ভাবনার বনসাই: এক-শো ছেচল্লিশ

১. আমি তোমাকে কাঁদিয়েছি যতটা,
আজ তুমি তোমার বরকে হাসাচ্ছ ততোধিক।
অথচ তুমি নিজেই বলতে,
তুমি প্রতিশোধপরায়ণ নও!




২. যদি তোমায় চুমু খেতে পারতাম ইচ্ছেমতো,
তবে দশ হাজার চুম্বনও কম হয়ে যেত!




৩. প্রিয় বন্ধু, বন্ধুত্ব না রাখলেও,
শত্রুতাটুকু অন্তত রেখো?
দোহাই লাগে, সম্পর্কটা কখনোই শেষ কোরো না!




৪. কখনও ভয় পেয়ো না লোকলজ্জার;
জেনে রেখো, তোমায় আমি লুকিয়ে রাখি
আমার সবচে' প্রিয় পাপের মতন।




৫. তুমি ছিলে যখন,
তখন দুঃখও ছিল, সাহসও ছিল।
তুমি নেই বলে
আজ দুঃখই শুধু আছে, সাহসটা আর নেই।




৬. আহা, ওটা আয়না নয়, আমি নিজেই!
হায়, এটা আয়না নয়, আমি নিজেই!




৭. একেকটা পুরোনো চিতা,
একেকটা নতুন আগ্নেয়গিরি।




৮. দোহাই লাগে, রাগ কোরো না!
তোমায় অমন সুন্দর করে গড়েছেন যিনি,
আমায় সেই সৌন্দর্যের প্রেমে ফেলেছেনও তিনি।
এসো, বাকিটা জীবন দু-জন মিলে তাঁকে দুষেই দিই কাটিয়ে!




৯. এ দু-চোখে কেন এত ঢালছ সুরা?
পরে মাতাল হলে সামলাবে তো?
না কি একা ফেলে পালিয়ে যাবে?




১০. লোকে স্বর্গ পেতে মরে।
আর আমি কিনা মরলাম স্বর্গ পেয়েই!




১১. লোকে যা বলে বলুক,
তুমি আমার সঙ্গে থেকো!
লোকের মুখ কি আর থামবে বলো,
যদি আমরা আলাদাও থাকি?




১২. বেঁচে থাকা শুরু না হতেই
আয়ুর পাত্র হয় নিঃশেষ!




১৩. ইতিহাসের ফিরে আসাটা...
তবে কি কেবল দুঃখের বেলাতেই?




১৪. এ জীবনে এমন একটাও কি দিন
আসবেই না আর, যেদিন
তোমাকে ভুলে থেকে বাঁচতে পারব?




১৫. আমার কী রূপ,
তা জানতে চাইলে জিজ্ঞেস করো তাকে,
যে আমায় ভালোবেসেছে।




১৬. আমার কবরে দু-ফোঁটা অশ্রু ফেলতে
তুমি আসবে কি না, সেই ভাবনায়
শান্তিতে মরতেও পারছি না!




১৭. স্বর্গে গিয়ে কী-ইবা হবে!
সেখানে যাবে না তো তুমি!
প্রতারিত হয়েছি যদিও,
তবু ভালো তো বাসি!




১৮. মৃত্যুর পর তোমার সঙ্গী হতে
সময় থাকতেই প্রাণভরে পাপ করে নিচ্ছি!
তুমি যদি হও পাপের সাগরও,
আমি সেই সাগরের‌ই মাছ হতে চাই।




১৯. মদকে তোমার সতিন ভেবো না।
তুমি চলে গেলে
এই মদই তো তোমায় বাঁচিয়ে রাখবে!




২০. কে বলল,
কেবল পাথরে পাথরে ঘষা খেলেই আগুন জ্বলে?!