যেভাবে মাস্টারডেট করি

https://static.xx.fbcdn.net/rsrc.php/v3/y4/r/bfsBGRgHSzE.png

হ্যাঁ, স্বীকার করে নিচ্ছি, আমি প্রচুর masturdate করি; প্রায় প্রায়ই করি, প্রতিদিনই করি। কী করব? করতে হয় যে! উপায় কী? তাই ইচ্ছে হলেই ওটা করে ফেলি, যখনতখন করি, যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে করি। ভীষণ ভাল লাগে ওটা করতে!

তবে এ কথাটি প্রকাশ্যে বলতে আমার বাধে। কেন? লোকে বলবে, ওমা! এটা বলার কী আছে? লজ্জাও করে না এসব বলতে! এত আত্মপ্রেম কেন?………. কী? বিশ্বাস হল না? বিশ্বাস না হলে পাবলিকলি বলেই দেখুন না! দেখবেন, সবাই কী কী সব বলতে শুরু করেছে। আপনার masturdation এর দাম নেই যার কাছে, তার কাছে আপনি কেনই বা এসব নিয়ে বলতে যাবেন, বলুন? তার চাইতে ওটার সুখ থাকুক নিজের কাছেই লুকানো। এই তো ভাল, তাই না?

Masturdation আমার অনেক পুরনো সাথী। অনেকদিন ধরেই করছি এটা। কীভাবে করি ওটা? অনেক টেকনিকে। এই যেমন একা একাই রেস্টুরেন্টে খেতে চলে যাই, একটা টেবিল পছন্দ করে একাই খেতে বসে পড়ি, মেন্যু দেখি, রেস্টুরেন্টে যে স্লো মিউজিকটা চলতে থাকে, ওটাই অনেকসময় ঠিক করে দেয় কোন খাবারটা অর্ডার করব, দামটাও যে মাথায় থাকে না, তা নয়। তবে মানিব্যাগের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে ওসবের আমি থোড়াই কেয়ার করি। একা-একা খাই, আশেপাশের সবাই কেমন করে জানি তাকিয়ে থাকে আমার দিকে, যেন আমি একটা এলিয়েন। ওই তাকানোতে সহানুভূতিও আছে, করুণাও আছে। ওরা কেন অমন করে তাকায় একটু পরপর? আমি একা খেতে বসেছি, সেটা দেখে ওদের মনখারাপ হয় বুঝি? নাকি, অমন করে তাকাতে-তাকাতে ওরা একটা সময়ে বলে ওঠে, “একাই খেতে হচ্ছে! বেচারা লুজার!” হ্যাঁ, এরকমটা একা-একা সিনেমা দেখতে গেলেও হয় কখনও-কখনও, আমি দেখেছি। কিন্তু এরকম কেন হবে? আমি সিঙ্গেল, তাই? আচ্ছা, যারা সিঙ্গেল, তারা সিঙ্গেল কেন? নিজের পছন্দে, কিংবা পরিস্থিতির কারণে। তাই বলে, ওরকম হলে নিজেকে সকল সুখ থেকে সরিয়ে রাখতেই হবে কেন? সিঙ্গেলদের মনখারাপ করে থাকাটাই নিয়ম নাকি? কোথায়, কোন আইনে বলা আছে এটা? তাই, আমি নিজেকে নিজেই ভাল রাখি।

এমনও হয়, সবার সাথেই আছি, কিন্তু কিচ্ছু ভাল লাগছে না। কিংবা, সবাই যা করছে, যা ভাবছে, তা আমার সাথে যাচ্ছে না। তবে কী আর করা! নিজের সুবিধা আর ইচ্ছে মত একটা কোনায় গিয়ে লুকিয়ে-লুকিয়ে নিজের মনেই শুরু করে দেই masturdating! একটা টেবিলে বসে-বসে জুসে চুমুক দিতে থাকি, যা ভাবতে ভাল লাগে ওই মুহূর্তে, তা-ই ভাবতে থাকি, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে-তাকিয়ে রাস্তায় কী হচ্ছে, কে কী করছে, বাইরের হাওয়াটা কেমন, এসব দেখি, কিংবা আমার চারপাশে রেস্টুরেন্টের লোকজনের মজার-মজার কাজগুলি দেখতে থাকি। ওরা আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, মজা পায়। আমিও ওদের দিকে তাকিয়ে থাকি, মজা পাই। মজায় মজা!

