ভাবনার বনসাই: এক-শো

১. কেউ বিয়ে উপলক্ষ্যে
নাচে।
কেউবা নাচা উপলক্ষ্যে
বিয়ে করে।


২. যে সময়ে বিরতি নেই,
যে হাতে ঘড়ি নেই,
যে পায়ে শেকল নেই,
যে খাঁচায় কেউ নেই...


৩. আবারও দেখলাম, ভালো করে।
আমি কি ফাঁদে আটকে গিয়েছিলাম?
না কি মুক্ত হওয়াকেই ফাঁদ ভেবেছিলাম?


৪. রাত লুকোয়,
যখন অস্তায়মান সূর্যটা
পার্কে-রাস্তায়
আলো জ্বেলে দেয়।


৫. অন্ধকার নামলে
পাখিরা নীড়ে ফেরে।
ফেরে না যে দু-একটা,
ওদের আমরা আলাদা করে চিনি।


৬. ঝিঁঝিঁরা ডাকে,
ফুলের গায়ে গায়ে
ওদের প্রতিধ্বনিতে
যুগলেরা হয় সুবাসিত।


৭. শান্তি দেয় না যা,
তা কিছুতেই ভালোবাসা নয়;
বরং ভালোবাসার ছদ্মবেশে
অন্য কিছু।


৮. ওরা
পরস্পরকে নিয়ে নয়,
ওদের সন্তানকে নিয়ে
থাকে।


৯. তোমার আবেগ,
আমার চাহিদা---
আমাদের দূরত্ব।


১০. রাতের জোনাকি,
অন্ধকারের মধ্যবিরতি।


১১. তারাদের দূরবর্তিতার দিকে তাকিয়ে
রাস্তার আলো ভেবে ভুল করি।


১২. ছায়ার শরীরে
চুম্বনের তৃষ্ণা
আঁধার ভাঙে,
নৈঃশব্দ্য ভাঙে।


১৩. পূর্ণচাঁদ শুধুই
শিল্পীর পথে পথে
হাঁটে।


১৪. কবি বৃদ্ধ হলেও
কবির চাঁদটা
তরুণই থেকে যায়।


১৫. ফিরিয়ে দিয়েছিলাম এই আশায়...
তুমি নিশ্চয়ই ফিরতে চাইবে!
তোমার না-ফেরা দেখে বুঝেছি,
ফিরিয়ে দিয়ে ভালোই করেছি।


১৬. মন্দির---
মন যেখানে স্থির হয়।


১৭. এই ঘরে...
ভরদুপুরেও চাঁদের আলো,
যখন তুমি পাশে।


১৮. মেঘে মেঘেও
লুকোনো সূর্য,
চিনতে যদি পারো।


১৯. পাহাড়ের কোলঘেঁষে
দু-জনের ছোট্ট ঘর।
সেই ঘরের বাইরে-ভেতরে
ঝর্নার অবিশ্রান্ত ক্ষরণ।


২০. চাঁদের দিকে তাকিয়ে,
প্রতি বারই,
তোমাকে ভুলে যাবার চেষ্টা করি।