ভাবনার বনসাই: এক-শো পঁয়ষট্টি

১. আমার মুগ্ধতা আমার লেখার প্রতি...
কেবলই লেখার সময়।
লেখা হয়ে গেলে আমার মুগ্ধতা সরে
অন্য কারও লেখায়।




২. যে বুনোফুল কারুর‌ই পড়ে না চোখে,
সূর্যের প্রথম সোনালি আলো
পড়ে সেখানেও।




৩. কালো মেঘে মেঘে
স্ফটিকের আভাস,
মাটি শুষে নেয়
শুভ্র আকাশ।




৪. প্রার্থনাতে বসলেই কেবল
হাজারো ভাবনা,
যার একটিও আসে না ফিরে
ফুরোলে প্রার্থনা।




৫. শেখো
জলের উপর চলতে
তরঙ্গ না তুলে...




৬. মৃত সন্ন্যাসীর চোখের উপর
তেলাপোকা উড়ে এসে বসে।
'ওটা সরিয়ে দাও!
চোখ ঠিকরে জ্যোতি বেরোক!'




৭. ঘুমন্ত মানুষ
ধর্মের বাণী
কানে নেয়‌ই-বা কী করে?




৮. মৃতদের পাঠশালায়
জীবিতদের জ্ঞানার্জন।




৯. আগুনের তাপে
রৌদ্র শুকোয়।
এ কী অপমান!




১০. ভালোবাসা খুঁজো না, মেয়ে!
আমি শুধুই তোমাকে খুঁজছি।




১১. অমন করে চেয়ো না শরীর।
এই শরীরে সমস্ত অধিকার
প্রেমিকের, ভিখিরির নয়।




১২. তুমি দূরে গেলে
কাটে না সময়।
তুমি কাছে এলে
টেকে না মুহূর্তও!




১৩. শীতের বৃষ্টি কি তবে
ভবঘুরেদের সকল প্রশ্নের জবাব?




১৪. ধরা যাবে না,
ছোঁয়া যাবে না...
দেখার কী যে সুখ,
মুখে তা আনা যাবে না!




১৫. অতিদুর্ভিক্ষের দিনে
ভিখিরি পাওয়াই দায়!




১৬. মশারির ভেতরে
একটি মশা;
রাজার সমস্ত ক্ষমতাই
এখন প্রশ্নবিদ্ধ।




১৭. মুরগির ডিম...
কার ভাবী বংশ
কার প্লেটে ধ্বংস!




১৮. পায়ে পায়ে
তেলে তেলে
মৃত্যুর দামে
জীবনের গ্রাফ!
১৯. এসি'র স্নিগ্ধ হাওয়া
ঘামের চড়া মূল্যে।




২০. গোলাপের পাপড়িতে
শিশির জমে
কুয়াশায় নয়, বৃষ্টিতে!