যারা সিঙ্গেল, শুধু তারাই যে masturdate করে, তা কিন্তু নয়। আমি অনেককেই দেখেছি, যাদের প্রিয় মানুষটি ব্যস্ততার কারণেই হোক, কিংবা অন্য কোনও কারণেই হোক, যে সময়ে ওর দরকার ঠিক সে সময়ে ওকে সময় দিতে পারছে না। তো, কী আর করা! Masturdate তো করতেই হয়, না? এটা হতে পারে যেকোনও সময়েই, দিনেও, রাতেও। হায়, এমনও দেখেছি, কোনও কাপল একসাথে সময় কাটাচ্ছে, অথচ ওই সময়ে দুইজনেরই খেয়াল দুইটি ভিন্ন দিকে। দুইজন মানুষ পাশাপাশি বসে দুইটি ভিন্ন জগতে চলে গেছে। যার যেটা করতে ওই মুহূর্তে ভাল লাগছে, সে সেটা নিয়েই আছে। ছেলেটা ফোনে কথা বলছে, মেয়েটা হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শুনছে। আবার ধরুন, স্বামী সারাটা দিন অফিসের কাজে ব্যস্ত, রাতে বাসায় ফিরেই চটজলদি ঘুমিয়ে পড়েন। স্ত্রীকে সময় দেয়ার সময়, কিংবা ইচ্ছে নেই। স্ত্রী কী করবে তবে? নিজের মত করে ভাল থাকার বুদ্ধি বের করে নেবে। গান শুনবে, মুভি দেখবে, বই পড়বে, ফোনে গল্প করবে, শপিংয়ে যাবে, টিভিতে সিরিয়াল দেখবে, ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করবে। এইতো! আমি এতে খারাপ কিছু দেখি না। যে যার মত করে ওই মুহূর্তের জন্য ভাল আছে। ছেলেরা masturdate করতে পারলে, মেয়েরা পারবে না কেন? Masturdation একটি সর্বজনীন ব্যাপার। সবাই ওটা করুক, ভাল থাকুক।

আমি কীভাবে masturdate করি? অনেক উপায়েই। যেভাবে করে করতে ভাল লাগে। এই মুহূর্তে মনে আসছে, এমন কয়েকটি টেকনিকের কথা বলছি:

এক। সিনেমা দেখতে গেছেন? এমন কোথাও বসবেন না, যেখানে বসলে আপনাকে কোনও কাপলের প্রেম কিংবা প্রেমালাপ ‘সহ্য’ করতে হবে। এতে অবচেতন মনেই আপনার মেজাজখারাপ হবে, সিনেমাটা যতই ভাল হোক না কেন, আপনার একটুও ভাল লাগবে না। কী দরকার? মাঝখানের দর্শকসারিতেই বসুন না! ওখানে কাপলরা কম বসে। ওরা বসে কোণায়, চিপায়। আপনি ওখানে বসলে আপনার masturdate করতে অসুবিধে হবে।

দুই। কোন খাবারটি কোন রেস্টুরেন্টে ভাল রান্না করে, খোঁজ নিন। বন্ধুদের জিজ্ঞেস করুন, নেটে সার্চ করুন। এরপর সেখানে সে খাবারটি খেতে যান। দেখতে ভাল, পরিবেশ অভিজাত, এমন দামি রেস্টুরেন্টে গিয়ে কিছু সময় কাটিয়ে এসে দেখুনতো কেমন লাগে! প্রয়োজনে স্রেফ এক কাপ কফিই না হয় অনেক সময় ধরে আয়েশ করে খেলেন! খাওয়ার সময় চারিদিকে তাকিয়ে-তাকিয়ে দেখুন, রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়রে মুগ্ধ হোন। একটা সেলফি তুলে ফেসবুকে চেকইন দিন। ওয়েটাররা কে কী করে দেখুন, ওরা নিজেদের মধ্যে অনেক কিছু নিয়েই খুনসুটিতে মেতে ওঠে। দেখুন, ভাল লাগবে। কফিতে চুমুক দিতে দিতে মেসেঞ্জারে চ্যাটিংও করতে পারেন! জানালার পাশের টেবিলটিতে বসবেন নাকি? বাইরের দৃশ্য প্রায়ই মন ভাল করে দেয়।

তিন। আপনার সবচাইতে সুন্দর পোশাকটিকে সবচাইতে সুন্দর দিনটাতে পরার জন্য ফেলে রেখেছেন কেন? ধরেই নিন, আজকেই সেই সুন্দরতম দিনটি। প্যাকেট খুলুন, ভাঁজ ভাঙুন, পরে ফেলুন। দেখবেন, দারুণ একটা অনুভূতি হচ্ছে! সুন্দর পোশাক অনেকসময়ই মনটাকে সুন্দর করে দেয়। আপনি পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর পোশাকটি পরার মতই সুন্দর। বিশ্বাস করুন, ওটা আপনাকে সত্যিই মানাবে। পোশাক গায়ে মানায় না যতটা না বাইরের সৌন্দর্যের অভাবে, তার চাইতে ঢের বেশি ভেতরের সৌন্দর্যের অভাবে।

