধর্ম আমাদের সেই পথেই বাঁচতে উদ্‌বুদ্ধ করে, যে পথে বাঁচলে মৃত্যুর পর স্বর্গে যাওয়া যাবে; স্বর্গের মহিমান্বিত স্বপ্নে বাঁচার জন্য নির্দিষ্ট কিছু জীবনাচরণ মেনে চলতে বলে, এবং সেগুলি মেনে না চললে মৃত্যুর পর নরকে যাবার ও বর্ণনাতীত কষ্ট ভোগ করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। ধর্ম বলে, এ পৃথিবী দুঃখময় হলেও মৃত্যুর পরের পৃথিবীতে অনন্ত সুখ আছে এবং সেখানে যাওয়া যাবে, যদি নির্দিষ্ট কিছু বিধিবিধান মেনে চলা যায়। অপরদিকে, আধ্যাত্মিকতা মৃত্যুর আগেই, জীবদ্দশায় এই পৃথিবীতে স্বর্গীয় সুখের সন্ধানে বাঁচতে শেখায়। নিজের হৃদয়েই ঈশ্বরের অবস্থান, নিজেকে খুঁজে পেলেই ঈশ্বরকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়, অন্তরের পৃথিবীর সাথে বাহ্যিক পৃথিবীর একটা সুন্দর সমন্বয় ঘটাতে পারলেই স্বর্গের সমস্ত শান্তি বেঁচে থাকতেই পাওয়া যায়। আধ্যাত্মিকতা এভাবেই মৃত্যুর আগেই নিজেকে স্বর্গের অভিজ্ঞতার পথে নিয়ে যেতে শেখায়। আধ্যাত্মিকতার মূলকথা হলো একটি শুদ্ধ ও সুন্দর জীবন যা, তা মেলে মৃত্যুর আগেই; আর ধর্ম এমন একটি জীবন পাইয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দেয় মৃত্যুর পর। ধর্মের স্বর্গ বিশ্বাসের উপর, আধ্যাত্মিকতার স্বর্গ অনুভবের উপর।




ধর্ম নির্দিষ্ট কিছু ভাবনাবলয়ে আমাদের আবর্তন করায়, এবং এর ফলে আমাদের মনের মধ্যে এমন এক পৃথিবী তৈরি হয়, যা ধর্মে নির্দেশিত ও নির্ধারিত কিছু বিশ্বাসনির্ভর চর্চাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। একেক ধর্মের পৃথিবী একেকটা, এবং এই পৃথিবীসমূহের দর্শন প্রায়ই পরস্পরবিরোধী। কিন্তু আধ্যাত্মিকতায় এ ধরনের কোনও ভাবনাসংঘর্ষ নেই, বরং এটি আমাদের চেতনাকে মুক্ত করে বাইরের আমি’র সাথে ভেতরের আমি’র একটা নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ঘটায়। মৃত্যুর পরের জীবনের যেসব সুখ ও আনন্দের কথা ধর্ম বিশ্বাস করায়, আধ্যাত্মিকতার চর্চা মৃত্যুর আগেই সেসব অনুভব করার পথ দেখিয়ে দেয়।




ধর্ম তাদের জন্য পথ দেখিয়ে দেয়, যারা নরকে যেতে ভয় পায়, মৃত্যুর পর নরকযন্ত্রণা পাবার হাত থেকে বাঁচতে চায়, মৃত্যুর পর স্বর্গে যেতে চায়। আর আধ্যাত্মিকতা তাদেরকে শান্তির পথ দেখায়, যারা নরকযন্ত্রণার মধ্যেই বেঁচে আছে, বেঁচে থাকার সময়টাতেই স্বর্গীয় সুখ পেতে চায়, মৃত্যুর আগেই আত্মিক শান্তি অনুভব করে বাঁচতে চায়। স্বর্গের বিশ্বাসে বাঁচার চাইতে স্বর্গের অনুভবে বাঁচা কঠিন বলেই ধর্মের কদর অপেক্ষাকৃত বেশি। ধর্মাচরণ করলে মানুষ মৃত্যুর পর অনেক পুরস্কৃত হবে, না করলে কঠোর শাস্তি পাবে। পৃথিবী এক পরীক্ষাক্ষেত্র, পরীক্ষার ফলাফল মৃত্যুর পরেই পাওয়া যাবে। অপরদিকে আধ্যাত্মিকতা হচ্ছে ঈশ্বরের সেই পুরস্কার, যা মানুষ পেয়ে যায় মৃত্যুর আগেই… যদি জীবনের কঠোর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, তবেই।




