ভাবনার বনসাই: পঁয়ত্রিশ

১. যা আমি বাকি জীবনে কখনওই পাবো না,
বাকি জীবনটা কাটানোর জন্য এক তা বাদে আর কিছুই নেই আমার!


২. যাদের সঙ্গে আমাকে থাকতে হয়,
তাদের কাছ থেকেই এমন লুকিয়ে বেড়াতে হয়!
তোমরাই বলো, এমন অসহায় চোর আর কোথায় দেখেছ?


৩. যে কিনা শাস্তি পাবে জেনেই তোমার কাছে এসেছে,
তাকেই তুমি পুরস্কারের ভয় দেখাচ্ছ!?


৪. ওরা আমায় জিজ্ঞেস করে,
তোমার এত দুঃখ কীসের?
বোকার দল! দুঃখটাকে চিনতে পারলে কি আমি নিজেই ওকে থাকতে দিতাম!


৫. বাঁচতে তোমাকে আমার প্রয়োজন ছিল না,
তুমিই প্রয়োজনটা অনুভব করালে।
আজ সেই তুমিই কিনা বলছ, আমাকে তোমার প্রয়োজন নেই!


৬. কী এক চোরের প্রেমে পড়লাম,
নিজের বলতে আজ আমার আর কিছুই নেই!


৭. হে ঈশ্বর! মাঝে মাঝে সুখবরও দিয়ো!
নইলে বুঝব কী করে, তুমি যে আদৌ আছ!


৮. তুমি আমার ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন তুলছ?
বৃদ্ধ বয়সে, যখন সবাই তোমায় ফিরিয়ে দেবে,
উত্তরটা তখনই নাহয় জেনো!


৯. আমি মাত্র দুইটি সময়ে তোমার সময় চাই।
যখন তুমি সময় দাও,
আর যখন তুমি সময় দাও না।


১০. তুমি কর্মফলে বিশ্বাস করো না?
এই যে আমায় পেয়েও হারিয়ে ফেললে,
এটা তবে কী!?


১১. তুমি ইদানীং এত হাসো কেন?
অত কীসের দুঃখ তোমার?


১২. আজ আমি নিজের স্বার্থেই কাঁদি।
কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়েই তো ঘুমিয়ে পড়ি,
নইলে ঘুমটা আসত কী করে!


১৩. যা ভেঙেছে, তা ভেঙেছেই!
ভাঙা সেতুটা জোড়া লাগাতে আর এসো না।
কেন ফিরতে চাইছ?
তোমার যাবার জায়গা তো এখনও ফুরিয়ে যায়নি!


১৪. কে?...কড়া নাড়ছ কে?
চলে যাও!
একজন মৃত মানুষকে হত্যা করে অত মজা পাবে না!


১৫. তোমায় পাইনি বলেই তো
শায়েরিতেই এমন কাছে রাখি!
পেলে কি রাখা যেত এতটা!?


১৬. জীবনে এত কিছু করতে হয়, জানতাম না তো!
জীবনটা এমন বড়ো, জানতাম না তো!
তুমি চলে গেলে, আর এখন এসব কী জানতে হচ্ছে!


১৭. না না, আমি রেগে যাইনি!
রেগে গেলে তো সহ্য করতে পারতাম!
যে এমন অভিনয় করতে পারে,
কী লাভ তাকে ধরে রেখে!
যাকে রাখবই না, তার উপর রাগব কেন!


১৮. চলো, আমরা দু-জন আলাদা হয়ে যাই!
অন্তত তখন যদি ভালোবাসাটা একটু বাড়ে আর কি!


১৯. তোমায় ভালোবাসা ভুল ছিল, বুঝিনি।
তোমার ভালোবাসা ভুল ছিল, বুঝিনি!


২০. তুমি আমায় বেকার ভিখিরি ডাকলে!
এক বার, শুধু এক বার
অন্য মানুষ হয়ে সামনে এলে দেখতে,
আমি সেই ব্যস্ত রাজা,
তোমার মতন মানুষের শিরশ্ছেদ করার সময়টুকুও যার হাতে নেই!