ভাবনার বনসাই: তেত্রিশ

১. তোমার নাম যত বার নিই,
তত বার খোদার নাম নিলেও
তিনি আমায় এত কষ্টে রাখতেন না!


২. লোকে শুধুই ভালোবাসা চায়, ভালোবাসতে চায়;
কই, হৃদয় তো কাউকে বুঝতে দেখি না!


৩. ভালোই তো ছিলাম, আনন্দে আর ফুর্তিতে!
হঠাৎ মনে এল, তুমি এখন কেমন আছ!
আর অমনিই তীব্র এক পাপবোধে কাঁদতে শুরু করলাম!


৪. বন্ধুদের ভুলে থাকার হাজারো কারণ আছে!
তবু সেই বন্ধুকে কীভাবে ভুলে থাকি,
যে কিনা হাজারো কারণ থাকা সত্ত্বেও
কখনওই আমাকে ভুলে থাকে না!?


৫. আমার সঙ্গে কথাটুকু বলতেও ভুলে যেয়ো না!
নইলে একদিন, হাজারো চেষ্টা করলেও
আর কথাই বলতে পারবে না।


৬. আমার শরীরটা ভালো যাচ্ছে না।
আমি ছবি হয়ে যাবার আগেই
আমার সামনে এসে কপটঅশ্রুটা দেখিয়ে যাও!


৭. সত্যি বলছি, এতটা অসুস্থ আমি ছিলাম না!
লোকে আমায় তোমার কুশল জিজ্ঞেস করে করেই
এমন অসুস্থ বানিয়ে দিয়েছে।


৮. ডাক্তারের পায়ে ধরে বললাম, স্যার, আমাকে সারিয়ে দিন!
তিনি হেসে বললেন, সেরে যদি ওঠো, তখন বেঁচে থেকেই আর কী হবে!?


৯. আমার জন্য দোয়া করেও-বা কী লাভ!
আমার খুনির মা’ও খুব ধার্মিক, শুনেছি!


১০. তোমায় দেখলাম, আর অমনিই
আমার মধ্য থেকে কী যেন হারিয়ে গেল!
তুমি এ বুকে হাত রাখলে, আর অমনিই
বুকের খাঁচা ছেড়ে হৃদয়টাই উড়ে পালাল!


১১. দেখো, একদিন ভরা ম্যহফিলে
ওরাই আমাদের কথা বলে বলে কুর্নিশ করবে,
যারা আজ আমাদের মেরে ফেলল!


১২. সাঁতারটা এবার শিখতেই হবে!
প্রতিদিনই যেভাবে তোমাকে চোখের জলে ডোবাই,
একদিন সত্যিই ডুবে গেলে বাঁচাবে তখন কে?


১৩. জীবন যাদের কখনও কিছুই দেবে না,
তাদেরও কেন প্রেমে ফেলে দেয়?
রিক্তহাতে অত বড়ো বিত্ত কে সামলাতে পারে!


১৪. এই যে নিজের জীবনের গল্প সবাইকে বলে বেড়াচ্ছ,
এসব গল্প কীভাবে তৈরি হতো, যদি সেদিন ফিরিয়ে না দিতাম?
তাহলে আমার নামটা সব গল্প থেকেই এমন মুছে ফেলছ কেন?


১৫. কেন আজ এত কৈফিয়ত চাইছ?
চোখ পড়তে এখন আর পারো না বুঝি?
না কি নিজের চোখটাই আজ বদলে ফেলেছ?


১৬. তার কথামতো চলতে গিয়ে
সেদিন ভুল পথটাই বেছে নিয়েছিলে।
তবে তোমার সেই সিদ্ধান্তের দাম কেন আমাদেরই মেটাতে হচ্ছে?


১৭. এ জীবনে যা-ই চেয়েছি,
তা-ই শেষমেশ ভেঙে গেছে!
আজ আর তাই ভয়েই কিছু চাই না,
মনে মনে নিজেই ভাঙতে থাকি!


১৮. তোমায় পাবার লোভে
আজ আমার সবই লুট হয়ে গেল!
আমায় নেবার ফাঁদে
আজ তোমার সবই ঝুট হয়ে গেল!


১৯. আমার সারারাত্রির ঘুম ছাড়লাম যার জন্য,
আজ সে-ই কিনা দিন-রাত্রি কবরে ঘুমিয়ে থাকে!
মানুষ এতটা স্বার্থপরও হয়!


২০. কখনওই আমার দুঃখ জানতে চেয়ো না!
তুমি আমার এমন কে, যে তোমার জন্য
এ দু-ঠোঁটে দুঃখ এনে হৃদয় পোড়াব!?