ঈশ্বর বা পরমাত্মার সাথে মানুষের যে সরাসরি সম্পর্ক, তা অর্জনের চেষ্টা করার নামই হচ্ছে আধ্যাত্মিকতার চর্চা। অন্যদিকে ধর্মের চর্চা হচ্ছে এই সম্পর্কে মানুষ-নির্ধারিত বা ঐশী হিসেবে বিশ্বাসকৃত কিছু রীতিবিধানের সুশৃঙ্খল অনুসরণ। এ কারণেই ধর্ম প্রচারকগণ নিজের ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়েই প্রচার করে গেছেন এবং তা করতে গিয়ে পরধর্মের প্রতি কখনো কখনো অসহিষ্ণুতাও প্রকাশ পেয়েছে। আধ্যাত্মিকতা কখনোই প্রচার করার বিষয় নয়, বরং ঈশ্বরের সাথে একান্ত-নিভৃত আলাপনে অনুভব করার বিষয়, তাই তা চাইলেও প্রচার করা যায় না। আধ্যাত্মিকতার সন্ধান যে একবার পেয়েছে, কোনও ধর্মালয়ে যেতেই তার কোনও আপত্তি থাকে না, কোনও ধর্মগ্রন্থের দর্শন গ্রহণেই তার মধ্যে কোনও অস্বস্তি কাজ করে না। এ নিরিখে বলা যায়, ধর্মের চূড়ান্ত গন্তব্যই আধ্যাত্মিকতা।




ধর্মের উদ্দেশ্য মানুষকে আধ্যাত্মিকতা অর্জনে সাহায্য করা, পথ দেখানো। ধর্মদর্শনে যা যা বলা আছে, সেগুলির চর্চা করার ফলে মানুষ একসময় নির্দিষ্ট ধর্মের সীমানার বহু ঊর্দ্ধে উঠে যায় এবং আধ্যাত্মিক হয়ে ওঠে। ধর্ম যে-সকল জীবনবিধান দাঁড় করিয়েছে, সেগুলি মেনে চললে মানুষ নিজের সমস্ত অহম্‌বোধকে দূরে সরিয়ে সকল মত ও পথের প্রতি সহনশীল হয়ে বাঁচতে পারত। কিন্তু মানুষ তা না করে ধর্মের অজুহাতে ধর্মকেই বর্ম বানিয়ে পরস্পরের সাথে দ্বন্দ্বে কিংবা ঈর্ষায় লিপ্ত হয়। এ কারণেই মানুষ তার নিজের হৃদয় থেকে ক্রমেই দূরে সরতে সরতে একদিন আধ্যাত্মিকতা-চর্চার সকল সম্ভাবনাকে নিজহাতেই খুন করে ফেলে।




অনেক কথা হলো। এবার সহজ করে বলি। যে বিশ্বাস করে, তাকে বোঝাতে হয় না; যে বিশ্বাস করে না, তাকে বোঝানো যায় না… যদিও দু-জনের গন্তব্য একই। একটা পাখি সামনের দিকে উড়ে যাচ্ছে। তার দুই ডানা; এক ডানার নাম ধর্ম, অপর ডানার নাম আধ্যাত্মিকতা। একটি ডানা ভেঙে পড়লে অপর ডানার উপর ভর করে পাখিটি কোনোভাবেই সামনের দিকে যেতে পারবে না; যাওয়া দূরে থাক, বাঁচতেই তো পারবে না! তাই পাখির দুইটি ডানাই সমানভাবে জরুরি। দেখি, এখন ভেবে বলুন তো, পাখিটির কোন ডানায় আপনার অবস্থান? আপনি মূলত কীসের চর্চা করেন? ধর্মের? না কি আধ্যাত্মিকতার?