সবাই বলে, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়ো। . . . উঁহু, আদতে স্বপ্ন নিজেই মানুষের চেয়ে হাজার-কোটি গুণ বড়ো। স্বপ্ন মানুষের চেয়েও বড়ো বলেই স্টিফেন হকিং প্যারালাইজড হয়েও হুইলচেয়ারে বসে এক আঙুলের ইশারায় কাঁপিয়ে দিয়েছেন পুরোবিশ্ব। মাত্র এক আঙুলের জোরেই তিনি পৃথিবীকে ওলটপালট করে দিয়েছেন সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে অভিনব সব তথ্য প্রকাশ করে। মানুষের স্বপ্ন সত্যিই আকাশের চেয়েও বড়ো হয়। তাই রাইট ভাতৃদ্বয় পাখির মতন আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে-স্বপ্নের ফলাফল আজকের উড়োজাহাজ। এ পৃথিবীতে যত মহৎ কিছু ঘটেছে, যত আশ্চর্য কিছু তৈরি হয়েছে, সব কিছুই মূলত স্বপ্নের চমৎকার ফলাফল। স্বপ্ন দেখুন। স্বপ্ন দেখার সাথে কিছু ডেডিকেশন, কিছু উদ্দেশ্য আর কিছু পরিশ্রম মজুত রাখুন। ব্যস্, এটুকুই। কোনো স্বপ্নই অসম্ভব নয়। অসম্ভব তখনই হয়, যখন আপনি নিজেই ধরে নেবেন যে, আপনি পারবেন না, আপনাকে দিয়ে হবে না। বিশ্বাস করুন, আপনি আপনাকে যেদিন থেকে অবিশ্বাস করা শুরু করবেন, সেদিন থেকেই আপনার চোখভর্তি আদুরে স্বপ্নরা এক-পা দু-পা করে পেছপা হতে থাকে। মানুষের স্বপ্নদেখার কোনো সীমাবদ্ধতা থাকতে নেই। স্বপ্ন হোক আকাশের মতো বিশাল, সাগরের মতো গভীর, পাহাড়ের মতো গম্ভীর। স্বপ্ন ছোটো তো মানুষও ছোটো। স্বপ্ন দেখুন, একটা স্বপ্ন ভেঙে দশ টুকরো হয়ে গেলে সেই ভাঙা-স্বপ্নের উপর পা রেখে আরও দশটা স্বপ্ন বুনুন। এক বার হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে দশ বার উঠে দাঁড়ান। সোনাকে না পুড়িয়ে কখনও খাঁটি করা যায় না, আছাড় না খেয়ে শিশু কখনও হাঁটতে শেখে না। লাথি না খেলে মানুষ কি আর মানুষ হয়! আপনি মূলত ততদিনই বেঁচে আছেন, যতদিন আপনি স্বপ্ন দেখছেন। আপনার চোখদুটো ততদিনই দৃষ্টিময়, যতদিন আপনার চোখে স্বপ্ন দেখার দৃষ্টি আছে। যেদিন থেকে স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দেবেন, মূলত সেদিন থেকেই আপনি অন্ধ, দৃষ্টিহীন—জীবন্মৃত।