ভাবনার বনসাই: ষোলো

১. কোন জন্মের পুণ্যে তোমায় দেখলাম,
জানি না।
কোন জন্মের পাপে তুমি অন্যের,
তা-ও জানি না।


২. মন দিলাম, শরীর চাইলে।
শরীর দিলাম, পালিয়ে গেলে!


৩. যার যতটা ভাব,
তার ততটা লাভ।


৪. বলো, আমি কী পান করলে
তোমার দুঃখ যাবে?
বিষ? না কি শরাব?


৫. আমায় এমন হাসতে না দেখলে
আমার কষ্টটা অনুমান করতে কী করে!


৬. যদি ডাকাতিই করতে পারো,
তবে কেন চুরি করতে এলে?
জানো না, ওরা কেবল ডাকাতকেই সমীহ করে!


৭. তোমার একাকিত্বের ভাগ কে নেবে এক আমি বাদে?
নেয়ও যদি, পাশে থাকবে সে-ও কি এতটা কেঁদে?


৮. জীবনটা কষ্টের, সময়টা যন্ত্রণার, পরিবেশটাও বাজে!
…ভাবছি, তুমি ফিরে আসার আগ পর্যন্ত
আর কাদের ঘাড়ে দোষ চাপানো যায়!


৯. তুমি যা বলতে,
তার সবই মিথ্যে ছিল,
ঠিক তোমারই মতন!


১০. কামনায় ক্ষত খুঁজো না,
হাতে সময় থাকলে
সেখানে আমায় খুঁজো!


১১. তোমার কষ্ট কমাই,
নিজের কষ্ট বাড়িয়ে।


১২. আর কত অভিশাপ দেবে?
আর কত দোয়া নেবে?


১৩. যখনই তোমার জন্য দু-হাত তুলি,
তখনই দু-চোখ থেকে রক্ত ঝরে!


১৪. কী চেয়েছিলে, ভুলেই গেছ!
একেও তুমি চাওয়া বলো!


১৫. তুমি আমার ভাগ্যে নেই;
তুমি আমার মধ্যেই আছ!


১৬. যদি একটু সময় দিতে,
অদৃষ্টকেও বদলে ফেলতাম!


সময় মানো না,
অথচ অদৃষ্ট মানো!


১৭. স্বপ্ন দেখলাম দু-জন মিলে।
আর দুঃস্বপ্নের বেলায় কিনা আমি একা!


১৮. যাবার সময় বলে গিয়েছিলে,
‘তুমি যতটা প্রেমিক, ততোধিক পাগল।
পাগলের সঙ্গে প্রেম করা যায়, ঘর নয়!’


১৯. ওদের সুখের কথা ভেবে
ওদের আলাদা করলে তো!
এবার তুমিই বাঁচো, ওরা মরুক!


২০. ভুলে যাবার কথা বলে
স্মৃতি দিয়ে পালিয়ে গেলে!