ভাবনার বনসাই: এক-শো উনত্রিশ

১. মরুভূমি পার হবার সময়ও
গোলাপবাগানের স্বপ্ন দেখি!




২. খুশিভরা হৃদয়েও
মাঝেমধ্যে দুঃখ উঁকি দিয়ে যায়।
তখনই টের পাই এ হৃদয়ের সতীত্ব!




৩. এ কেমন বাগান,
যে বাগানে ভুল করেও
বসন্ত ঢোকে না!




৪. একটুখানি হাসতে চাইবার
স্বপ্নটুকুও কি
ধুয়েমুছে দেয় অশ্রু!




৫. জীবনে সবসময়
আলো জ্বালতে নেই।
কিছু অন্ধকারেই
সব দেখা যায়।




৬. ছিঁড়তে চাও তো পোশাক ছেঁড়ো
...মনটাকে অক্ষত রেখে।




৭. এক দুঃখে বাঁচে
আরেক দুঃখের সান্ত্বনা।




৮. বিশ্বাস এবং অনিশ্চয়তা নেই যেখানে,
সেখানেও বেঁচে থাকার কী মানে!




৯. ভালোবাসার মানুষটি যদি
কখনও কখনও ক্ষমা না করত,
তবে ভালোবাসার মূল্য কি থাকত আদৌ?




১০. বলুক ওরা যা আসে মনে!
নাহয় চুপই থাকি!
ওদের মনের দাম না বাড়াই!




১১. যে দুঃখ সময়ের মেয়ে,
তার সন্তান যে অগণিত!




১২. যার দুঃখ নিঃসন্তান,
তার সুখও নিঃসন্তান।




১৩. আমি এ পৃথিবীকে
বহুবার বন্দি হতে দেখেছি
…একজোড়া চোখের পাতায়।




১৪. তোমাকে পাবার পর
এক শতাব্দীর যাত্রা
ফুরিয়েছে মাত্র একটি মুহূর্তেই!




১৫. সেই গন্তব্যে পৌঁছানো অর্থহীন,
যার যাত্রাপথে নেই কাঁটা ছড়ানো।




১৬. দুঃখকে হাসিমুখে নিতে চাইলে
দরকার…হয় সারল্য, নয় পাগলামি।




১৭. স্মৃতির ভিড়ে হারিয়ে ফেলেছি যাদের,
ওরাও হঠাৎ হঠাৎ ফিরে আসে
একাকিত্বে সঙ্গ দিতে!




১৮. দুঃখহীন হয়ে বাঁচতে পেরেছে কে কবে?
তাহলে যে সবাই এমনভাবে
নিজের দুঃখের গল্প করে...যেন
আর কারুরই কোনও দুঃখ নেই!




১৯. সময় বাঁচাতে
শত্রুদের জন্যও
বিস্মৃতির আলো
জ্বালিয়ে রাখি।




২০. এ কেমন তোমার নীরবতা,
যা কিনা সত্যকেও আড়াল করে!