বলেছিলাম, ফিরে আসব। মনে আছে? দেখো, এই তো ঠিকই ফিরে এলাম! বইমেলা থেকে সদ্যকেনা শঙ্খ ঘোষের ভাঁজে ভাঁজে... আমারই তো ঘ্রাণ! হ্যাঁ, ওই নতুন ঘ্রাণটা পুরনো হলে, সে-ও আমি! সময় এলে মিলিয়ে নিয়ো! খোঁপার ওই জবাফুলটা ঘাড় নুইয়ে তোমার দিকে চেয়ে যে থাকে, একটুখানিও ফেলে না পলক... সে-ও কি তবে ফুল কেবলই? এবার নাহয় ফিরে এসেছি জবার বেশেই! সারাদিনের কাজের শেষে বাড়ি ফিরে ফ্যানের হাওয়ায় যখন তোমার বাহুসন্ধির মাতাল মাতাল ঘামটা শুকোও, সেখানেও খোঁজো, জবাফুলের গন্ধ পাবে! চমকে গেলে? তোমার পুরো শরীরে লেপটে-থাকা রংহীন সব বিন্দু বিন্দু ঘামের মাঝেও… এক আমারই তো রং! ওরাও কি বলো ভুল সাক্ষী? ওই যে বসে ছিলে ঠায় তেরোটা দিনই, লিখতে পারোনি, মাথা খুঁড়েও আসেনি কিছুই! হঠাৎ করেই, তিনটে বেজে তেরো মিনিটে, গতরাতে, তোমার কলম ফুঁড়ে কবিতা ঝরল জাদুর মতন, প্রতিবাদের ঝড় উঠিয়ে… তুমি এখনও যার নাম দাওনি, সেই কবিতার নামটা দিয়ো আমার নামেই! তোমার লেখা না-লেখা সব কবিতাই একেকটা যে আমারই শরীর!