ভাবনার বনসাই: চৌদ্দ

১. দুনিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলাম,
হৃদয়ের দিকেই তাকানোই ভালো!


হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে দেখলাম,
দুনিয়ার দিকে তাকালেই ভালো!


এ জীবনে আমার আর
দুনিয়াও দেখা হলো না,
হৃদয়ও দেখা হলো না!


২. তারই প্রদীপের আলোয় বসে
কবিতা লিখি,
যে কিনা কেবল চাঁদের সঙ্গেই
মিতালি পাতে!


৩. এর চেয়েও খারাপ সময় আসবে নাকি?
জীবনকে আর কত বার বদলানো যায়, বলো!


৪. নিজের ছায়া থেকে পালিয়ে বাঁচতে
দিলাম জলে ঝাঁপ!
হঠাৎ মনে পড়ল,
সাঁতারই তো জানি না!


৫. আজ আবারও ভাবছি,
নিজের চেহারার কোন ছবিটা
কাল দেখব!


৬. আমি তোমার চোখের সঙ্গে
গল্প করতে চেয়েছিলাম,
আর তুমি কিনা তোমাকে এনে
হাজির করলে!


৭. যে তোমায় ভালোবাসেইনি,
তার কাছে নিজেকে
আর কত বোঝাবে!


৮. যে নদীতে আজ সুখে ভাসছি,
একদিন এই নদীই আবার
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে না তো!?


৯. আমার কান্না শুনতে চেয়ো না।
অতটা কষ্ট তুমি নিতে পারবে না!


১০. এক আমাকে কষ্ট দেওয়া বাদে
তোমার আর কী কী প্রতিভা আছে,
দেখাও তো দেখি!


১১. অনলাইনে দেখলেই নক দিয়ে দাও!
অনলাইনে আমিও তো তোমায় দেখি!


১২. যতটা বুঝি,
তাকে ভালো তো বাসি না!
তবু আর কারও সঙ্গেই
তাকে মিশতে দিই না কেন!


১৩. একাকিত্বের গায়ে পোশাক পরালাম।
আর নিজেই নগ্ন হয়ে
ঘুমিয়ে পড়লাম!


১৪. শুধু ভালোবাসাই চাইলাম,
আর তুমি কিনা আমার কাজের
স্বীকৃতি দিয়েই চলেছ!


১৫. স্বর নামিয়ে কথা বলো,
নইলে আমি ভালোবাসা শুনতে পাই না।


১৬. ঘুমটাও তোমার,
সুখটাও তোমার,
রাতটাও তোমার।
কাঁধটাই কেবল আমার!


১৭. আমি তো ধরা দিই,
কেবলই তোমাকে বন্দি রাখার জন্য!


১৮. ফিরে যেতে বলছ?
যৌবনটাও সঙ্গে ফেরত দাও!


১৯. তোমাকে পাওয়া ভাগ্যে ছিল না;
তাই তো ভাগ্যটা এমন বদলে গেল!


২০. যারা আমায় দেখেছে অনেক দিন ধরে,
তারা আমার লাশের দিকে তাকিয়ে বলেছিল,
রোগী এখন ভালো আছে!