ভাবনার বনসাই: দুই-শো বিশ

১। সবসময়ই লিখি
তোমাকে নিয়ে
তোমার জন্যই।




২। এসো, নিঃশব্দে কথা বলি।
শব্দে শব্দে হয়
কেবলই ভুল বোঝাবুঝি।




৩। সব মায়ের পেটে সন্তান হয় না।
কিছু মায়ের পেটে জন্ম নেয়
শুধুই কষ্ট।




৪। কবিতায় কি বেশি অশ্রু ধরে না
চোখের চেয়েও?
কবিতায় কি বেশি ঢেউ খেলে না
সমুদ্রের চেয়েও?




৫। সঙ্গে মোবাইল ফোন কিংবা ক্যামেরা না রেখেও
কোথায় যেতে চাও? কাকে নিয়ে?
যেখানে চাও, ওটাই তোমার প্রিয়।
যাকে নিয়ে, সে-ই তোমার প্রিয়।




৬। আমি ফুল নিয়ে খেলে এসেছি,
আর তুমি কিনা আমাকে আগুনের ভয় দেখাও!




৭। যারা দেখতে কালো-কুৎসিত,
ওদের নিঃশ্বাসেও ফুলের ঘ্রাণ মেশানো থাকে।
জানতে না বুঝি?
ওদের প্রিয়দের জিজ্ঞেস করে দেখো তবে।




৮। তোমার সাথে দেখা হবার আগে
এবং
তুমি আমাকে ছেড়ে যাবার পর
তোমাকে চিনেছি যতটা,
তার সিকিভাগও চিনিনি তোমাকে
যখন আমার পাশে ছিলে।




৯। : ভালোবাসা দেখতে তবে কেমন?
: হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি দেখতে যেমন!




১০। প্রিয়া, দোহাই লাগে,
এই রাতে শরাব সরিয়ে রাখো!
তোমাকে দেখলে আমার
এমনিই মাতাল মাতাল লাগে!




১১। শায়ের যখন শায়েরি লেখে,
তখন পুঁটির দেহে তিমি ঢোকে।




১২। কিছু অনুভূতি আছে,
যাদের সাথে দেখা হয়নি বলেই
ওদের হয়নি পাওয়া।
কিছু মানুষ আছে,
যাদের সাথে দেখা হয়েছে বলেই
ওদের হয়নি পাওয়া।




১৩। তোমাকে দেখে
হাজার সমুদ্র দেখা হয়ে গেল।
তোমাকে পেয়ে
হাজার জন্ম বাঁচা হয়ে গেল।




১৪। আমায় শান্তি দিয়েছিল যে নারী,
সে কখনও আমার জীবনে আসেনি।
আমায় প্রেম শিখিয়েছিল যে নারী,
তার সাথে আমার কখনও দেখা হয়নি।




১৫। তোমার শরীরে থাকা দাগগুলি যেন
আর্টিস্টের একেকটি স্কেচ!
তোমার স্বভাবে থাকা খুঁতগুলি যেন
ঈশ্বরের সুন্দরতম ভুল!




১৬। শিল্পীর হাতই তাঁর হৃদয়। শিল্পীর চোখই তাঁর আত্মা।




১৭। ঈশ্বরের কী আশ্চর্য সৃষ্টি এই মেয়েরা!
ওরা প্রতিমাসেই রক্তাক্ত হয়, তবু বেঁচে থাকে।
এ কারণেই মেয়েরা রক্তাক্ত হৃদয় নিয়েও মাথা উঁচু করে বাঁচতে জানে।




১৮। আমি যেখানে আছি,
এবং আমি যা…
এ দুই সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার।




১৯। আমি চলে যেতেও চাই,
আবার থেকে যেতেও চাই।




২০। আমি মিথ্যে বলেছিলাম।
আমি বলেছিলাম, তোমাকে ভালোবাসতে আমার ভালো লাগে না।
তারপর আমি তোমাকে ফেলে চলে গিয়েছি।
তার পরে আমি তোমাকে আরও বেশি করে ভালোবেসেছি।