চার। আপনার আশেপাশে কোনও কাপলকে প্রেম করতে দেখছেন? দোহাই লাগে, ওদেরকে বিরক্ত করবেন না। এটা অত্যন্ত নিচু মানসিকতার পরিচায়ক। ওদেরকে ওদের মতই থাকতে দিন। ওদের সাথে চোখাচোখি হলে মিষ্টি করে হাসুন। দেখবেন, একটা ফিরতি হাসি রিপ্লাই পেয়েছেন। আপনার নিজের মনটাই ভাল হয়ে যাবে, ওদের জন্য শুভকামনা করতে ইচ্ছে করবে।

পাঁচ। কোনও পার্টিতে গেলে এক কোণায় নিজেকে লুকিয়ে না রেখে হাসিমুখে সবার সাথে আলাপ করেই দেখুন না কেমন লাগে! হ্যান্ডশেক করার জন্য আপনি নিজ থেকেই হাতটা আগে বাড়িয়ে দিন। সবাই অপেক্ষা করে থাকে এই ভেবে যে, আমি কেন আগে হাতটা বাড়াব? আপনি বাড়িয়েই দেখুন না নিজের প্রতি কেমন একটা আত্মবিশ্বাস জমে ওঠে!

ছয়। ভাল লাগছে না? একটা বই নিয়েই বসে পড়ুন না কেন! বইয়ে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিন। বইয়ের ভেতরে যারা আছে, তাদের সাথে গল্প জুড়ে দিন, ঝগড়া করুন, ভালোবাসুন। বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টানোতেও তো অনন্ত সুখ! ‘পড়া উচিত’ বলে কিছু নেই। আপনার যে বইটা পড়তে ভাল লাগে, আপনি সেটাই পড়বেন। মনে-মনে ভাল থাকুন।

সাত। হার্ডডিস্কে অনেক মুভি জমে আছে না, যেগুলি দেখবো দেখব করেও সময় কিংবা ইচ্ছের অভাবে দেখতে বসা হয়ে ওঠে না? শুরু করে দিন না ওরকম একটা মুভি দেখা! প্রথমদিকে একটু বিরক্ত লাগলেও ঝিম ধরে দেখে যান। সত্যি বলছি, কিছুক্ষণ পর থেকে ভাল লাগবে।

আট। গান ছেড়ে শুনতে থাকুন, যেটি ভাল লাগে, শুনতে ইচ্ছে করে। নাচতে ইচ্ছে করলে রুমের দরোজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে ফুল ভলিয়্যুমে গান ছেড়ে হাত-পা ছুঁড়ে ছুঁড়ে নাচুন। ইন্সট্রুমেন্টালের আশ্চর্য ইন্দ্রজাল মনকে ভাল করে দেয়ার অসীম ক্ষমতা রাখে। একটা প্লেলিস্ট ছেড়ে দিন, নিজেকে সুরের যাদুতে হারিয়ে যেতে দিন।

নয়। আচ্ছা, বাসার সবাই মিলে ঘুরতে গেলে কেমন হয়? ঘুরতে যাওয়ার আগে অনেক সময়ই আলসেমির জন্য বাসা থেকে বের হতেই ইচ্ছে করে না। কিন্তু একটু আড়মোড়া ভেঙে ওরকম ঘুরতে চলে গেলে দেখবেন, আপনার নিজের মনেই কেমন এক ধরনের খুশি-খুশি ভাব কোত্থেকে যেন চলে এসেছে! মাঝেমধ্যেই পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে পিকনিক করুন; বাইরে, কিংবা বাসাতেই!

দশ। মনখারাপ করে বসে আছেন কোন সুখে? শপিংয়ে যাচ্ছেন না কেন, শুনি? নিজেকে কিনে দিন না যা ইচ্ছে, যা আপনার সামর্থ্যের মধ্যে আছে! যা আপনার ভাল লাগে, তা-ই কিনবেন। কে কী বলল, কী বলল না, এতে আপনার কী এসে যায়? কার্পণ্য করে কেউ কোনওদিনও ভাল থাকেনি।

এগারো। দিন না একটা ইয়া লম্বা ঘুম! পৃথিবীতে এর চাইতে সুখের কিছু হয় না। লোকে বলে, নেই কাজ তো খৈ ভাজ! আমি বলি, আরে বাবা, খৈ-ভাজা কি অত সোজা? নেই কাজ, এর উপরে আরেকটা কাজ! কোনও মানে হয়? কী দরকার! নেই কাজ তো দে ঘুম!

