ভাবনার বনসাই: এক-শো ত্রিশ

১. কেউ বেঁচে থাকে,
কেউবা শুধুই জ্যান্ত!




২. মদ ছেড়ে কী-ইবা লাভ হলো,
যদি এখনও মাতলামিই করে যাও?




৩. সতিকারের মাতাল হতে চাও তো
পান করতে শেখো চোখ দিয়ে,
ঠোঁট দিয়ে নয়!




৪. অমন দৃষ্টি ছুড়ে ছুড়ে কী হয়!
দেখতে চাও তো
খোলস থেকে বেরোও!




৫. যদি নিজের মস্তিষ্কেই
বন্দি হয়ে থাকবে,
তবে কী বুঝে
বন্ধুত্ব করতে এলে?




৬. পথের সাথীরা পালিয়ে গেল!
গন্তব্য বরং আরও সহজ হলো!




৭. দুঃখের ঘায়ে আহত!
সুখের ঘায়ে নিহত!




৮. যে হৃদয় বরফশীতল,
ওতে আগুন জ্বেলো না---
কেবলই হাত পুড়বে!




৯. কেউ পুরো রাতটাই কাটিয়ে দেয় অপেক্ষাতে,
আর কেউবা সেই রাতের অপেক্ষাতেই থাকে।




১০. এ হৃদয় কাঁপতে থাকে এমন কারও যন্ত্রণায়,
যে আমার সঙ্গেই থাকে না কখনও।




১১. কেউ একজন এই পথটা চিনিয়েছিল।
অর্ধেক রাস্তায় পৌঁছে দেখি,
আমি এতদূর হেঁটে এসেছি
অন্য কারও হাত ধরে!




১২. আজকের আমি’টার বীজ বপন করল একজন,
আর ফসল তোলার স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে আরেকজন!




১৩. যে মানুষটা দুঃখ সারাতে পটু,
তার হাতে আমার দুঃখটাও সারবে,
এরকম করে ভাবছ কেন?
সে কি আদৌ জানে, আমার দুঃখ কোথায়?




১৪. জীবনের গল্পগুলি…গতানুগতিক।
পাগলামির মাত্রাগুলিও…গতানুগতিক।




১৫. বিচ্ছেদের পর
রাতের কি ভোরের দুঃখ…
একই।




১৬. বিশ্বস্ততার শহর আজ বিলীন।
বন্ধুত্বের ঘর আজ ধ্বংসস্তূপ।




১৭. একই রকমের মুখ…সব গ্রামেই।
একই রকমের মুখোশ…সব শহরেই।




১৮. এই ঘরটা, এই জায়গাটা, এই মুহূর্তটা…
তোমাকে পেয়ে কেমন বদলে গেল!




১৯. জীবনের ঐশ্বর্যের কী রহস্য,
পরিচিত ঘরটিতেই যে অতিথি
…এক সে-ই জানে।




২০. পুরো পৃথিবীর মানুষের রোগ সারাও,
অথচ যে মানুষটা তোমাকে ভালোবেসে বেসে
আজ অসুস্থ…তার দিকে ফিরেও তাকাচ্ছ না!
তুমি কেমন ডাক্তার হে!?