ভাবনার বনসাই: পঁচাত্তর

১. সেই চারটি পাহাড়ের মাঝে
সেই দুপুরে
নড়ছিল কেবলই...
নাম-না-জানা হলদে পাখিটার পালকগুলি।


২. পাখিটা উড়ে গেল।
পেছনে ফেলে গেল
শুধুই কিছু অর্ধবৃত্তাকার স্মৃতি।


৩. গোধূলিতে
উত্তাপের ঢেউ
প্রতিদিনই হয় অস্তমিত।


৪. সারারাত বৃষ্টিশেষে
একাকী ভোরে
এ কী স্বচ্ছ আকাশ!


৫. চোখের পলকও
মাথা নোয়ায়
প্রজাপতির নাচে।


৬. লন্ঠনের লাল লাল আলোয়
গোরস্থানের মুখেও হাসি!


৭. শীতের মিহি হাওয়ায়
মনের দুঃখ বাড়ে।


৮. নদীর শান্ত-শীতল মুখ
আমায় ডেকে বলল,
একটা চুমু খাবে?


৯. তুষারকন্যা গলে গলে পড়ে
সূর্যের রাগী রাগী বুকে!


১০. বনের মধ্য দিয়ে
হাঁটতে হাঁটতে
গাছের সারি সাজাই।


১১. মাকড়সার জাল,
পুরনো স্মৃতি,
নতুন দ্বিধা।


১২. কিছু শুকনো পাতা
ঝরে পড়ে
পায়ের ঠিক সামনেই
মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে যেতে।


১৩. আকাশের চাঁদ দেখিয়ে
গরিব মা ছেলেকে বলে,
দেখিস, একদিন ওই চাঁদ ছুঁবি!


১৪. সিনেমা থেকে
ভূত বেরিয়ে এসে
সিনেমা বানায়।


১৫. জলের বালতিতে
মরা টিকটিকি ভাসে
উলটো হয়ে,
মুখ লুকিয়ে।


১৬. বরফে ঘুসি মারলে
বরফ গলে না,
হাত ভাঙে শুধু।


১৭. শূন্য খেলার মাঠ।
সেখানে দুইটি চড়ুই খেলে।


১৮. রাত নামে।
দুপুরের ওড়না
চাঁদকে ডাকে।


১৯. জুতোর তলায়
ময়লা নেই।
বৃষ্টিতে হেঁটেছি।


২০. ওষুধের বাক্সে
বৃদ্ধ মাছিটা
ওষুধের অভাবে
মারা গেছে।