বারো। যদি ভাল রাঁধতে পারেন, তবে রেঁধে অন্যদের খাওয়ান। যদি বাজে রাঁধতে পারেন, তবে রেঁধে নিজে খান। কেন নিজে খাবেন? কারণ অন্য কাউকে খাওয়ালে ও যদি খেয়ে বলে, “কী বাজে রান্না রে বাবা! এই রান্নাও তো কুকুরে খাবে না!” তাহলে তো আপনার এরপর থেকে আর রাঁধতেই ইচ্ছে করবে না। Masturdate করার একটা রাস্তাও বন্ধ হয়ে যাবে ওরকম কিছু হলে!

তেরো। যার সাথে কথা বলতে ভাল লাগে, কিংবা যে আপনার ফোনটা পেলে অনেক খুশি হয়ে উঠবে, ওর সাথে ফোনে কথা বলে মনটাকে ভাল করে নিন। ও পাশে না থাকুক, তবুও ওকে সাথে রেখে ওকে আপনার মনটার যত্নআত্তি করতে দিন।

চৌদ্দ। আপনার প্রিয় মানুষের সাথে একটু ঝগড়া করে দেখবেন নাকি, কেমন লাগে? আমি দেখছি, ভাল লাগে কিন্তু! আমার তো প্রায়ই কারও সাথে জমিয়ে ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে। হায়! এ পৃথিবীতে বাঁচতে হলে একজন ঝগড়া করার মানুষও লাগে!

পনেরো। খাটে শুয়ে শুয়ে কার্নিশের দিকে এমনিই তাকিয়ে থাকুন। কোণার টিকটিকিগুলোর ঝগড়া দেখারও দরকার নেই। করুক ওরা যা খুশি! কিছুই করার দরকার নেই, জাস্ট তাকিয়ে থাকুন। মাথাটাকে পুরোপুরি ফাঁকা করে দিন অনেকক্ষণের জন্য। দেখবেন, একটা সময় পরে বেশ ভাল লাগছে।

ষোলো। বাসার ফ্রিজ খুলে একটা ক্যাডবেরি খেয়ে নিলে কী হবে? কিংবা রান্নাঘরে বিস্কিট-চানাচুরের কৌটা খুলে, রান্নাকরা তরকারির ঢাকনা উল্টে, আচারের জারটা খুলে, দুধ-হরলিক্সের তিনটা খুলে, সন্তর্পণে কিছু মুখে চালান করে দিন না! এমনভাবে ওটা করবেন, যেন মনে হতে থাকে, নিজের বাসায়ই চুরি করে খাচ্ছেন! চুরি করে খাওয়া খাবারের টেস্টই আলাদা!

সতেরো। ননসেন্স কিছু ভাবতে ভাল লাগলে ওটাই ভাবুন। আপনাকে সবসময়ই শুধু কাজের কথাই ভাবতে হবে কেন? কে এমন কী দিব্যি দিয়েছে যে শুধু ঠিকঠাকই ভাবতে হবে? উল্টাপাল্টা ভাবুন, মনটাকে মাঝেমধ্যে প্রশ্রয় দিয়েই দেখুন না কেমন লাগে!

আঠারো। কোনও প্ল্যান ছাড়াই আপনি যেখানে থাকেন, সেখানকার আশেপাশে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ুন। কেউ নেই পাশে তো কী হয়েছে? যে রিকশায় চেপে ঘুরতে বেরিয়েছেন, সেটার চালকের সাথেই গল্প করা শুরু করে দিলে কী হয়? একটা বিকেল কাটুক না গন্তব্যহীন ভ্রমণে! ভাল কথা, ঘোরার সময়ে রাস্তার পাশের কৃষ্ণচূড়ার গাছটার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে একটুখানি হেসে নিতে ভুলে যাবেন না যেন আবার!

উনিশ। আমার নিজের অসম্ভব ভালোলাগা একটা masturdating এর টেকনিক হচ্ছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বইয়ের সাগরে সাঁতরে বেড়ানো। আমি কোনও রকমের বিন্দুমাত্রও ক্লান্তি ছাড়া সারাদিন বইয়ের দোকানে-দোকানে ঘুরতে পারি। হোক সেটা নতুন বইয়ের দোকানে, কিংবা পুরনো বইয়ের। এতে আমার কোনওকালেই বিরক্তি আসেনি, একঘেয়েমি লাগেনি। বইয়ের ঘ্রাণ কল্পনাতে অনুভব করলেও আমার মাতাল-মাতাল লাগে! বইকেনা আমার কাছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ masturdaring টেকনিক।

বিশ। অনলাইনে যা দেখতে ইচ্ছে করে গুগলের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে দেখে ফেলুন! দামি-দামি ড্রেস, দামি-দামি ঘড়ি, দামি-দামি ব্যাগ, দামি-দামি জুতো, কেনার সামর্থ্য নেই, কেউ কিনেও দেবে না কোনওদিন, তবুও দেখতে দোষ কী! দেখতে তো আর পয়সা লাগছে না! দেখুন না একটু ঘুরে ভার্চুয়াল জগতটাকে! এমনকি এমনকিছুও যদি হয়, যা দেখতে হবে লুকিয়ে, তবুও!

