ভাবনার বনসাই: এক-শো বাইশ


১. নতুন চাঁদ---
ছাই ফুঁড়ে ওঠা
মৃত আগুনের ধোঁয়া...

২. রাখালের ডাকে
গরুর পাল
দিগন্ত থেকে ভূমিতে!

৩. বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটাই
একেকটি পূর্ণ চাঁদ!

৪. হ্রদের ওপারে সূর্যোদয় দেখে
হাঁসের ছানাটি
স্রোতের দিকে ছোটে।

৫. ঝিরিঝিরি নিশিবিন্দুতে
নতুন শিশুর প্রতীক্ষায়
পুরো গ্রামের নেই ঘুম।

৬. গোলাপ ফুটছে!
আর কত শান্তভাবে
আমরা দূরে সরে আছি...
যেন হয়নি কিছুই!

৭. বসন্ত এলে
আমাদের থোকা থোকা দুঃখ
কোথায় যেন উবে উবে যায়...

৮. যখন সন্ধের চাঁদে
চড়ুইয়ের দল ছোটে,
তখনই শুরু...ব্যস্ততার।

৯. রাত্রির আভা!
পাহাড়ের উপরে কুঁড়েঘর!
সেখানে একেকটি তারা খসে!

১০. হ্রদের গায়ে গায়ে
হাওয়ার কুঞ্চিত মুখশ্রীর
বয়েসি মানচিত্র।

১১. রাস্তার শিশুটির আতশবাজিতেই
শেষমেশ শুরু...উৎসবের!

১২. হেমন্তের হাওয়ায়
মায়ের বুড়ো হাড়ে হাড়ে
শীতের পূর্বাভাস।

১৩. শীতের রাতে...
এক সিগারেটই
দেয় পাহারা।

১৪. সূর্যকে উঠতে দেখে
সূর্যমুখীদের প্রতিটি অন্ধকার শির
হয় উন্নত...একে একে!

১৫. গোলাপের পাপড়িতে পাপড়িতে
বৃষ্টির ফোঁটা
পাপড়িকেই ধরে মেলে...

১৬. কৃষ্ণচূড়ার অশ্রুতে
আকাশ এতটাই গলে...
যেন এক স্বচ্ছ আয়না!

১৭. মধ্যরাতের চাঁদের আলোয়
শূন্য বেলাভূমির পরতে পরতে
বিগত পাপের স্পষ্ট চিহ্ন!

১৮. ক্ষয়ে-যাওয়া চাঁদের ঘায়ে
অরণ্য ছেড়ে
পালায় হরিণেরাও!

১৯. পথিকের ছায়া
মাড়ায়ও যদি ঝড়,
তবুও পথিক হাঁটে অবিচল...

২০. ঘরের জানালার ভাঙা কাচে
পূর্ণ চাঁদটিও কাঁদে
অর্ধেক শরীরে!