ভাবনার বনসাই: এক-শো চৌষট্টি

১. আঁধার ভয় পেলে
চাঁদকে চেয়ে কী লাভ?




২. চলে যেতে চাইছ?
সত্যিই কি তবে এসেছিলে?




৩. কাজে যা লাগে না,
তা-ও আঁকড়ে ধরে থাকতে থাকতে
মানুষ নিজেই একসময় অকাজের হয়ে পড়ে।




৪. চলে যাচ্ছি।
নিজেকে কম ভালোবাসতে বাসতে
আজ আমি বড়ো ক্লান্ত!




৫. হয় ভালোবাসো,
নয় হিসেব করো।
দুটোই একসঙ্গে হয় না।




৬. বাগানে হাঁটি...
ফুলের ঘ্রাণ পেতে নয়,
নিজের হৃদয়ের ঘ্রাণ পেতে।




৭. যখন আর কোথাও জায়গা পাবে না,
আমার কাছে এসো।
আমি যতটা ভালোবাসতে জানি,
ততোধিক অপেক্ষা করতে জানি।




৮. অশ্রু না ঝরিয়েই
সুর ঝরায় যে কণ্ঠ,
ওতে যে কেবলই
অ-সুরের রাজত্ব!




৯. স্বর্গে যাবার রাস্তা খুঁজতে গিয়ে
খোঁজ পেলাম তোমার বাড়ির!




১০. তোমাকে পাবার আশায়
হাজারো আশার কবর দিয়েছি।
আজ আর কোনও আশা নেই,
আছে কেবলই কবরের সারি।




১১. আমার দরোজায় কড়া নাড়ার আগে
নিজের দরোজায় কড়া নেড়ে এলে ভালো করতে।




১২. গন্তব্যে তো অনেক পথেই পৌঁছোনো যেত,
তবু আমি বেছে নিয়েছি ভালোবাসার পথটিই!




১৩. আমায় এত যে ঘৃণা করো,
তোমার কি সত্যিই ক্লান্ত লাগে না?




১৪. তুমি আমায় যে চোখে দেখো,
আমি তোমায় সে চোখে দেখি না।
আগে আমার চোখে আমায় দেখতে শেখো,
তার পরে আমাদের আলাপ হবে।




১৫. এক ঘরে বসবাস,
আরেক ঘরে নিঃশ্বাস!




১৬. একেকটা যন্ত্রণা,
একেকজন শিক্ষক।




১৭. এ কেমন কারাগার,
যা কিনা আমি নিজেই গড়েছি!




১৮. ভালোবাসো?
তার আগে বন্ধু হতে শেখো।




১৯. তালির শব্দে এত তৃপ্ত হয়ো না;
সাহস থাকে তো
মশার কয়েল জ্বালিয়ে গাইতে বসো।




২০. যে কাজ আমার নিয়তিতেই নেই,
সে কাজে আমার হবে না নিয়ত কোনোদিনই!