ভাবনার বনসাই: এক-শো তেরো

১. একাকিত্বের সময়ে
শূন্যতার চাইতেও
বেশি কষ্ট দেয়
পূর্ণতার রোমন্থন।


২. পাপড়িগুলি পিষতে পিষতে
তার মনে পড়ল,
একদিন সে-ও এমন সুন্দর ছিল।


৩. ভূতুড়ে শহর।
দু-একটা কুকুর এদিকে ওদিকে।
বাতাসে বারুদের ঘ্রাণ।
এখানে আকাশ ধূসর।


৪. বৃষ্টি দেখেই
ঠিক বুঝেছিলাম,
তুমি আসবে!


৫. সন্ধের ক্যাফেতে
একটু দূরে
কফির ধোঁয়ায়
আগুন ছিল।


৬. রাত নামলে
সে আসে ঘরে।
আর আমি
একাকী কাঁদি।


৭. গোলাপের পাপড়ি
হলো বন্দি
তোমার ঊরুযুগলের
সন্ধিতে...!


৮. মদ খেয়েও তত
হই না মাতাল,
হই যতটা
তোমার চোখে চেয়ে!


৯. তোমার সব জাদুই
এ দু-চোখে মিশে আছে।
আজ তাই আর
দেখি না চোখে।


১০. ক্ষতটা অনেক গভীরে...
তাকিয়ো না আর।
এই ভেবে স্বস্তি কুড়োও...
আমি দিব্যি আছি!


১১. নেই-চাঁদ আকাশের দিকে
তাকিয়েও এখন
খুঁজে আর পাই না তোমায়!


১২. ভরদুপুরে...একটি শিশু
খড়িমাটিতে
আমার ছায়ার
ভবিষ্যৎ আঁকে।


১৩. আমাদের দু-জনকে
পাশাপাশি দীর্ঘপথ হাঁটতে হবে...
বিশেষ কোনও গন্তব্যে পৌঁছোতে নয়,
শুধুই একসঙ্গে হাঁটতে।


১৪. ডানার শব্দে---
ঘুম ভেঙে দেখি,
আরেকটা প্রজাপতির
স্বপ্নের বিবর্ণ মৃত্যু।


১৫. নিজের প্রেতাত্মাকে
নিজেই ফেলি গিলে...
প্রেত হতে আত্মাকে সরিয়ে
নিজের কাছে রাখতে।


১৬. খালিপায়ে
নরম ঘাসে
ভাঙাকাচে
রক্তাক্ত পা।


১৭. জীবনের অর্ধেকটাই কাটল
অতীতের দায় মেটাতে।


১৮. সেই পথটা
আজও ধুলোয় ভরা,
যে পথে তুমি
হয়েছ অচেনা।


১৯. এই রৌদ্রেও
চাঁদের আলো!
কেন এ সময়...
সময় না ফুরোতেই!


২০. হৃদয়ের যা হাল,
দেখতে কি চাও?
দেখে নিয়ো তবে
পথের ধুলোতে শুষ্কপাতা।