একুশ। যাদের গাড়ি আছে, একা একাই লংড্রাইভে বেরিয়ে পড়ুন। গাড়ি না থাকলে প্রয়োজনে গাড়ি ভাড়া করে ছুটে চলুন যেদিকে ইচ্ছে সেদিকে! গাড়ি ছুটবে মিউজিকের তোড়ে, সাথে মন ছুটবে অবসরহীন অবসরে!

বাইশ। বাবা-মা, ছোট ভাইবোন, কিংবা পরিবারের প্রিয়জনদের বিভিন্ন গিফট কিনে দিন। সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে যান, খেতে যান। বাসায় প্রতিদিনই রান্না করতে হবে কেন? যে রাঁধে, তাকে রান্না-করা খাবার খাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে নিজে খুশি হয়ে উঠুন!

তেইশ। ওজন বাড়বে, অসুখ বাড়বে, এসব না ভেবে যা মন চায়, তা-ই খেয়ে ফেলুন। অত বাঁধাধরার মধ্যে জীবন কাটিয়ে কী হবে? নিজের খেয়ালমত একটু বেশি খেলে ভুঁড়িটা একটু বেড়ে যাবে? বাড়ুক না একটু! কী হবে? ও আচ্ছা, বুঝেছি। ভুঁড়ি বেড়ে গেলে ও আর পছন্দ করবে না? না করুক গিয়ে! যে আমার ভুঁড়ি সহ্য করতে পারে না, সে আমাকে সহ্য করবে কীভাবে? আমার ভুঁড়িকে ভালোবাসে না যে, আমাকে ভালোবাসার কোনও অধিকারই তার নেই!

চব্বিশ। বিচিত্র রকমের নানান ঢংয়ে, ভঙ্গিতে সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে দিন। সোজাসুজি বলে দেবেন, যার দেখতে বিরক্ত লাগে, সে যেন আপনাকে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে রিমুভ করে দেয়। যে আপনার রংঢং সহ্য করতে পারে না, সে আবার কীসের বন্ধু? আপনি তো নিজে জানেন, এ পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর সেলফিটি আপনিই আপলোড করেছেন। ওই পোস্টের সুন্দর সুন্দর কমেন্টগুলি নীরবে পড়ুন, আর সরবে হাসতে থাকুন। হাহাহা…… হেহেহে……… হিহিহি…………!!!

পঁচিশ। পার্কে যান। সবসময়ই পার্কে গেলেই দৌড়াতে কিংবা জগিং করতেই হবে কেন? এমনিই বেঞ্চির উপরে বসে থাকুন। বাদামওয়ালাকে ডাকুন, মন দিয়ে ওর জীবনদর্শন শুনুন। নিজের হাতে কিছু বাদাম ভেঙে ওকে খেতে দিন। কিংবা, চারপাশের দুনিয়াটা দেখুন কেমন মজার! কিংবা, চোখ বন্ধ করে নীরবে বাদাম চিবাতে থাকুন। আর কিছুই না! বাদামচিবানো masturdating এ কিন্তু ভালই লাগে! করেই দেখুন না কোনও একদিন!

ছাব্বিশ। আচ্ছা, আর্ট গ্যালারিতে ঢুঁ মেরে আসবেন নাকি একবার? কিংবা কোনও সঙ্গীতানুষ্ঠানে? ওই নাটকপাড়ায় কী নাটক চলছে, খোঁজ নিয়ে একাই চলে যান দেখতে! সত্যি বলছি, খুবই ভাল সময় কাটে কিন্তু! দরকার নেই কাউকে সাথে নেয়ার! যে গান অত ভালোবাসে না, তাকে নিয়ে গান শোনা মানে, গানের প্রতি ভালোবাসাটা কিছুটা হলেও ওর মত করে কাস্টমাইজ করে ফেলা! কী দরকার বাপু!!

সাতাশ। আর কিছু না, শুধু ফেসবুকের জন্য লিখুন। আপনার লেখা অমর হয়ে থাকার কোনও দরকারই নেই। আপনি স্রেফ নিজের খুশির জন্য লিখবেন। সেটি পোস্ট করুন। বন্ধুদের সাথে কমেন্ট-কমেন্ট খেলুন। সবাইকেই পচান, নিজেও পচানি খান! ফেসবুকে কেউই ক্লাসিক টেক্সট রচনা করতে আসে না। এখানে যা লেখা হয়, সব রাবিশ! ব্যাপার না! আপনিও রাবিশ লিখুন! লাইক পেলে আর আপনি খুশি হলেই হল। জীবনে বেঁচে থাকতে হলে কিছু লাইক দরকার হয়। যার পোস্টে লাইক নেই, তার জীবনই বৃথা!

