ভাবনার বনসাই: এক-শো পঁয়তাল্লিশ

১. কিছু গল্প‌ও কবিতার মতন।
কিছু কবিতা গল্পের মতন‌ও নয়!




২. নির্লজ্জ লেখক,
বিব্রত পাঠক,
উদাস বিক্রেতা---
এই তিনে না হোক ব‌ইমেলা।




৩. বাঘ মারতে গিয়ে
বাহাদুর ছাগল ধরে নিয়ে এল
মাটন-বিরিয়ানি রান্না করতে।




৪. যখন ঘোরাঘুরির টাকা ছিল না,
তখন হাতে সময় ছিল।
যখন ঘোরাঘুরির টাকা হলো,
তখন হাতে সময়ই নেই।




৫. আমার ঘরে খড়ের ছাউনি।
তার ফুটো দিয়েই আলো ঢোকে যা,
তা তোমার কয় দালানের আলোর সমান,
ভাবতেও পারো!?




৬. আহা, কার দাওয়াত কে খায়!
যার জন্য আয়োজন, সে-ই আজ নাই!




৭. বন্ধুই যখন নেই পাশে,
তখন যাই পানশালাতে কি ধর্মালয়ে,
কী যায় আসে!




৮. এ কেমন ঠিকানা,
যে ঠিকানায় নিজেরই লেখা চিঠি আসে না
নিজেরই কাছে!
এই ঠিকানাকেই কিনা তোমরা ভালোবাসা বলো!




৯. তার হাসি দেখে ভেবো না ভুলেও
সে তোমার প্রেমে পড়েছে!
সে তোমাকে নয়, হাসতে ভালোবাসে।




১০. গাধা বাঘের কাছে গিয়েও
সেই গাধার ডাকই দেয়।
তার কোনও দোষ নেই,
ওটাই যে তার ডাক!




১১. চাঁদ দেখে ভাঙিনি উপোস,
তোমায় দেখেই ভেঙেছি।




১২. কেউ কাঁদে প্রেমের নামে,
কেউবা কাঁদে প্রেমের পরিণামে।




১৩. ভালোবাসি যাকে,
তার বাহ্যিক রূপ ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাক,
যাতে আর কারও চোখে না লাগে!




১৪. বুঝলে না, প্রিয়;
তোমার কাছে যা নিছকই শব্দ ছিল,
আমার কাছে ওটুকই ছিল
পুরোটা জীবন!




১৫. যতক্ষণ শ্বাস,
ততক্ষণ বাঁশ।




১৬. প্রতিটি বিকেল এলেই
তুমি নেই বলেই
তুমি এসে যাও...




১৭. পছন্দ হলে...
আমার দেশের মানুষ!
পছন্দ না হলে...
অন্য ধর্মের মানুষ!




১৮. জমি জমি করছ যে এত,
মরার পরে এই জমিই তো
তোমার ছাই ছড়াবে!




১৯. জীবন খুব যত্ন করে
জীবন সামলে রাখে...
ফুরোতে বাকিটা জীবন,
সারাটা জীবন ধরে!




২০. বরং ঝড়ই উঠুক!
নইলে তোমায় জাপটে ধরি
কোন সে ছুতোয়...লজ্জা ভেঙে!