ভাবনার বনসাই: তেরো

১. বীর্য অপবিত্র হলে, আমরা সকলেই কি অপবিত্র নই?


২. আমি কেঁদে ফেললে তুমি ভেসে যাবে। আমাকে বরং ভালোবাসি বলেই হাসাও।


৩. সারাজীবন পাপ করেও তোমাকে পাবার লোভে স্বর্গে যাবার প্রার্থনা করি।


৪. যার অবহেলা আমি যত্ন করে তুলে রেখেছি, আমার সেই মানুষটিকে তুমি ভালোবাসতে পারলে না?


৫. তুমি তোমার পয়সাকড়ি নিয়ে দূরে কোথাও চলে যাও…
…গুনতে সুবিধে হবে!


৬. অবহেলা একটি শিল্প,
অবহেলাকারী একজন শিল্পী,
অবহেলিত হওয়া একটি অভ্যাস, আসক্তি, মৃত্যু।


৭. এই যে আমি হাসতে হাসতে সফলতার গল্প বলি,
কেউ কি জানে, তোমায় হারানোর ব্যর্থতা যে লুকিয়ে চলি?


৮. তুমি আমায় ধরতে পারোনি, আমিও পারিনি তোমায় ছুঁতে,
কাজল দিয়ে চোখ লুকিয়ে ফেলো, এতটাই তুমি খুঁতখুঁতে!?


৯. - তুমি কি আমায় ভালোবাসো না তবে আর?
- আমি যে ওদের মতন বলতে পারি না বার বার!


১০. প্রেমে নিঃস্বার্থ বলে তো কিছু নাই,
যা দিয়েই শুরু করো, শেষে সেই কামনাই!


১১. ঘুমিয়ে পড়লে?
অথচ তুমিই কিনা একসময় গল্প শুনতে চাইতে!


১২. আমার চোখের নিচের কালিকে যার কাজলের থেকেও সুন্দর মনে হয়নি, আমার জন্য সে দু-লাইন শায়েরি কোথা থেকে লিখবে!?


১৩. যে আমার সময়ের দাম দিতে পারেনি, তার অসময়ে সে আমাকে কোথায় পাবে!?


১৪. যেখানে বসে শায়ের কবিতা বুনত, সেই জায়গার থইথই-করা জলকে শেষ অব্ধি তোমরা কিনা নাম দিলে বিল!?


১৫. আমি মন বেচে দিলে কিনতে পারবে, এমন একজন বড়োলোক দেখাও দেখি!


১৬. তোমাকে দেখার লোভ আমায় ছাড়েনি,
ছেড়ে গেলে যেদিন, সেদিন থেকে বয়সটাও আর বাড়েনি।


১৭. - শায়ের, একজন আপনাকে দেখতে অনেক দূর থেকে এসেছেন।
- আমি যাব না।
- কেন?
- যার কথা কল্পনা করে আমি বহুদিন লিখে গেছি, সে কিনা এল এতদিনে!?


১৮. আমাকে আর স্বপ্ন দেখতে বোলো না, আমি এতটাই পরিশ্রম করেছি যে, এখন যা নিয়েই স্বপ্ন দেখি, সবই সত্যি হয়ে যায়!


১৯. আমি উড়তে শিখেছি যেদিন থেকে, সেদিন থেকেই একদল লোক বলা শুরু করল, আমি নাকি অহংকারী!


২০. বলো, কার বিচার করব আমি?
যখন দু-পক্ষের যুক্তিই সমান দামি!