আটাশ। আপনার প্রিয় মানুষগুলিকে খ্যাপাতে থাকুন। ওদের পিছনে সারাক্ষণ লেগে থাকুন। ওদেরকে চরম বিরক্ত করে, রাগিয়ে দিয়ে এরপর আবার নিজেই শান্ত করার চেষ্টা করুন। যদি কাজটি ঠিকমত করতে পারেন, অনেক খুশিখুশি লাগবে। প্রিয় মানুষকে খ্যাপানোর মধ্যেই পৃথিবীর সব সুখ নিহিত!

উনত্রিশ। ধ্যান করতে পারেন। নিবিষ্ট মনে বিভিন্নভাবে ইয়গা প্র্যাকটিস করেই দেখুন! ধ্যানে আপনি একেবারে শান্ত-সমাহিত স্তরে ফিরে যাবেন, আর নিজের মনের প্রশান্তিতে ওইসময়ের সকল দুঃখবেদনা ভুলে থাকতে পারবেন। মাঝেমাঝেই অন্য মানুষ হয়ে যেতে চাইলে যেখানে যে অবস্থাতেই আছেন, সেখানে ওই অবস্থাতেই ধ্যান করে দেখতে পারেন। ভাল লাগবে।

ত্রিশ। প্রার্থনা করলে শরীরের ও মনের সব যন্ত্রণা দূর হয়ে যায়। প্রার্থনালয়ে গিয়ে কিংবা ঘরে বসেই আপনি নীরব-স্তব্ধ পরিবেশে স্রষ্টার কাছে মনের যত বেদনা, অন্যের জন্য শুভকামনা, নিজের সকল চাওয়া না-চাওয়া, জীবনের পাওয়া না-পাওয়া, সব কিছুই নিবেদন করুন। উনি আপনাকে যেভাবে রেখেছেন, সেটার জন্য শুকরিয়া আদায় করুন। এটি ম্যাজিকের মতন কাজ করে। আপনি দেখবেন, নিমিষেই সকল প্রকারের চিত্তচাঞ্চল্য দূর হয়ে আপনার ভেতরে-বাইরে চারপাশে এক ধরনের শান্তির বারতা বিরাজ করছে।

একটু ভাবুন তো, আমরা কিন্তু সবাইই কমবেশি কোনও-কোনও ক্ষেত্রে masturdate করতে ভালোবাসি। কীরকম? একেবারেই লেটেস্ট মুভিটা সবার আগে-আগে দেখে ফেলি যাতে অন্যদের কাছে সে মুভির গল্প সবার আগেই করতে পারি। যে ড্রেসটা মার্কেটে মাত্র এল, সেটা সবার আগেই কিনে ফেলি, যাতে অন্যরা দেখে একটু হলেও ঈর্ষাবোধ করে। কারও মনে ঈর্ষা জাগাতে না পারলে বেঁচে থেকে কী লাভ? রেস্টুরেন্টে অনেক দামি মজার একটা খাবার একা একাই খেয়ে ফেলি, যাতে কারও বিলটা আমাকে দিতে না হয়, কিংবা খাবারটা শেয়ার করতে না হয়। একা-একা রাস্তা দিয়ে নিজের মনেই মাঝেমধ্যে হেঁটে বেড়াই। নতুন জুতোজোড়া পরার পর যদি সেটি অন্য কারও সাথে মিলে যায়, তবে ব্যাপারটাতে খুব খুশি হয়ে ওঠে, এমন লোক কয়জনকে পাবেন? আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করে দেখুন তো, masturdate করাটা কি আদৌ কোনও অপরাধবোধের জন্ম দেয়? আপনি যেমন masturdate করেন লুকিয়ে, আপনার মত অন্যরাও ওটা লুকিয়েই করে। করবেই তো। ব্যাপারটা তো নিতান্তই ব্যক্তিগত! করুন যেভাবে খুশি! করে যান, ভাল থাকুন।

জীবনে প্রায়ই এমনকিছু সময় আসে, যখন ‘একলা চলো রে’ নীতিতে চলতে হয়। কফিশপে যাবেন? একটা মুভি দেখতে যাবেন? কোনও একজিবিশনে যাবেন? শপিংয়ে যাবেন? রেস্টুরেন্টে খেতে যাবেন? দূরে কোথাও ঘুরতে যাবেন? বন্ধুদের সাথে নিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে? ওরা সবাই ভীষণ ব্যস্ত? সময় দিতে পারছে না কেউই? কী আর করা! একলাই বের হয়ে পড়ুন! মানুষ মূলত একাই! কিছু সময়ের জন্য কেউ-কেউ পাশে আসে, আবার চলেও যায়। মানুষকে তাই একলা চলতে জানতে হয়। যা করতে মন চাইছে, কাউকে সাথে না পেলে সেটা না করে থাকার কী দরকার? একা একাই করেই দেখুন না! একা একাই ঘুরতে চলে যান, একাই একাই কফিশপে গিয়ে কিছুটা সময় নিজের সাথে কাটিয়ে আসুন, একাই একাই পছন্দ করে কিছু শপিং করে ফেলুন! দেখবেন, জীবনটা একেবারে খারাপ না! কেউ কখন এসে আপনাকে সুখী করে দেবে, সেটার জন্য হাঁ করে বসে থাকবেন না। নিজেই নিজের সুখের সমস্ত দায়দায়িত্ব নিয়ে নিন!

আমি তো একা একাই কনসার্ট দেখতে চলে যাই। তো কী হয়েছে? অনেকেই জিজ্ঞেস করে, তোমার সাথে কে? আমি বলি, আমার সাথে আমি। পরের প্রশ্ন, তোমার কোনও বন্ধু নেই? প্রশ্ন শুনি আর হাসতে থাকি। আরে বাবা! আমি কেন সবসময়ই আরেকজনকে আমাকে ফলো করতে দেবো? আমার বন্ধু আছে, ভাল কথা। তার মানে কি এ-ই যে, আমার ওদেরকে ছাড়া চলবেই না? ধরুন, আপনি দেখতে যাচ্ছেন Casablanca, সাথে করে এমন কাউকে নিয়ে গেলেন, রোম্যান্টিক মুভি দেখলেই যার মেজাজ খারাপ হয়। কী দরকার বাবা? মুভিটা সত্যিই এনজয় করতে চাইলে একাই যান থিয়েটারে। ভাল লাগবে, সময়টা সুন্দর কাটবে। এমনও হয়, কাউকে নিয়ে গেলেন মুভি দেখতে, মুভিটা ওর ভাল লাগল না, আর ও অমনিই শুরু করে দিল মুভির এবং আপনার রুচিবোধের ব্যাবচ্ছেদ করতে! কী দরকার ভাই এত পেইন নেয়ার? আমি যা পছন্দ করি, কিংবা পছন্দ করি না, সেটা নিয়ে কথা বলার অন্যরা কে? অন্যদের সাথে থাকলে প্রায়ই দেখা যায়, ওরা আমার এবং আমার কাজগুলি সম্পর্কে এমন সব মন্তব্য করে বসে, নিজের উপরেই বিরক্তি ধরে যায়। দিনের শেষে আমি তো শুধু আমাকে নিয়েই থাকি। অন্যরা আমার সাথে থাকে না। আমার সব সুখ কিংবা কষ্ট, আমার নিজের। কী দরকার নিজের যন্ত্রণাবৃদ্ধি করতে আরেকজনকে নিজের জীবনে দাওয়াত দিয়ে আনার? ভালই যদি না থাকলাম, তবে কী লাভ সবার সাথে থেকে? অহেতুক নিজের মনের অসন্তোষ বাড়ানোর তো কোনও মানেই হয় না।

রুমে একা থাকলে ইচ্ছে মত পোশাক পরে থাকা যায়। এমনকি কিছু না পরলেও কী হবে? গায়ে কোনও পোশাক নেই, রুমে নিজের মত করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন একা-একা, ঘুমাচ্ছেনও ওই অবস্থায়। তো কী হয়েছে? একা থাকলে যখন খুশি তখন ঘুম থেকে ওঠা যায়। ইচ্ছে না হলে স্নান না করলেও চলে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মুভি দেখলেও কেউ কিছুই বলে না। যেখানে খুশি সেখানে ইচ্ছে মত আয়েশ করে চুলকানো যায়। দুপুরের খাবার বিকেলে খেলেও কিছু হয় না। দুনিয়াটাকে ওর মতন করে চলতে দিয়ে নিজে নিজের মতই চলা যায়। জীবনে I’m just what I’m ভাবতে শেখাটা ভীষণ জরুরি! একা-একা থাকলে আস্তে-আস্তে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনি কী পছন্দ করেন, কী পছন্দ করেন না। কী চান, কী চান না। কী ভাবতে ভাল লাগে, কী ভাবতে ভাল লাগে না। আপনার নিজের ভেতরের সাথে একটা সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন খুব সহজেই। Masturdate করার সময় যে অনির্বচনীয় সুখটা পাওয়া যায়, সেটা যারা masturdate কখনও করেনি, তাদেরকে বোঝানো সম্ভব নয়। আমরা কী পছন্দ করি, আর কী ভালোবাসি, সেটার পার্থক্যটা নিয়ে ভাববার মত সময় আমাদের প্রায়ই হয় না। আপনি একটা মুভি একা-একা আপনমনে দেখেই দেখুন না কী হয়! রেস্টুরেন্টে একা-একা খেয়েই দেখুন না কী চমৎকার সব ভাবনা কোত্থেকে যেন এসে ভর করে! একা-একা পার্কে এক ঘণ্টা হেঁটেই দেখুন না কত পুরনো সমস্যার সমাধান মিলে যায় কত সহজে হঠাৎই!

আশা করি, এত কথার পরেও কেউ ভাবছেন না যে আমি ইচ্ছে করেই দুই ঘর পিছিয়ে এতক্ষণ ভুল বানানে কথা বলে যাচ্ছি। Masturdate কথাটি মূলত একটি শব্দ-কৌতুক (pun)। এটি প্রথম বলেছিলেন একজন আমেরিকান কমেডিয়ান Conan O’Brien. উনার একটা লেট নাইট টকশোতে মজা করেই উনি ওই ‘বিশেষ’ শব্দটির সপ্তম বর্ণটিকে দুই অক্ষর পিছিয়ে উচ্চারণ করেন এবং তখন থেকেই এই শব্দটি এসে গেল! The Urban Dictionaryতে বলা হয়েছে, masturdating হচ্ছে, একা-একা বাইরে কোথাও যাওয়া, এই যেমন, একলাই মুভি দেখতে যাওয়া, খেতে যাওয়া। ওখানে একটা উদাহরণও দেয়া আছে এরকম: Bro, my girl didn’t want to go out with me, so I had to masturdate. I’m a chronic masturdater. ……… মজার না? এটা ইংরেজিতে এসেছে বেশিদিন হয়নি। আর আমরা সবাইই কমবেশি এটা করে আসছি অনেকদিন ধরেই। কোনও শব্দ এখনও আবিষ্কৃত হয়নি মানে কিন্তু এটা নয় যে, ওই ব্যাপারটি ঘটছে না। ওটা ঘটছেই কিন্তু ওটাকে সুন্দর কোনও নতুন কথায় কেউ এখনও বলেনি।

সেই ছোটবেলা থেকেই আমি masturdate করে আসছি। হাই স্কুলে পড়ার সময় আমি প্রথম আবিষ্কার করলাম যে, আমি একা-একা থাকতে, ভাবতে, কাজ করতে পছন্দ করি। সবচাইতে সুন্দর কাজগুলি আমি বেশিরভাগই করেছি একা একাই। ওই সময়ে ভীষণ লাজুক ছিলাম। আশেপাশের সবার সাথে মিশলে ওরা কী কী সব বলে-বলে আমার মন এবং মেজাজ দুটোই খারাপ করে দিত। সবাই প্রচুর টিজ করতো। আমি ভাবলাম, কী দরকার? একাই থাকি না! আমার ভাবনাগুলি এবং কাজগুলি যাতে গড়পড়তা না হয়ে ওঠে, সেটার জন্য হলেও নিজের সাথে নিবিড়ভাবে মিশতে হয়। Alone এবং Lonely, কিংবা Solitude এবং Loneliness, এসব ধারণার মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে পারলে Masturdate এর ব্যাপারটা বুঝতে সহজ হবে। Masturdate করা মানে কিন্তু এই নয় যে আপনি পুরো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন। এর মানেটা কী তবে? ধরুন, আপনি এমন কারও আছেন, যার সাথে থাকলে আপনার মনমেজাজ খারাপ হয়ে থাকে। কিংবা, এমন একটা পরিস্থিতিতে আছেন, যখন আপনার পাশের জনের সাহচর্য আপনাকে শান্তি দিচ্ছে না। কিংবা, যার সাথে থাকলে আপনার ওই মুহূর্তে ভাল লাগত, সে পাশে নেই। তখন আপনি কী করবেন? Masturdate করবেন। সিম্পল! সমস্ত শরীরমন জাগিয়ে তুলতে এটা সময়ের চাহিদা। যা দরকার, তা ওই মুহূর্তে পাচ্ছেন না, অথচ সেটা না পাওয়ার যন্ত্রণাটুকু সহ্যও করতে পারছেন না। কী আর করা! নিজে নিজেই সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারলে অন্যের দ্বারস্থ হবো কেন?

If you can’t date, just masturdate! When you date, you date with only one. But, when you masturdate, you can date with many! Happy Masturdating!!